একটু প্রশান্তি
হাকিকুর রহমান
হাকিকুর রহমান
অবশেষে,
সে বাতায়নে বসে,
একটু প্রশান্তির নিঃশ্বাস নেবার চেষ্টা করলো-
সমস্ত প্রান্তিক চাহিদাগুলোকে
সময়ের কাছে বন্ধক রেখে,
কোন এক দূরপাল্লার ট্রেনের সাথে
বিনা হুইসেল দিয়ে ছুটে চলার মতো করে,
চলতে চলতে হঠাৎ করে থেমে যাবে,
তারপর একটু জিড়িয়ে নেবে ঐ খোলা আঙ্গিনাতে-
যেখান থেকে দাওয়ার বাঁশের মাচার হাতলে ভর দিয়ে
খোলা আকাশটা দেখা যায়।
নীলাকাশ!
বহুদিন হলো ওদিকে তাকানোর ফুরসত হয়নিকো-
ভোর থেকে দুপুর গড়িয়ে, সাঁঝের বাতি জ্বালানো অবধি,
খড়ি কুড়িয়ে,
হেসেল ঠেলে,
জানালার মরচে পরিস্কার করে,
নলখাগড়ার ডালগুলো জড় করে,
সোয়ামীর গেঞ্জী থেকে ঝোলের দাঁগ ধুয়ে,
বড় ছেলের সার্টের বোতামটা লাগিয়ে,
ছোট মেয়ের জামার আস্তিনটা সেলাই করে....
যদিওবা একটু ফুরসত মিল্লো;
কোত্থেকে এক ঝড়ো কাক এসে
পোথেনে বসে ডাক শুরু করলো-
“একটু ক্ষুধার অন্ন চাই!”
সে বাতায়নে বসে,
একটু প্রশান্তির নিঃশ্বাস নেবার চেষ্টা করলো-
সমস্ত প্রান্তিক চাহিদাগুলোকে
সময়ের কাছে বন্ধক রেখে,
কোন এক দূরপাল্লার ট্রেনের সাথে
বিনা হুইসেল দিয়ে ছুটে চলার মতো করে,
চলতে চলতে হঠাৎ করে থেমে যাবে,
তারপর একটু জিড়িয়ে নেবে ঐ খোলা আঙ্গিনাতে-
যেখান থেকে দাওয়ার বাঁশের মাচার হাতলে ভর দিয়ে
খোলা আকাশটা দেখা যায়।
নীলাকাশ!
বহুদিন হলো ওদিকে তাকানোর ফুরসত হয়নিকো-
ভোর থেকে দুপুর গড়িয়ে, সাঁঝের বাতি জ্বালানো অবধি,
খড়ি কুড়িয়ে,
হেসেল ঠেলে,
জানালার মরচে পরিস্কার করে,
নলখাগড়ার ডালগুলো জড় করে,
সোয়ামীর গেঞ্জী থেকে ঝোলের দাঁগ ধুয়ে,
বড় ছেলের সার্টের বোতামটা লাগিয়ে,
ছোট মেয়ের জামার আস্তিনটা সেলাই করে....
যদিওবা একটু ফুরসত মিল্লো;
কোত্থেকে এক ঝড়ো কাক এসে
পোথেনে বসে ডাক শুরু করলো-
“একটু ক্ষুধার অন্ন চাই!”
No comments:
Post a Comment