Thursday, October 7, 2021

 

পরিণত সুখ
হাকিকুর রহমান 
 
পরিণত সুখ?
কি তার বিন্যাস,
কি তার আবরণ-
অপ্রাপ্তির প্রকাণ্ড প্রহরে
দিলো কে আবার পুনরায় ঘুম,
ভগ্নাংশ ঘিরেই তো
সমীকরণের সূত্রপাত।
আচমকা গায়ে এসে পড়ে
কোন সে মিহিন ফুলের পাপড়ি-
আবার শিশির ভেজা পায়ে
লুটায় কিছু নাম না জানা ঘাসফুল,
ওদেরকে সান্ত্বনা দেবার
ভাষা খুঁজে পাইনা, এখন আর।
চেনা-অচেনার মাঝে
কোন সে চেনামুখ খুঁজে ফেরা-
এ যেনো কোনও এক
অনন্তের সীমারেখা খোঁজা,
তবুও পিঠের উপরে
পড়ে কার প্রান্তিক নিঃশ্বাস ভরা হাসি।
তা, সে সুখের সাথে
নেই তো কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী-
নেই কোন অভিমান
নেই কোন অভিযোগ,
তবে কি, তা শুধুই ওই
অবিনশ্বরের পানে ছুটে যাওয়া!

(সর্বস্বত্ব লেখক কর্তৃক সংরক্ষিত)

 

 

আকুতি
হাকিকুর রহমান 
 
অনুনয় করিবে না আর কেহ,
বাতায়নে বসি-
যদিও বহিবে দখিনা
কহিবে না কেহ সাঁঝের বাতি জ্বালিবারে,
শূন্য পড়িয়া রবে গেহ।।
ডাকিবে না কেহ স্বপন রাতে,
হস্ত দুখানি ধরি-
মুখপানে চাহি রহিবে না কেহ বসি,
বহিবে না আর অশ্রুজল
সে কোন শারত প্রাতে।।
করুণ কাতর স্বরে,
কহিবে না কেহ চুপিসারে-
এসো হে সখা,
জাগিবো রাত্রি দু’জনে মিলিয়া
অনন্তকাল ধরে।।
(সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত)

 

পেটের ক্ষিদে
হাকিকুর রহমান 
 
পা বাড়ালেই পাবো কি সুখ?
সামনে দেখি আলোর মেলা,
ন্যাংটা মতোন চিন্তাগুলো
তবুও দেখি
সামনে-পিছে করছে খেলা।
নিত্তি যখন কেঁদেই কাটে
সামনে যাবার মানেটা কি?
কাঁটাতারের বেড়ায় ঘেরা
আধমরা সব ভাবনাগুলো
লম্পটে সব বাদ বাকি।
চনমনে এক সকাল দেখে
ভাবটা দেখাই
এ যেনো কোন চ্যাংড়া ছোড়া-
আবেগ ছাড়া কথার ভিড়ে
যাই হারিয়ে
রেসের মাঠে ল্যাংড়া ঘোড়া।
লাক্ষ্যা নদীর লক্ষটা হাত
ভাসিয়ে দিলো
ক্ষেতের ফসল, আগাম বানে-
পেটের ক্ষিদে লাগলো যখন
বাড়ির বেড়া
হাত বাড়িয়ে, অমনি টানে।

(সর্বস্বত্ব লেখক কর্তৃক সংরক্ষিত)

 

 

লেখা সৈনিক
হাকিকুর রহমান 
 
ছেপে দিলো দৈনিকে,
লিখেছিলো, কোনও এক নামহীন
শব্দসৈনিকে-
আরে ব্যাটা বলে কি?!
কথাগুলো, কানে লাগে দেখি
যদিওবা শুনেশুনে, ইত্যাদি
তা হয়ে গেছে তামাদি।
কথাগুলো বড়ো সিধা
মারপ্যাঁচ নেই তাতে
নেই তাতে কোনো দ্বিধা-
যতো করে বলো তারে
সে কি তার ধার ধারে
নিজ মনে লিখে চলে
সকলেরই কথা বলে।
তবু যেনো কিছু লোকে
সেখানেই কিযে শোঁকে-
তাই বলে সেতো আর
পাত্র না ছাড়িবার।
ওহে লেখা সৈনিক
লিখে যাও দৈনিক।

(সর্বস্বত্ব লেখক কর্তৃক সংরক্ষিত)

 

 

শরতের সকাল
হাকিকুর রহমান 
 
ঝিরি ঝিরি বাতাসে লাগে দোলা মনে
পেজা পেজা মেঘ ভাসে নীল গগণে।
সাদা সাদা কাশফুলে ছেয়ে গেছে বন
দেখে যেনো মনে হয় অন্য ভুবন।
শরতের এ সকাল বড়ই মধুর
মন থেকে দুর করে বেদনা বিধুর।
শালিকেরা আনাগোনা করছে মাঠে
সারি সারি নৌকা বাঁধা আছে ঘাটে।
ছেলে মেয়ে দল বেধে স্কুলে যায়
রাখাল মাঠে ছুটে মাথালি মাথায়।
চাষীরা সব কাস্তে হাতে মাঠের পানে ধায়
গাঁয়ের বধু পুকুর ঘাটে শিশুর গা ধোয়ায়।
শানবাঁধানো দীঘির ঘাটে শাপলা কমল ফুটে
জুঁই, বেলী আর বকুল ফুলের মধুর সুবাস ছুটে।
এমন দৃশ্য দেখতে তুমি কোথায় পাবে ভাই
রূপসী বাংলার রূপের সীমা নাই।

(সর্বস্বত্ব লেখক কর্তৃক সংরক্ষিত)