Mother's lap
Hakikur Rahman
The baby cries in the mother's lap
You can't believe it in any way
Mother's lap brings peace
In the mind of all children
The baby swings in the mother's lap
Forgets everything
Come to mother's lap brother
Let us all take place.
Saturday, October 31, 2020
ধূসর পান্ডুলিপি
হাকিকুর রহমান
ধূসর পান্ডুলিপিটাকে খুলে ধরলাম
চোখের সমুখে,
স্মৃতিগুলো সব সুনামির দ্বারা, উদ্বেলিত হলো
চমকিত পলকে।
কি ভেবে লিখেছিলাম সেটাকে
এখন ঠিক মনে নেই,
অমোচনীয় কালি তখন তো, আবিস্কার হয়নি-
তাই, ঝরণা কলমে লেখা,
আর তাতে, হৃদয়ের পরশ পাই
প্রতি পৃষ্ঠাতেই।
ওহ! কিছু লেখা যে পড়া যায়না আর
শত চেষ্টা করে,
বরষার জল হয়তো পড়েছিলো কখনও-
আর, লেখাগুলো মুছে গেছে চিরতরে।
হায়! সময় কি হবে কখনও
ওগুলোকে আবার নতুন করে লেখার,
স্মৃতির পাতাগুলোকে ঘষে মেজে
সুযোগ হবেকি, পলক লাগিয়ে দেখার!
(সর্বস্বত্ব লেখক কর্তৃক সংরক্ষিত)
কান্নার প্রতিচ্ছবি
হাকিকুর রহমান
কান্নার অপর দিকটা
কেউ অনুধাবন করতে পারেনা।
কেউ ইচ্ছে করে কাঁদে,
কেউ কাঁদে অনিচ্ছায়,
কেউ কাঁদে নিরূপায় হয়ে-
কেউ অসহায় হয়ে কাঁদে,
কেউবা কাউকে ফাঁদে ফেলার জন্যে কাঁদে।
তবে, সত্যিকারের কিছু কান্না থাকে,
যেগুলোর অর্থ কেউ খুঁজে পায়না-
সেগুলো হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে
বেরুনো দীর্ঘশ্বাস,
যাদের কোন ব্যাখ্যা নেই
যাদের কোন পরিমাপ নেই
যাদের কোন গ্রহণযোগ্যতাও হয়তোবা নেই!
তবুও, কেন জানি কেউ কাঁদে-
জানে যে এর কোন মূল্য নেই,
এতে কোন সমাধান কোন কালেই হবার নয়,
তবুও কাঁদে-
আর সে সব কান্নার কোন প্রতিচ্ছবি নেই।
(সর্বস্বত্ব লেখক কর্তৃক সংরক্ষিত)
অনুধাবন
হাকিকুর রহমান
তাপিত পরাণ, নাহি প্রণিধান
তবুও প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা,
সকলই গরল, নহে তা সরল
তিলে তিলে বাড়ে তেষ্টা।
কেহবা হাসে, স্রোতেতে ভাসে
বুঝিবার ক্ষমতা নাই,
মুখেতে মধু, কর্মে ধুঁধু
তির্যক মন্তব্য করা চাই।
ভালোকে ভালো, কালোকে কালো
কহিবার আছে কি কেহ?
যেদিকে দেখি, লাগে যে মেকি
পরিনামে শূন্য গেহ।
(সর্বস্বত্ব লেখক কর্তৃক সংরক্ষিত)
অবিমিশ্রিত দ্রবণ
হাকিকুর রহমান
জীবনের কারুকার্যগুলোকে, যখন উপলব্ধি করি-
তখন বড়ই বিস্মিত হই,
কি নিপুণভাবে, থরে থরে সাজানো হয়েছে,
বহুমাত্রিক শ্রেণীবিন্যাসে।
এ যেন, সুখ-দুঃখ, মান-অভিমান,
চড়াই-উৎরাই, প্রেম-বিরহ,
পাওয়া-না পাওয়া,
হারিয়ে যাওয়া-
আবার খুঁজে পাওয়া,
আবার হারিয়ে যাওয়া-
আর না খুঁজে পাওয়ার
কি অবিমিশ্রিত দ্রবণ।
আর, গতির ভারসাম্যহীনতায়
যখন হোঁচট খাই,
চিন্তা-চেতনায় কিসের
যেন পরিসমাপ্তি পরিলক্ষিত হয়।
তবুও প্রচেষ্টা, অনাদিকালের গহ্বরে
ডুবে গিয়েও,
জীবনের লাগামহীন ঘোড়াটাকে নিয়ে
ছুটে চলার, কি আপ্রাণ প্রয়াস!
(সর্বস্বত্ব লেখক কর্তৃক সংরক্ষিত)
বিস্মরণ
হাকিকুর রহমান
ভাবনাগুলিকে ঘিরিয়া রাখিয়াছে
বিস্মরণের ঢেউ,
প্রাণটা সেথায় হাবুডুবু খায়
দেখিবার নাহি কেউ।
মিথাই কাঁদিয়া ফিরি, এই
জীবনের ঘাটে ঘাটে,
দিবসের আলো নিভিলো যখন
সূর্য যায় যে পাটে।
এই্ অবেলায় বুঝিতে পারিনি
কোন কুলে ভিড়াবো তরী,
এ কোন খেলায় ব্যস্ত ছিলাম
সারা দিনমান ধরি।
কুহেলিকা সম গতিপথটারে
ঢাঁকিয়া দিলো যে ধোঁয়া
হাতেতে-পাতেতে রহিল না কিছু
সকলি গেলো যে খোঁয়া।
(সর্বস্বত্ব লেখক কর্তৃক সংরক্ষিত)
নিশীথ রাতের স্বপ্ন
হাকিকুর রহমান
গৈরিক আলোর বৃত্তে,
রামধনু সাজিলো কি সাজে-
গঙ্গাফড়িং লাফিয়ে বেড়ায়,
একটু নোয়ানো নল খাগড়ার ‘পরে-
সোনা রোদের সাথে খেলা করে,
বিকেল বেলার পাখিগুলো-
দেবদারু বনের হাওয়ার দোলেতে,
দুলিছে চিরহরিৎ পাতা।
পথচারী, কি মোহে থেমে থাকে,
আবার একটু হেঁটে যায়-
অশথ গাছের ছায়ে,
একটু জিড়িয়ে নেয়।
কুলুকুলু বহা নদীটা,
হারিয়ে গিয়েছে কবে কবে-
দূরের দৃশ্যপট ঢেঁকে গেছে,
সাঁঝ বেলাকার আঁধারে।
তবুও, বার বার ফিরে আসা,
ভর নিশীথ রাতের স্বপ্নের মাঝে।
(সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত)
চঞ্চলা কিশোরী
হাকিকুর রহমান
খেলিছে কিশোরী,
খেলিছে চঞ্চলা বালিকা-
ছাড়িয়া এলোকেশ নাচিয়া চলিছে,
গলাতে ঝুলিছে কুঞ্জলতার মালিকা।।
চপল নয়না, নীরদ বসনা
হরিণী যেন হেঁটে যায়,
যুঁথিকা জড়ায়ে, সুবাস ছড়ায়ে
আড়ে আড়ে ফিরে চায়-
আঁচল ভরায়ে, কেমনে তুলিছে
চন্দ্রপ্রভা, শেফালিকা।।
ভাসালো কে কেয়া পাতার তরী
স্বচ্ছ ধবল ঝিলে,
শাপলা, শালুক উঠায় সেথা
সই-সখীরা মিলে-
কাজলা দীঘির জলেতে ভাসিছে
পদ্ম পাতার থালিকা।।
(সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত)
একটু ঢিলে দে
হাকিকুর রহমান
হায়রে পোড়া কপাল!
তুইতো বড্ড হতচ্ছাড়া-
বেঁধেছিস তো কোন সে অদৃশ্য শেকল দিয়ে,
আমি যতই প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা করিনা কেন
ছিঁড়ে মুক্ত হতে-
ততই তুই আষ্টেপিষ্টে বেঁধে রাখিস।
পাজি তুই, জীবনেও কি দিবিনা
আমাকে একটু স্বস্তি,
যে বুক ভরে শ্বাস নেবো, খোলা হাওয়ায়?
দ্বারটাকে কি অবরুদ্ধ রেখে দিবি চিরতরে?
বুঝেছি- ছেড়ে তো যাবিনে কোন কালেই,
সেটা জানি-
তো মুরোদ থাকে তো,
একটুখানি শেকলটাকে ঢিলে দে-
একটু হেঁটে আসি ভাবনাগুলোর চত্বর থেকে,
প্রশান্তির নিঃশ্বাস ফেলে।
বহুদিন যাওয়া হয়নি সেখানে,
ধুলো ময়লা জমেছে অপদচারণায়।
বিশ্বাস কর, পালিয়ে যাবনা,
রয়েছিই তো শৃঙ্খলে আবদ্ধ-
মিনতি এইটুকু,
একটু ঢিলে দে।
(সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত)
ছড়াঃ হদ্দ চাষা
হাকিকুর রহমান
স্কন্ধে নিয়ে ঋণের বোঝা
হাল ঠেলে যায় চাষী,
খায় যে সবাই তাজা খাবার
সেই খেয়ে যায় বাসি।
সারাটা দিন রোদে পুড়ে
যায় করে সে চাষ,
ন্যায্য মূল্য না পেয়ে তাই
মিটে না তার আশ।
আগাম ফসল বুনেও তবু
মাথায় পড়ে হাত,
হিসেবটাতো আর মেলেনা
জোটেনা তার ভাত।
মধ্যস্বত্বভোগী যারা
তারাই গোনে কড়ি,
হদ্দ চাষা খেটেই মরে
মালিক ঘোরায় ছড়ি।
(সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত)
ফুল
হাকিকুর রহমান
ফুল ফুটে, ফুল ঝরে
সুবাসেতে মন ভরে।
কিছু ফুল থাকে ক্ষণিকের তরে
কিছু ফুল থাকে বহুকাল ধরে।
কোন ফুলগাছে ভরে থাকে কাঁটা
কোন ফুল থাকে পাপড়িতে আঁটা।
কিছু ফুল ফুটে ভরা বরষায়
কিছু ফুল দেখে মন হরষায়।
কোন ফুল ফুটে ভরা ফাগুনে
কোন ফুল চাহে নীল গগনে।
কিছু ফুল ফুটে শরতের ভোরে
কিছু ফুল থাকে বাহুর ডোরে।
কোন ফুল ফুটে কানন জুড়ে
কোন ফুল থাকে শাখার চূড়ে।
বাগানেতে ফুল থাকুক ভরা
সুবাস ছড়িয়ে ভরুক ধরা।
(সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত)
ছড়া- গাঁও
হাকিকুর রহমান
অচিন গাঁয়ের বাঁকে বাঁকে
উদাস বাউল সদাই হাঁটে,
ছেলেরা সব রইল মেতে
শান বাঁধানো পুকুর ঘাটে।
মাঠ পেরিয়ে গাছের ছায়ে
রাখাল বসে বাজায় বাঁশি,
শান্ত দীঘির রোদের জলে
মুক্ত ঝরে রাশি রাশি।
কুলুকুলু নদীর পাড়ে
সুর ধরে ওই গাইছে মাঝি,
রৌদ্রছায়ার নীল গগনে
মেঘগুলো সব রইছে সাজি।
সোনালী রঙ ধানের ক্ষেতে
পুবালী বাও করছে খেলা,
নয়ন ভরা এ রূপ দেখে
যায় যে কেটে সারা বেলা।
(সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত)
অভিমান
হাকিকুর রহমান
শুধাবোনাকো আর কোনদিনও তোমারে,
দাঁড়াবোনাকো আর ক্ষণিকের তরে, তব দ্বারে।
বাড়াবোনাকো আর হস্ত দু’খানি প্রসারিত করে,
রহিবোনাকো আর ম্রিয়মাণ হয়ে, তৃষায়িত ভোরে।।
বাড়ুক না জঠরের জ্বালা,
তবু চাহিবোনাকো আর ক্ষুধার অন্ন-
দিয়েছি তো হৃদয়ে তালা,
হতচ্ছাড়া আমি, তাই ভাগ্যটা হয়নি কখনও প্রসন্ন।
বিবেকের কিনারাতে খুঁজি,
এ যেন আমার আজন্ম অভিশাপ-
অন্তক্ষরণের পর বুঝি,
এ ভুলের নাই কোন পরিমাপ।
না যদি ফুটে ফুল,
না যদি ভাঙ্গে ভুল,
না যদি ভিড়ে তরণীটা কুলে-
তবুও কহিবোনাকো আর, ডেকে নিও কাছে মোরে।।
(সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত)
সুন্দর চাঁদ
হাকিকুর রহমান
ওহে সুন্দর চাঁদ
জেগে আছো তব
কলঙ্ক আর জোসনায়,
জাগালে জোয়ার
ভেঙ্গে দিলে ধার
সাগরের মোহনায়।।
হেরিয়া তোমার পূর্ণ তিথি
হরষিত প্রাণে জাগে প্রকৃতি।
আলোকেতে ভরাও ধরাতল
ভরা জল করে ছলোছল
উছলিত যমুনায়।।
পলকে চাহিয়া রহিলাম কুলে
পুলকিত লয়, রাগিনী ভুলে।
প্রত্যয় জাগে বাঁচিবার তরে
অভিলাষ লাগে প্রতিটি প্রহরে
মায়াবিনী বসুধায়।।
(সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত)
Thursday, October 1, 2020
পুনরায় বিচরণ
হাকিকুর রহমান
কন্টকগুলি,
কি সকলই পদযুগলে বিধিলো!
হায়রে উচ্চাকাঙ্খা,
তুমিও কি ওই দলেতে নাম লেখাইলে?
তাহা হইলে
বারংবার পিছন হইতে ডাকো কেন?
আমি কহি ডাইনে যাও,
তুমি যাও বামে-
আমি কহি অগ্রে যাও,
তুমি পশ্চাতে গমন করোহে।
ওহে দৈব,
তুমিও কি দৈবাৎ নিরুদ্দেশ হইলে?
একটু কৃতজ্ঞতাবোধও কি নাই,
যে ক্ষণিকের তরে থাকিবেক্ পাশে।
এক্ষণে,
দিগন্তের শেষ সীমারেখা পর্যন্ত
পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে পুনরায় বিচরণ।
(সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত)
সাঁঝের আলো
হাকিকুর রহমান
দিবা শেষে কোন আবেশে
ভুলিয়ে দিলো প্রাণটি মোর,
ক্লান্তি হরা সন্ধ্যা তারা
অবাক চোখে খুললো দোর।
ওপারের ওই সোনার কুলে
ঘুম ভাঙ্গানি গান যে রয়,
চন্দ্র, তারা ঘোমটা খুলে
রূপের আলোর বন্যা বয়।
মুখ লুকিয়ে বনের হরিণ
আলোর আশায় রয় চেয়ে,
গাছের শাখে বন মহুয়া
প্রাণটা খুলে যায় গেয়ে।
ভাটির টানে বাইতে গিয়ে
উদাস হলো আজ মাঝি,
সাঁঝের আলোয় মোমের বাতি
জাগলো আবার সুর সাজি।
(সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত)
Subscribe to:
Posts (Atom)