Thursday, February 24, 2022

 

বহুরূপী দুঃখ
হাকিকুর রহমান 
 
বন্দরটা ছাড়ার সময়
জাহাজটা একটা শেষ
ভেঁপু দিলো-
জানান দিলো, ফিরবেনা সে
বেশ কিছুদিনের তরে।
তবে, ভ্রমণকারীরা উদগ্রীব ছিলো
ওই শেষ ভেঁপুটার জন্যে,
শুধু উদগ্রীব ছিলো না
চরের ওই পাশে
বসতির শ্যামলা মেয়েটা
যার সাথে সারেঙের রয়েছে প্রণয়-
সে একটা ভাঙ্গা সাঁকোর
ওপর দাঁড়িয়ে
চাইলো, জাহাজটা চলে যাবার
শেষ দৃশ্যটা দেখার অপেক্ষায়।
সাঁঝের মলিন আলোয়
জাহাজটাকে তো আর
বেশি দূর দেখা যাবে না-
আর এখন তো ধোঁয়া উড়োনো
জাহাজও হয়না
যে, বহুদূর পর্যন্ত চিহ্ন রেখে যাবে,
ওদিকে, জাহাজের প্যাডেলটা হাতে ধরে
ছেড়ে যাওয়া ঘাটটার পানে
চাইলো সারেং
ওর যেনো হৃদয়ের একটা টুকরো
রইলো পড়ে ওই
রেখে যাওয়া ঘাটের পাটাতনে।
মনে পড়ে গেলো,
কোনও এক তরুণ সূর্যকে
স্বাক্ষী করে
বেঁধেছিলো তারা ঘর-
আর তাই বহুরূপী দুঃখগুলো
বেদনার দানা বাঁধে
হৃদয়ের পরতে পরতে-
বারবার ফিরে চায়
শূন্য ঘাটটার পানে
না, কেউতো দাঁড়িয়ে নেই সেখানে।

No comments:

Post a Comment