Thursday, April 27, 2023

 Taken from Google search: April 27, 2023: 07:54PM BD Time



https://www.google.com/search?q=hakikur+rahman&source=hp&ei=LHxKZOqyHomo2roPq4-AoAg&iflsig=AOEireoAAAAAZEqKPP-S3w-eYwpa6sGFsYEc5TxalrdC&gs_ssp=eJzj4tLP1TcwrUgpsDAxYPTiy0jMzswuLVIoSszITcwDAHizCQw&oq=hakiku&gs_lcp=Cgdnd3Mtd2l6EAEYADIFCC4QgAQyBwgAEIAEEAoyBwgAEIAEEAoyBwgAEIAEEAoyBwgAEIAEEAoyBwgAEIAEEAoyCgguEIAEENQCEAoyBwgAEIAEEAoyBwgAEIAEEAoyBwgAEIAEEAo6DgguEI8BEOoCEIwDEOUCOg4IABCPARDqAhCMAxDlAjoLCAAQgAQQsQMQgwE6CwgAEIoFELEDEIMBOgUIABCABDoICAAQgAQQsQM6CwguEIAEELEDEIMBOgsILhCABBCxAxDUAjoICC4QgAQQsQM6CggAEIoFELEDEAo6CggAEIAEELEDEAo6CAguEIAEENQCOgsILhCABBDHARCvAToKCC4Q1AIQgAQQClDqCViYIWDvL2gBcAB4AIABmgGIAfQFkgEDMC42mAEAoAEBsAEK&sclient=gws-wiz

Thursday, June 16, 2022

 

আলোকিত দিন
হাকিকুর রহমান 
 
যদি কোনওদিন
হাজার মাইলের ব্যবধানে ঘটে
তার মাঝে, আর আমার মাঝে-
দিনের শেষে সূর্যটা যদিও ঢলে পচিমে
তবুও হাঁটার নেশাটা থামেনা।
ওহে সহযাত্রী, এই নিকষকালো
রাতের সাথী হয়ে
পা বাড়াবে কি আমার সাথে?
আশাগুলো কুহেলিকার মতন
উবে যায়, নিঃশব্দে ভারাক্রান্ত
প্রান্তরে-
ঘন কুয়াশায় ঢাকা ফেলে আসা পথটা
তবুও হাতছানি দিয়ে ডাকে।
ছেঁড়া জোৎস্না হয়তোবা
অভিমান করে
পথটাকে আড়াল করে রাখে।
তা, হোক না জুতোর শুকতলিটা ক্ষয়,
ধরুক না পায়ের গোড়ালিতে ব্যথা,
পথের ওপারে তো
আলোকিত দিন
আমারই অপেক্ষায় আছে।

 

অপরিচিত মুখ
হাকিকুর রহমান 
 
একটা বিশ্বস্ত আকাশ
হাতড়িয়ে ফিরছিলাম
ক্ষণিকের তরে হলেও-
যেখানে কোনও অভিনয় নেই,
যেখানে আদিগন্ত বিস্তৃত রইবে
ইচ্ছের প্রান্তর,
রইবেনা কোনও সীমানা প্রাচীর।
পরোতে পরোতে উপলব্ধি হবে
এ যেনো এক
পরিচিত বিশ্ব-
আর সেখানে অমলিন শিখা
জ্বলে যাবে
উজ্জ্বলতর হযে
মননের উপাখ্যানে।
অনন্ত রূপে বিন্যস্ত থাকুক
চিন্তা-চেতনা
অবিন্যস্ত ধারনার উঠোন জুড়ে-
সকল ইন্দ্রিয় এক হয়ে
করে যাক অনুধাবন,
এ যেনো নিশানা খোয়ানো
এক ঝাঁক পরিযায়ী পাখি।
সোনালি রোদের প্লাবনে
ভেসে যায়
অনাবিল বসন্ত উৎসব-
সময়ের জানালা গলে
তবুও উঁকি দেয়
অপরিচিত হওয়া
কোন একখানা মুখ।

 

Words
Hakikur Rahman 
 
By you, by me
By the sky, by the wind
By the sound of fallen leaves
By the shadow of broken dreams
By the past days, by the infinite future
By the affection to you
By the smile of yours;
Never allow to drop my words on the soil.

 

শব্দহীন শব্দ
হাকিকুর রহমান
 
তোমার ভেতরের শব্দগুলো
আমার হৃদয়ের অভ্যন্তরে লুকোনো নিঃশব্দগুলো
আকাশের নীরবতা
বাতাসের উৎসুক মুখরতা
হেমন্তের ঝরা পাতার কান্না
ভেঙ্গে যাওয়া স্বপ্নের উৎকন্ঠিত প্রহর
ভীরু অতীতের ব্যগ্রতা
অসমাপ্ত ভবিষ্যতের চিত্রাঙ্কন
কার প্রতি অযথা প্রীতি
কার যে পরিতুষ্টির হাসি-
অনুরোধ রইলো
আমার শব্দহীন শব্দগুলোকে
মাটিতে লুটোতে দিওনা।

 

শর্তহীন সকাল
হাকিকুর রহমান 
 
শিরীষের পাতাগুলো, হঠাৎ বয়ে যাওয়া
এক দমকা হাওয়ায়
একটু নড়েচড়ে উঠলো-
জেলেনী তার সোয়ামীকে জাগিয়ে দিলো
পূর্বরাগের আগেই
সাগরের কোলে জাল বইতে হবে
ভাটির কথাটা মনে রেখে।
পসরা সাজানো মেঘগুলো
পাহাড়টার মসৃন চূড়াটাকে
ছুঁয়ে ছুঁয়ে কোথায় যে
উধাও হলো
কোন সে বিবাগীর মতন-
অভিমানী লজ্জাবতী, তখনও আঁখি মেলেনি
ও মান করেছে,
আজকে একটু দেরি করে উঠবে,
কারণ, আজ ক’দিন শেষ রাতের
শিশির পড়েনি তার ‘পরে ঠিক মতন।
মিনারের ডাক শোনা যায়,
আর তাই প্রার্থনার জল গড়িয়ে
অবিনশ্বরের পদ তলে
লুটায় সকলে শর্তহীনভাবে-
শুধু ফুটপাতে শুয়ে থাকা
পাগলী মেয়েটা
আড়া মোড়া ছেড়ে আবার
পিঠ ফিরে শোয়।
ওর কাছে কালকেও যেদিন
আজকেও সেই দিন-
আর, ওই ছেঁড়া আঁচলে
কেইবা আছে
একটুখানি খাবার বেঁধে দেবে
কোনও এক
শর্তহীন সকালে?
(লেখাটার শেষ প্যারাটা Gangubai Kathiawadiকে উৎসর্গ করলাম। কবিতার শেষের লাইনটা একটু বদলে দিয়েছি।)

 

স্মৃতির পটে
হাকিকুর রহমান 
 
ওহে, শালপিয়ালের বন
ওহে, কাশফুলের সারি
ওহে, অশ্বত্থ পাকুড়ের ছায়া
ওহে, শুনশান গাঙের ঘাট-
যদিও ছেড়েছি বহুদিন হলো, গাঁ
তবে ছাড়িনিকো তোমাদেরে
মনের গভীর থেকে।
ওহে, কার্তিকে ফোটা শাপলা
ওহে, ফাগুনে ফোটা কৃষ্ণচূড়া
ওহে, আশ্বিনে ঝরা আম্রমুকুল
ওহে, চৈত্রের দুপুরের ঘুঘু-
যদিও ছেড়েছি বহুদিন হলো, গাঁ
তথাপি ছাড়িনিকো তোমাদেরে
মনের গভীর হ’তে।
ওহে, শিশির ভেজা সকাল
ওহে, বুড়িগাঙের বাঁক
ওহে, ভাঙাচোরা সাঁকো
ওহে, ধুলোভরা মেঠোপথ-
যদিও ছেড়েছি বহুদিন হলো, গাঁ
তবুও ছাড়িনিকো তোমাদেরে
মনের গভীরে রেখে।
আজিকে তো তাই
মনে করে যাই,
ফিরে কি পাবো আর
ওই সেই হারিয়ে যাওয়া দিনগুলি-
বলে দাও
ওহে, পিয়ালের বন
কি করে আজিকে তাদেরে ভুলি।