Friday, July 16, 2021

 

অতীত
হাকিকুর রহমান 
 
চেয়ে রই, চেয়ে রই-
আঁধার ঘেরা অনন্তরাতে কার সাথে কথা কই!
অতীত!
সেতো গোপনচারী, বাছ-বিচারের নেই ধার ধারি,
কোন অবচেতনে, সংগোপনে তবু জীবনের দাঁড় বই।
সঞ্চারিত মনে সাঁজিয়ে রেখেছি,
কত দিবসের সঞ্চয়-
রাগে-অনুরাগে জাগিয়ে রেখেছি,
কোন চেতনার লয়।
স্তব্ধ অতীত!!
তুমিতো অতি সংগোপনে,
কাজ করে যাও অতিশয় গোপনে।
চপলতাহীন, বিষন্ন দিন-
বয়ে যায় স্রোতোবহা ধারায় অন্তহীন,
ঝঞ্ঝার পথে আশাহত হয়ে সবই সই।
চেয়ে রই, চেয়ে রই।

 

ভালো-মন্দ
হাকিকুর রহমান 
 
হেরিয়া সুদৃশ্য মাকাল ফলটিকে
অভিপ্রায় হইলো করিবো তাহা ভক্ষণ-
উফ! কি বিস্বাদ!
প্রকৃতপক্ষে উপলব্ধি করিতে পারিতেছি তাহা এখন।
উপরিভাগ দেখিয়া কোনও কিছুই
এজগতে করা যায় না যাচাই
সঠিক গুণ বিচারেই করা যাইবে
ভালোকে মন্দ হইতে বাছাই।

 

লবডঙ্কা
হাকিকুর রহমান 
 
জনে জনে গুনে যায়
ঘুষ খাওয়া টংকা,
মেলে না তো কোনোমতে
সবই লবডঙ্কা।
হেথা খোঁজে, হোথা খোঁজে
টাকাগুলো গেল কই?
কার টাকা, কে যে মারে
করে চলে চৈ হৈ।
চোরে চোরে, হবেনা তো
কোনদিন মিশ মিল,
নড়চড় হলে পরে
পিঠে পড়ে গোটা কিল।
এভাবেই চলিতেছে
সারাদেশে বখরা,
যে যা বলে বলে যাক
চলে শুধু নখরা।

 

মেঘরাশি
হাকিকুর রহমান 
 
ওহে মেঘরাশি, কত জল ধরিয়া রাখিয়াছো তব বুকে
পবনের খেয়াতে বহিয়া যাও, রহো সেথা কোন সুখে।।
সখাহে তব, ঐ চমকিত বিজলী মাসি
ঝরো তুমি অঝোর ধারায়
সাথে রহে তাহার হাসি।
অপলোকে চাহিয়া রই
আনমনে কি কথা কই।
তব স্নিগ্ধ নীলেতে, নিজেরে হারাইতে চাই
তাইতো প্রাণখুলে কোন সুরে, কত কথা গাহিয়া যাই।।

 

ছোটবেলা
হাকিকুর রহমান 
 
নামতা পড়া দিনগুলো সব
হারিয়ে গেলো কোথায়,
গামছা পরে মাছ ধরা দিন
রইলো পড়ে সেথায়।
বরই গাছে ঢিলটি মারা
আমড়া গাছে চড়া,
"অ-য় অজগর আসছে তেড়ে"
সুর করে তাই পড়া।
আমের আঁটির ভেঁপু হাতে
ডান্ডাগুলি খেলা,
সরষে ফুলের মাঠে মাঠে
কাটতো সারা বেলা।
সাঁঝের আঁধার নামলে পরেই
গাঁয়ের হাটে যাওয়া,
খই, বাতাসা, চানাচুর, আর
মন্ডা-মিঠাই খাওয়া।
চাইলে কি ফের যাবে যাওয়া
সে দিনটাতে আর!
তাইতো আজি দিলাম খুলে
উদাস মনের দ্বার।

 

প্রার্থনা
হাকিকুর রহমান 
 
ওহে অধীশ্বর
দাওহে তব চরণে ঠাঁই,
কৃপা করোহে মোরে
আমি বিমগ্ন চিত্তে তব স্তুতি গাই।
প্রকাশিতেছি তব সকাশে
মোর হৃদয়ের ব্যথিত কথন,
অধীর অন্তঃকরণে রহিয়াছি বসি
কবে মোর পাপ করিবে মোচন।
ওহে দুঃখহর
ধরার ধুলিতে রহিয়াছি পড়ে,
পারাপারের নাবিক তো তুমিই
লহো মোরে তার তরে পরিশুদ্ধভাবে গড়ে।

 

লিখে যাই আনমনে
হাকিকুর রহমান 
 
যাহা কিছু আসে মনে
লিখে যাই আনমনে।
ভাব-তালে নেই বাঁধা
হয়না কভুও সাঁধা।
তবু কেনও লিখে যাই
মন থেকে কিযে চাই।
পরতে পরতে ভরা
নেই তাতে কোনও ত্বরা।
হোক কথা এলোমেলো
তাতে কার এসে গেলো।
লাগে যদি কারও ভালো
মনটাযে হয় আলো।
তাই ফের লিখে যাই
বারে বারে ফিরে চাই।