Sunday, December 22, 2019

House of cards
Hakikur Rahman

Slave, Queen, King, Ace,
Who will do what?
The earth is a house of cards.
Fondness pushes the bond of mercy,
The bird in the cage was gone;
Those of you who were your own, after all became stranger.
ছোট্ট পাখি
হাকিকুর রহমান

গাছের পাতায় ঝুলে আছে, শিশির বিন্দু-
ছোট্ট পাখির কাছে সে যে, বিশাল সিন্ধু।
পিলপিলিয়ে পড়ে ঠোটে, জলের ফোটা-
চঞ্চুতে লয়ে তা, আহ্লাদে আটখানা হয়ে ওঠা।
মা'তো আছেই পাশে দাঁড়ানো, তাই চিন্তা কিসের-
প্রাণ ভরে স্বাদ নিয়ে পরে, খুঁজবে অন্য দিশের।
সময়
হাকিকুর রহমান

ঘড়ি-ঘন্টা ধরে কি আর সময় নির্নিত হয়?
এযে এই বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের অপর এক বিস্ময়!
তত্ববিজ্ঞানের ধারায় এটা একটা ভৌত রাশি,
যা পরিমাপযোগ্য-
আমি কহি, সেটা বড়ই আপেক্ষিক,
একেক গ্রহের বিবর্তনে, মানুষ সেটা মাপার অযোগ্য।
ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্রতম সময় ধরা হয়েছে- ইউক্টোসেকেন্ড-
আর তারপরে জেপ্টোসেকেন্ড, ইত্যাদি
সর্ববৃহত্তম সেথায় এক্সাসেকেন্ড, বা বিশ্বতত্বীয় দশক,
কিন্তু, সামগ্রীকভাবে সময় নির্ধারন করা যাবে কি-
এ বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের জন্ম থেকে অনন্তকাল অবধি।
কিছু ক্ষণ, কিছু কাল, কিছু দিন, কিছু বছর,
কিছু যুগ, কিছু শতাব্দী, কিছু সহস্রাব্দ-
এ সবই পরস্পরের উপর নির্ভরশীল,
সময়!
সেতো সীমাহীন,
কোন কিছুরই উপর করেনা নির্ভর-
বয়ে চলে অনাদিকাল ধরে,
প্রাঞ্জল, নির্মোঘ, সাবলীল।
জ্যৈষ্ঠের তাপ
হাকিকুর রহমান

জ্যৈষ্ঠ মাসে ডাকছে কোকিল
হয়ে পাগল পারা,
বরষা বিনে আর সহেনা
দেখছি একোন ধারা।
বাতাসোতো আর খেলেনা
নেইতো মেঘের দেখা,
শুষ্কতাতেই ভর করেছে
কপালে কি লেখা!
নাগরদোলা
হাকিকুর রহমান

নাগরদোলায় চড়ে
দেখো, ঝুলছে কেমন করে।
জীবনটা ঠিক তেমন
দেখছো সেথায় যেমন।
কখনওবা যায় উপরে
কখনওবা নীচে,
ভাবনাগুলো থাকে ভরে
ছাড়েনাতো পিছে।
কেউবা হাসে মনের সুখে
কেউবা কাঁদে দুখে,
কেউবা চলে কোন মতে
ব্যথা নিয়ে বুকে।
এমন করেই চলছে ধরা
ভাঙ্গা গড়ার খেলায়,
কেউ খুঁজে পায়, কেউ বা হারায়
নিত্য দিনের মেলায়।
বিবেক
হাকিকুর রহমান

দৃশ্যপটে উঠিলো ভাসি
রাজাধিরাজ, মহারানী, রাজকন্যা,
পাত্র-মিত্র, ক্রীতদাস, ক্রীতদাসী-
সকলেই স্ব-স্ব অভিনয়ে লিপ্ত, ব্যস্ত-সমস্ত;
নিখুঁত অভিনয় প্রদর্শনেই তো সফলতা।
কেহ বা উচ্চ স্বরে সংলাপ দেয়-
কেহ বা মিহি সুরে সঙ্গীত করে-
কেহ বা পরিবেশন করে নৃত্য- জ্বালাময়ী ভঙ্গীতে,
সাধু! সাধু!
করতালিতে ফাটিয়া পড়ে মঞ্চের চারিপাশ-
গীত-বাদ্য নৃত্যে রোমাঞ্চকর পরিবেশ,
ডমরুর শব্দে কখনও কখনও সংলাপসমূহ কর্ণকুহরে
প্রবিষ্ট হয়না- তবুও চলে আয়োজন নিরন্তর-
কাটে কাল অতি আহ্লাদে।
হঠাৎ লক্ষ্য করা!
ঐতো বিবেক!
দন্ডায়মান মঞ্চের এককোনে-
কোনক্রমে এক চরণের উপরেই ভর করিয়া মৃয়মান,
তাহার যে ভূমিকা ছিল-
সকলের অজ্ঞাতে তাহা আর অভিনীত হইলোনা।
সে যে রহিয়া গেলো লোকচক্ষুর অন্তরালেই!
দান
হাকিকুর রহমান

করলে দান দু'হাত খুলে করো
মন প্রাণ শুদ্ধ করে হালাল রুজি ধরো।
ডান হাতে করলে দান
বাম হাতে না জানে,
কোন কিছু করোনা আশা
তোমার দেয়া দানে।
দান করার ক্ষমতা, স্রষ্টা
সবাইকে দেয়না জেনো,
দানের মাঝেই শান্তি আনে
সেটা অন্তর দিয়ে মেনো।
যে যার সাধ্য মাফিক
তাই করে যাই দান,
দেবার মালিক তিনিই দিবেন
তিনিই দিবেন মান।
ভোরের পাখি
হাকিকুর রহমান

ভোরের পাখি, ভোরের পাখি
করছো কেনো ডাকাডাকি-
ভোর না হবার আগেই আমি
কেমনে খবর রাখি।
হয়নি নিশি এখনো ভোর
ঘুমিয়ে আছে মানিক জোড়-
শুকনো পাতা হাওয়ায় ভাসে
তাইতো চেয়ে থাকি।
জাগবে পাখি সবার আগে
পূব তোরণের অগ্নিরাগে-
হাসবে অলি ফুলেল সাজে
চুপটি করে আঁকি।
অরুণ আলোর আভাস পেয়ে
ছোট্ট পাখি উঠবে গেয়ে-
পুচ্ছটাকে উঁচিয়ে ধরে
করবে হাকাহাকি।
উন্মেষ
হাকিকুর রহমান

চেতনার দ্বারে, খুঁজি আমি কারে
বিকশিত বাতায়নে
করিয়া বিলাপ, শুধু অনুতাপ
হৃদয়ের সাথে অবগুন্ঠিত আলাপনে।
কোথা হতে হেরি, সহেনাকো দেরী
জ্বলে ক্ষীণ দীপশিখা
মায়াজাল ঘিরে, মম অন্তরে
যেনো ক্ষণিকের প্রহেলিকা।
স্তব্ধিয়া নিমেষ, ভাবি অবিশেষ
দৃশ্যিত হয়না তবু
ভাবনার ভিড়ে, স্তম্ভিতে ফিরে
ঘোলাজলে হাবুডুবু।
প্রাত্যহিক
হাকিকুর রহমান

প্রাত্যহিক তাজা খবর!
ভেজালকারীগণ রয়েছেন সদা তৎপর,
সবজী, ফল, মাছ, পথ্য- বাকি কি আছে
সবকিছুতেই করেছেন ভর।
আগ্রহী মজুতদারগণ,
কিভাবে কৃত্রিম সংকট তৈরী করে-
আরও বেশী করে হাতানো যায় অর্থ
সে চেষ্টা প্রাণপণ।
উঠতি ধনীগণের দাপটে-
করা যায়না বাজার,
দামাদামি, দর কষাকষি নেই-
যাকিছু আছে কিনে করছেন সাবাড়।
জীবন চালাতে নিম্ন-মধ্যবিত্তের
নাভিশ্বাস উঠে যায়,
কোনমতে সপ্তাতিনেক, তারপর
বিষন্ন মনে, পকেটের পানে চায়।
বিষন্ন চাষী
হাকিকুর রহমান

মাঠের চাষী যায় হেঁটে যায়
ঝরছে গায়ের ঘাম
কষ্ট করে ফলায় ফসল
পায়না ধানের দাম।
কিস্তিগুলো না যদি দেয়
হবে এবার কি?
চালও যাবে, চুলোও যাবে
তাও কি ভেবেছি!
হতদরিদ্র
হাকিকুর রহমান

নুন আনতে পানতা ফুরোয়
তাদের আবার কি!
সারা জীবন কেঁদেই মরে
করুণ বিনতি।
যেদিক পানে তাকায় তারা
দেখে শুধু খরা
হাতের কাছে পায়না কিছুই
ছন্নছাড়া ধরা।
জীবনটাতো তাদের কাছে
বড়ই গহীন বন
কোনমতে চলছে হেঁটে
ভাঙ্গাচুরো মন।
পথের মাঝে পা বাড়ালে
দুঃখ করে ভর
জোগাড় যন্ত্র হয়না কিছুই
খালিই থাকে ঘর।
নেই মনোবল তবুও তারা
খেটেই চলেছে
জঠর জ্বালা মিটবে কিসে
ভাবতে বসেছে।
এমনি করেই জীবন চালায়
তারা কোনমতে
নতুন কিছুই নেই সেখানে
তাদের চলার পথে।
মা
হাকিকুর রহমান

মা, তুমি আমার জীবনে মহীরুহের ছায়া
মা, তোমার হাতের ছোয়ায় বাড়িয়ে দেয় মায়া।
মা, তুমি আমার গগনে জ্বল জ্বলে শুকতারা
মা, তোমার মুখের দোয়ায় আমি হই আত্মহারা।
মা, তুমি জননী আমার, আমি তাতে গর্বিত
মা, তোমার স্নেহের ধারায়, শান্তি হয় বর্ষিত।
মা, তুমি হাত ধরে মোরে, দিয়েছো পথের দিশা
মা, তোমার মুখের বাণীতে, কেটে যাক অমানিশা।
মা, তুমি আমার চিন্তা-চেতনায়, এনে দাও আত্মবিশ্বাস
মা, তোমার জ্ঞানের কথা শুনে, ছাড়ি আমি স্বস্তির নিঃশ্বাস।
নিজের বাসা- খাসা
হাকিকুর রহমান

বাবুই পাখির বাসা দেখে চড়ুই পাখি হাসে
এদিক ওদিক ঘুরে শুধু চায়যে আশে পাশে।
বলে আবার, নীচে খোলা- এটা কেমন বাসা!
চারিদিকে বিচালি আর কাঁদা দিয়ে ঠাসা।
থাকি আমি দালান কোঠায়, কতই মনোরম
হেথায় তুমি খেটেই মরো, নেইতো ফেলার দম।
বাবুই বলে, কাঁচা হোক, পাকা হোক, নিজের বাসাই খাঁটি
শক্ত করে বানিয়ে তারে, রাখি পরিপাটি।
নিজের যেটা আছে তাতে খুশী আমি ভাই
অন্যের জিনিস দেখার মাঝে কোন বড়াই নাই।
অভুক্ত
হাকিকুর রহমান

মলিন বদনে কে এসে দাঁড়ালো দুয়ারে
কঙ্কালসার দেহখানি
করুণ চাহনি, ক্ষীণ স্বরে
কি কহিতে চাহিল কি জানি।
হেরিয়া মনে হয়
কতদিন আছে যে অভুক্ত
অর্থের অভাবে
খাদ্য পাইনি সে উপযুক্ত।
সকলেই ব্যস্ত-সমস্ত
কে বাড়িয়ে দিবে সাহায্যের হাত
এমনি করিয়া কাটে কাল তার
বিনিদ্র রজনীর পরে আসে একই প্রাত।
ঝড়ের পূর্বাভাস
হাকিকুর রহমান

বার্তাকক্ষে বার্তা এলো
ঝড়ের পূর্বাভাস
দমকা হাওয়া বইতে পারে
অঝোর বৃষ্টির আভাস।
সাথে কোথাও ঘটতে পারে
ঘন বজ্রপাত
সাগর পাড়ে হানতে পারে
জলোচ্ছাসের আঘাত।
এমন দিনে বাইরে যাওয়া
মোটেই উচিৎ নয়
পদে পদে বিপদ সেথা
জীবনের ক্ষয়।
মাঠের চাষী, ঘাটের মাঝী
সাবধানেতে থাকো
বিপদ আঘাত হানার আগে
নিজকে তৈরি রাখো।
ঝড়ের প্রকোপ কমলে পরে
আবার বাহির হও
কেমন আছে পড়সী সকল
তাদের খবর লও।
সবাই মিলে আপদ-বিপদ
করতে হবে পার
দশের লাঠি একের বোঝা
মনে রেখো তার।
দিন মজুর
হাকিকুর রহমান

কোদাল, ঝুড়ি নিয়ে হাতে
বসে থাকে ওরা ফুটপাতে।
ডেকে কেউ দিলে কাজ
চড়বে ঘরে হাড়ি আজ।
জোগালী, মাটিকাটা, রাজমিস্ত্রি
কাজের নেইতো কোন শ্রী।
যে কাজ হাতে পায়, সেটাই সারাদিন ধরে
করে যায়, এক মনে সকাল-সন্ধ্যা পরে।
এমন করেই বছর ঘুরে, এদের সংসার চলে
হাতে পায়ে খেটে সারা দিনমান, জীবনের কথা বলে।
আসে ওরা কোন অজগাঁও থেকে
শহরে একটু কাজের আশাতে-
ছিলো হয়তোবা এক চিলতে জমি
সেটাও নেই এখন, নদীজলে ভাসাতে।
পরিসংখ্যানে ওরা হলো, ভাসমান জনতা
কেউ কি হিসেবে রেখেছে ওদের
কেউ কি জানে, তাদের কথা?

Thursday, December 19, 2019

Taj Mahal
Hakikur Rahman

Mughal Emperor, Shahjahan
His wife
For the memory of Arjumand Banu Begum
Builds a royal tomb-
Everyone knows this, in the name of the "Taj Mahal"
Which stands on the banks of the Jamuna
With its magnitude.
Beginning in 1632 AD -
It ended in the year 1653,
Thousands of artisans, architects, workers work in 21 years
It was dedicated to its construction.
Ustad Ahmed Lahuree was
its original designer,
The white marble-domed tomb-
Is a complex intact, architectural design.
Every year, millions of people in the name of it
come to see these patterns of love,
Seeing that everyone becomes enchanted-
In everyone's heart, it cuts a unique spot.
বৈশাখী তাপদাহ
হাকিকুর রহমান

বৈশাখের তাপদাহে,
শাখে বসে কোকিল ডাকে-
"চোখ গেলো", "চোখ গেলো"
এই উত্তাপে, জীবন ত্রাহি ত্রাহি-
প্রাণই বুঝি এবার যাবার যোগাড় হলো।
গাছের শাখাগুলি কেমন থমকিয়া আছে-
বাতাসের নাই কোন আনাগোনা,
আলস্যে রাঁখাল এলায়ে দিয়াছে শরীর,
বৃক্ষের ছায়ে, ধরিয়াছে তার বাঁশি-
এই গ্রীষ্মে, এ দৃশ্য কেমন যেনো চিরচেনা।
পদযুগল সহিতে পারিতেছে না, তবুও
ভিখারিনী ফিরিতেছে দ্বারে দ্বারে-
মেঘহীন নিলিমার পানে চাহি, উদাসী বাউল
কৃশকায় দেহে, হাঁটিতেছে অচীন গাঁয়ের ধাঁরে।
শুষ্ক দিবা ঢলে সাঁঝের কোলে-
নিশুতি রাতের ছোয়ায় প্রাণ ভোলে।
সমুদ্র
হাকিকুর রহমান

ওহে অর্ণব, ওহে জলধি, ওহে উদধি, ওহে পয়োধি-
ধরিত্রীর সত্তর শতাংশের করিতেছো প্রতিনিধি,
ওহে পয়োনিধি, ওহে তয়োধি, ওহে পারাবার, ওহে সাগর-
ওহে সিন্ধু, ওহে বারিধি, ওহে বারীশ, ওহে রত্নাকর;
মনে হয় যেনো, তুমিই অভ্রভেদী!
প্রভঞ্জন
হাকিকুর রহমান

প্রভঞ্জন কাঁদিয়া ফিরে-
মহানন্দা, গোমতীর তীরে।
গ্রীস্মের এই তাপদাহে-
সম্বিত ফিরি পথচারী,
অপলোক চোখে নিলিমার পানে চাহে।
নাহিতো কোথাও সঞ্চরণশীল নীরদ,
যাহা প্রদান করিবে
একটু স্বস্তির ছায়া,
অশীতিপর ভীখারিনী
তবুও ঘুরে দ্বারে দ্বারে-
ন্যুব্জ স্কন্ধ, স্থুলকায় কায়া।
ছাড়িয়া দীর্ঘনিঃশ্বাস,
কর্ণধার তরণী তটেতে ভীড়ায়-
ওপারে যাবার তরে,
ঘাঁটেতে কেহ নাহি অপেক্ষায়।
থমকিয়া রহিছে ধরা-
প্রলম্বিত হইবে কি এ খরা!
উদাস বাউল
হাকিকুর রহমান

উদাস বাউল যায় যে গেয়ে
অচীন গাঁয়ের বাঁকে বাঁকে
স্মৃতি ভরা মেঠো পথে
কান্না-হাসি লুকিয়ে থাকে।
নেইকো সময় আরতো থামার
ক্ষণগুলো যায় পার হয়ে
বাউল যে তার সুরে সুরে
মনের কথা যায় কয়ে।
ধারাপাতের নামতাগুলো
যায়না সেতো আর ভোলা
তেমনি করে মধুর সে সুর
হৃদয় মাঝে রয় তোলা।
জীবন গেলো গান গেয়ে তার
ভব নদীর পারে পারে
তাইতো সদাই ব্যাকুল চোখে
চায়যে পিছে বারে বারে।
At the beat of Twenty-one
Hakikur Rahman

They didn't die, they couldn't die.
They are alive, inside the hearts of all Bengalis
And the illumined soul sheds light, in every heart.
How many nations in this world have come - gone, gone,
Can you say How many languages were martyred for?
You came to this country for a moment,
You have become a nebula today
In the heat of the day,
Lights are burning.
Who says you are not there!
Whenever you look in the wilderness, within a crowd of people
Those faces, like painted vase, come into silently.
You make us rich,
You have the right to live
We saw the light of consciousness,
Awakened freedom of heart.
It's time to revisit today,
That consciousness to soothe
Be inspired, to this new twilight,
No more regrets.
রজকিনী রাঁধা
হাকিকুর রহমান

রজকিনী রাঁধা যায়
সন্তর্পণে মৃদু পায়-
বেনুবনে ফুটিছে ফুল
দিয়েছে কানেতে চন্দ্রমল্লিকার দুল।
গলায় পরেছে কণকচাঁপার মালা
হাতেতে শোভিছে রক্তকরবীর বালা।
কেশেতে ঝুলিছে মালতীলতার থোকা
কোমরে বাঁধিছে স্বর্ণচামেলীর ঝাঁকা।
খোঁপায় দিয়েছে কুঞ্জলতা গুজে
আঁচলে ভরেছে সন্ধ্যামালতী খুজে।
পায়েতে জড়ায়ে চন্দ্রপ্রভার কলি
ভীরু ভীরু পায়ে গেলোযে কোথায় চলি।
হৃদয়ের সরোবর
হাকিকুর রহমান

চিন্তা-চেতনা উজ্জীবিত হয় হৃদয়ের সরোবরে
ভঙ্গুর আশাগুলো নিক্ষেপিত হয় বেদনার গহ্বরে।
পিয়াসা কাতর মনটা আমার নিশিদিন খেলা করে
সাঁতার কেটেও বসে থাকা এই জীবনের বালুচরে।
ব্যথিত বদনে প্রজ্জলিত করি নিভুনিভু দীপশিখা
তমষায় ঢাকে স্মৃতিগুলি মোর এলোমেলো সীমারেখা।
তবু আশা নিয়ে গেয়ে যাই আমি জীবনের জয়গান
সমুখের পথ দেখিনা যদিও শুনি তার কলতান।
The light of knowledge
Hakikur Rahman

I came alone, I'll go alone
Keep it in mind
Nothing will come into hand
As many friends and relatives you may have.
On the way to come, on the way to go
The work that I've done
The calculations have to be paid
Understand today.
Keep this thing in the mind
It's good to go along like this
On your way of coming and going
Ignite the light of knowledge.
নতুন প্রভাত
হাকিকুর রহমান

পূবের আকাশে দেখি নতুন সূর্য
হৃদয়ের মাঝে বেজে উঠে রণতূর্য।
এ দিনটিকে করতে হবে জয়
অন্যায়, অত্যাচারকে করা যাবে নাকো ভয়।
যেখানে দেখিবে অনুচিত, অবিচার
প্রতিবাদ করো, যেনো হয় তার সুবিচার।
শুধু বসে থেকে, ক্ষণ করা যাবে নাকো পার
বিবেকের কাছে, মানা যাবে নাকো হার।
নতুন দিনের প্রত্যয় নিয়ে, সামনে এগুতে হবে
পথের বাধা ছিন্ন করে, সাফল্য আসবে তবে।
চৈত্রের ঢল
হাকিকুর রহমান

হরিৎপত্রে হইয়াছে শাখাগুলি বিন্যস্ত-
অগ্রিম বরোষার ফলে,
উত্তপ্ত ধরাতল হইয়াছে শীতল-
শেষ চৈত্রের ঢলে।
সাথে যোগ দিয়াছে অসময়ে আসা
শিলা বৃষ্টির ঝড়
বজ্রপাতে বাড়ায় শংকা
দমকা হাওয়ায় চালা করে নড়বড়।
আম্র শাখায় আঘাত হানিছে
গুটিগুলি ঝরিছে অকালে
পরিবেশের এই ভারসাম্যহীনতায়
কি আছে যে কপালে!
আশা-ভরসার দোলায় দুলিছে
কৃষান আর কৃষাণী
যদিওবা আগাম ফসলের ক্ষতিতে
দিতেছে বিপদের হাতছানি।
তবুও আসুক ভরা বরোষা
ভরায়ে দিক প্রকৃতিকে
ধরাকে করুক শস্য-শ্যামলা
সবুজ ভরুক চারিদিকে।
জীবন!
হাকিকুর রহমান

জীবন!
সেতো এক অসংবর্ধিত যুদ্ধ
গতির ভারসাম্যহীনতায় সংক্রুদ্ধ।
জীবন!
সেতো অলীক কল্পনারাজি দিয়ে ঠাসা
নাহি তার আদি, নাহি তার অন্ত
সেথা নাহি কোন ভালোবাসা।
জীবন!
সেতো অপরোক্ষ অপরিসমাপ্তির ক্রোড়ে মুহ্যমান
অনাকাঙ্খিত ভাবনাহীনতার রোষানলে পড়ে
নিস্ক্রিয়ভাবে বিদ্যমান।
জীবন!
সেতো এক অনাহুত অতিথি
মানেনা বারন, মানেনা ধরন
মানেনা কোন লগ্ন-তিথি।

গোপাল ভাঁড়
হাকিকুর রহমান

গোপাল ভাঁড় হাটে হাড়ি ভাঙ্গিলো,
সকলেই শ্রবণ করিলো-
যাহারা বুঝিলো, তাহারা স্মিত হাসিলো,
যাহারা বুঝিলো না, তাহারা অট্টহাসিতে ফাটিয়া পড়িলো,
আর যাহারা বুঝিয়াও বুঝিলো না-
তাহারা নিশ্চুপ রহিলো;
তবুও গোপাল ভাঁড় দমিত রহিলো না।
উপচিকীর্ষা
হাকিকুর রহমান

হে মানব সন্তান!
করোনা অন্যকে ঈর্ষা
হৃদয়ে ধারন করো উপচিকীর্ষা।
পরোপকারের হয়না কোন আনুপাতিক
স্রষ্টা নিজ হস্তে প্রদান করেন পারিতোষিক।
মানবকল্যাণে নিবেদিত হই আকুন্ঠ চিত্তে
পরিনাম কভু উত্তম নয় অঢেল অবৈধ বিত্তে।
পরোপকারের উপধৌকন ভবের উত্তরীয় সম
আত্মায় আনে প্রশান্তি গভীর হতে গভীরতম।

সাদা-কালো
হাকিকুর রহমান

সাদা জিনিস সাদাই থাকুক
কালো জিনিস কালো
মন্দ যেটা মন্দই চিনি
ভালোটাকে ভালো।
ধরাতলে কতই খেলা
দেখছি দিনমান
মন্দ-ভালো মিলেমিশে
রইছে বহমান।
ভালোটাকে মন্দ থেকে
আনতে হবে চিনে
বিবেকটাকে জাগতে হবে
সহযোগিতা বিনে।
কপালগুনে ভালোর যদি
দেখা পেয়ে যাও
থাকতে সময় নিজের গুনে
আদায় করে নাও।

Friday, December 13, 2019

Prayer
Hakikur Rahman

I remember the Creator
He is the Lord of salvation
When we are in danger.
He is the provider of forgiveness of sins, confessor of repentance
He is the Most Merciful
His grace is living in the world
He is gracious.
You are the Hearer, the All-Knower, the All-knowing
I am mortal, I am small, I am your compassionate.
খুঁজে ফেরা
হাকিকুর রহমান

পরিধি মাপিয়া ব্যাপ্তিত থাকা, চিন্তা ও চেতনায়
ভাবাবেগ বাড়ে প্রতিটি লহরে, গতস্য শোচনায়।
প্রান্তিক আশা বাড়ায় ধোঁয়াশা, অপ্রচ্ছন্ন ধরাতল
কম্পিত লয়ে পদচারণায়, আঁখি করে টলোমল।
মধ্যরাত্রে নিদ্রাভঙ্গ, কুহকের মায়াজালে
অতি বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, খুঁজি তাই পলে পলে।
বাঁধনের বেড়ী খুলিয়াছে কবে, বুঝিতে পারিনি তাহা
ভাঙ্গনের তীরে তল্লাশি তারে, হারায়ে গিয়াছে যাহা।
ভোরের ডাক
হাকিকুর রহমান

যত কিছু আছে জরাজীর্ণ, শতছিন্ন
যত কিছু আছে অকল্যাণকর
মুছে ফেলে দাও, এই নতুন প্রভাতে
ধৌত করো মনকে, দিয়ে রবির কর।
ওহে মানব, করোহে প্রতিজ্ঞা
যতোদিন রবে এই ধরায়
মানব সেবায় উদ্বুদ্ধ হবে
হোক বসন্ত, শীত, বর্ষা, খরায়।
করোহে ভক্তি মনুষ্যত্বে
নিয়ে এই প্রতিজ্ঞা
মানবতাকে উন্নীত করি
করা যাবেনা কাউকে অবজ্ঞা।
বাড়িয়ে দেই সম্প্রীতির হাত
সমাজের চারিদিকে
কর্মে হও প্রথিতযশা
জয়গান উঠুক দিকেদিকে।
দোপেয়ে মানুষ
হাকিকুর রহমান

দোপেয়ে মানুষ, রঙীন ফানুস
যায়না বোঝা মন
এই বরোষা, এই তমসা
হয়যে উচাটন।
আজকে এ তাল, কালকে ও তাল
তালের নেইকো শেষ
কতই ছলা, কতই কলা
আছেন ভালই বেশ।
এক পা বাড়ান, থমকে দাঁড়ান
আবার চলা শুরু
পড়লে বাঁধা, সামনে কাঁদা
কেমন করেন ভুরু।
দিন পেরুলে, কাজ ফুরুলে
চিনিনাতো তোকে!
তুই কে আবার, কর্ম কাবার
দেখিনিতো চোখে!
হৃদয়ে বাংলাদেশ
হাকিকুর রহমান

কতো হেরিলাম নগর, মহানগর
কতো হেরিলাম দেশ
বাংলা!
তোমার রূপের তুলনা, তুমিই
বলে তা হয়না শেষ।
কত শত নদ-নদী বয়ে চলে হেথা
মাঝী গেয়ে যায় গান
আউল, বাউল, লালনের দেশে
ভরে থাকে সদা প্রাণ।
সারা দিনমান হেথা রবিকর
বিছায়ে দেয় আলোর ধারা
মাঠে মাঠে ফলে শস্য শ্যামল
চির হরিৎ অরণ্যে রহে ভরা।
গাছে গাছে ধরে কত মধুফল
খেতে বড় সুস্বাদময়
বনে বনে ফুটে নাম না জানা ফুল
হেরিয়া ক্লান্তি জুড়ায়।
পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্রে
বয়ে যায় কতো জল
ভাবিয়া এদেশের বিরল কীর্তিগাঁথা
বাড়ে মোর মনোবল।
একুশ, ছাব্বিশ, ষোল তারিখ
হৃদয়ে জ্বল জ্বল করে জ্বলে
বায়ান্ন, উনসত্তুর, একাত্তর
দেশপ্রেমের কথা বলে।
প্রশ্ন করো যদি আমার কাছে
কোন দেশটি সেরা
বলবো আমি, এই বাংলা
হৃদয়ের গভীরে প্রোথিত
মায়া মমতায় ঘেরা।
নারী: (Bangla)
হাকিকুর রহমান
ওহে নারী,
কি মায়ায় জড়িয়েছিলে মোরে,
ক্ষণিকের তরে,
ছড়িয়েছিলে কিসের মোহ-
পুলকিত ডোরে, তৃষায়িত ভোরে,
মম অন্তরে;
কাটিয়া গেলোযে কাল,
ছাড়িয়া দিয়াছি হাল-
সম্বিত ফিরি হেরি অদৃশ্য মরুদ্যান,
অনাদিকালের তরে,
হলেম ব্রহ্মচারী।


Woman: (English)
Hakikur Rahman

Hello woman
Enfolded me in what an illusion,
Shortly,
What fascination you have spread-
In thrilled string, in the thirsty morning,
In the heart of mine;
Time passes by,
Gave up the helm-
Reviving the consciousness, I see an invisible oasis,
For time antiquity,
Became celibate.

Mulher: (Portuguese)
Hakikur Rahman

Olá mulher
Enfatizou-me em que ilusão,
Em breve,
Que fascinação você tem espalhado
Em cordas emocionadas, na manhã com sede,
No meu coração;
O tempo passa,
Deu o leme
Revivendo a consciência, vejo um oásis invisível
Por tempo antiguidade,
Tornou-se celibatário.

Frau: (German)
Hakikur Rahman

Hallo Frau
Umhüllte mich in was für eine Illusion,
Kurz,
Welche Faszination hast du verbreitet?
In einer aufgeregten Schnur am durstigen Morgen
Im Herzen von mir;
Die Zeit vergeht,
Gab den Helm auf
Das Bewusstsein wiederbeleben, sehe ich eine unsichtbare Oase,
Für die Zeit der Antike
Zölibat wurde.

Femme: (French)
Hakikur Rahman

Bonjour femme
M'enveloppa dans quelle illusion
Prochainement,
Quelle fascination tu as répandue-
En string ravi, le matin assoiffé,
Au coeur de la mienne;
Le temps passe,
A donné la barre-
En ressuscitant la conscience, je vois une oasis invisible,
Pour l'antiquité,
Est devenu célibataire.

महिला: (Hindi)
हकीकुर रहमान

हेलो महिला
मुझे भ्रम में डाल दिया,
शीघ्र ही,
आप किस मोह में फैले हैं-
रोमांचित तार में, प्यासे सुबह,
मेरे दिल में;
समय गुजरता है,
हेलम दिया-
चेतना को पुनर्जीवित करते हुए, मैं एक अदृश्य नखलिस्तान देखता हूं,
समय की प्राचीनता के लिए,
ब्रह्मचारी हो गया।

চিরনিদ্রা
হাকিকুর রহমান

প্রতিদিন, কতজনই তো
চিরনিদ্রায় শুতে আসেন
আজিমপুর বা বনানীতে
কজনার খবর জানা যায়
টিভির মাধ্যমে বা পত্রিকাতে।
এই পৃথিবী,
এ এক আসা-যাওয়ার বাগান
এখানে প্রতি মূহুর্তে, রইতে হবে তৈরী
যদিও বা অবস্থান এখানে স্বল্প সময়ের
তবুও অবস্থা এখানে বৈরী।
এরই মাঝে ক্ষণিকের তরে
যেতে হবে করে কাজ
কাজের মাঝেই থাকতে হবে বেঁচে
যে কাজ করবো আজ।
দিয়েছেন দুহাত স্রষ্টা মোদের
দিয়েছেন বিবেক-বুদ্ধি
মন্দ-ভালো বিচার করে
চলি পথে, করে আত্মশুদ্ধি।
যেই কাজ করি পৃথিবীতে মোরা
হিসাব তো দিতে হবে
এর ব্যত্যয় হবেনা কখনো
জেনে রাখি সেটা সবে।
এসো তাই সকলে মিলে
স্রষ্টার গুন গাই
সেই সবার ত্রাণকর্তা
এর হেরফের নাই।
Phagun's greetings
Hakikur Rahman

The fire broke out, Phagun is back
In the new dawn
Palash blooms, sun shines
Falls on my eyes.
Heart throbbed, time has arrived
The garden in full of flowers
The world has waken up
Slowly along the river.
To illuminate, to capture thoughts
Wander far away
Emotion engulfing, bird is singing
Calling that sweet tone.

ভাটিয়ারী
হাকিকুর রহমান

যাও বয়ে যাও ওরে মাঝী
ভাটিয়ারীর চরে
হৃদয় তোমার পড়ে আছে
কাউকে দেখার তরে।।
সারাটা দিন এঘাট ওঘাট
করেই তোমার কাটে
ঘরের পথে রওনা দিবা
সূর্যি যায়যে পাটে।
এপার ওপার করো তুমি
গাও জীবনের গান
যতই থাকুক বর্ষা বাদল
যতই থাকুক বান।
মনের মাঝে কত আশা
নিয়ে তোমার চলা
দিনগুলো সব হারিয়ে গেলো
যায়না সেটা বলা।
Bangladesh in heart
Hakikur Rahman

I am always fascinated by the nature of the Bengal-
The heart melts away,
Rinse, fill hearts
Every day comes new dawn.
Wish is bound by the barrage of consciousness
Memories do not sound as if they are weak.
Heart and mind floating on the edge of the wind
Shocked when I stared at the green.
Astonished, the singing tunes of Kankan
In the barren, flute of shepherd, somewhere in the field, far away.

অশ্রুত কথা
হাকিকুর রহমান

ভাবনার মেঘ, বাড়ালো আবেগ
শুনি নির্লিপ্ত হাহাকার
চেতনার তীরে, শুধু ঘুরে ফিরে
জানিনাতো কেবা কার।
মন তুমি আজ, সেজেছো কি সাজ
বেঁধেছো কাহারে অন্তরে
যতো আটিসাটি, করে পরিপাটি
সেতো যায় দূরে সরে।
গোধূলি লগ্নে, থাকিয়া মগ্নে
খুঁজে যাই তারে আমি
পথে হলো দেরী, শুধু হেরাফেরি
তমসা আসিল নামি।
অশ্রুত কথা, বাড়ে বুকে ব্যথা
বোধগম্য হয়না যাহা
কল্পিত সুখে, ক্রন্দিত বুকে
সাজিয়ে রাখিনু তাহা।
Question?
Hakikur Rahman

Identify the circle, marked in diameter and radius
Moments of birth are mixed with bubbles, disappearing.
The puzzle, which covers with dust, is the course of life
Wisdom walks in the heart, yet desire fails.
The slippery hope is in the lurch, I think, in the desert
Chest, lonely salvation with a momentary hesitation.
To reach the desired goal, I see a paradise
In the midst of staggering essence, such a hidden curse.

আহ্বান
হাকিকুর রহমান

কে মোরে দেখালে
ঐ আলোর ঝরণাধারা
আমি আপ্লুত, আমি বিমোহিত
আমি আনন্দে আত্মহারা।
কে মোরে শোনালে
ঐ আগমনীর বাণী
ঘুঁচে গেলো যত জরা মোর
মুছে গেলো যত গ্লানি।
জাগালে প্রাণে মোর
বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা
হৃদয়ে আমার দিলে ভরে
নতুন এক চেতনা।
জ্বালালে এ বেলায় তুমি
কোন সে আশার আলো
সমুখের পানে পা বাড়িয়ে আবার
মনে লাগে বড় ভালো।

Friday, November 29, 2019


ফাগুনের ক্ষণে
হাকিকুর রহমান

শাখায় বসে ডাকে কোকিল, ভরা দখীন বায়
আকাশ পানে অধীর হয়ে, কি যেনো সে চায়।
শান্ত দিঘীর পাড়ে বসি, উদাস বাউল ভাবে
গ্রাম ছাড়িয়ে তেপান্তরে, কোন পথে সে যাবে।
ঝলমলিয়ে উঠলো জেগে, ভোরের দিবাকর
আলতো চোখে ঘুমিয়ে পড়ে, বনের নিশাচর।
থিরি থিরি বইছে নদী, ভাটিয়ারীর পানে
চলছে সেযে নিরবধি, সাগর বেলার টানে।
ধানশালিকের আনাগোনা, চলছে সারা মাঠে
শিশির ভেজা ঘাসের উপর, গাঁয়ের চাষী হাটে।
কৃষ্ণচূড়া রঙ ছড়ালো, ফাগুনেরো ক্ষণে
আম্রপালির মধুর সুবাস, ভরলো সারা বনে।
খুকুমনি উঠলো জেগে, মুখে নিয়ে হাসি
মায়ায় ভরা মুখটি যে তার, তারে ভালোবাসি।

বৌ
হাকিকুর রহমান

বৌটি যাবে শ্বশুর বাড়ি
বাক্স পেটরা বেঁধে
জামাই বাবু আছেন বসে
রাগ-রাগিনী সেঁধে।
কাঁচ কলা, পাঁকা বেল
আর হাতে তোলা ঘি
আমসত্ব, গুড়ের নাড়ু
সাথে দিয়েছি।
বাতাবি লেবু, জামরুল
আর ঘরে পাতা দৈ
পাটালি গুড়, চিড়া, মুড়ি
বিন্নি ধানের খৈ।
পটল, বেগুন, কুমড়ো
আর জালে ধরা রুই
রইলো বাকি আরো কিছু
এদের কোথায় থুই!
Killing of Jataka
Hakikur Rahman

Gourd is eaten in the bark, and the owl has awaken
Little Hilsas are in the village market, the purchase is going on.
Who's caught? Who sales? Nobody to see
The sale is going on without any obstruction.
If it goes like this, in this country, there will be no Hilsa
The twisted babe's eyes are buzzing, doing the thesis.
That is why the bark tree is running, who gave that oil
I'm sitting in the without hair, the wood apple fell.
মা ও শিশু
হাকিকুর রহমান

মায়ের কোলে শিশু দোলে
কান্নাকাটি ভুলে
চাঁদের মতো মুখটি যে তার
দেখি নয়ন তুলে।
মা-ই কেবল বুঝতে পারে
ছোট্ট শিশুর ভাষা
মা ও শিশুর ভালোবাসা
স্নেহ দিয়ে ঠাসা।
মা ও শিশুর ভালোবাসা
অমর হয়ে থাক
পৃথিবীময় সেই মমতা
যাক ছড়িয়ে যাক।
Life
Hakikur Rahman

When did the whimper of life is heard, from the wisdom of knowing
The scream of death can be heard, anytime
And have to leave each other, leaving everything on earth.
Life is a moving train, not known to stop
On the way back, everything is momentarily late, and some do not.
It just runs in front, not looking back
Who came, who went, it never calculates.
In this way of life, you have to pay barely a foot
It goes at its own pace, no hurry.

Thursday, November 28, 2019


প্রাপ্তি
হাকিকুর রহমান

বিস্তৃতির সন্ধিক্ষণে, সারাক্ষণ বিচরণ
ভাবনার অবতারণে, সর্বক্ষেত্র বিলক্ষণ।
সুচিন্তিত মতামতে, অনাগত ভবিষ্যৎ
সামঞ্জস্যতার অভিমতে, অধ্যুষিত জনপথ।
নেত্রের পর্যবেক্ষণে, ক্ষেত্রের সৃষ্টি
বহমান স্মৃতিচারণে, জাগে অর্ন্তদৃষ্টি।
পরিমিত পরিসরে, পূনরায় পদচারণা
প্রাপ্যতার অবসরে, বিস্মৃত অনুশোচনা।

স্বাধীনতার মাসে
হাকিকুর রহমান

লাখো শহীদের রক্ত
মিশে আছে এই বাংলার মাটিতে
পারিবেনা কেহ, আঘাত হানিতে
এই দুর্ভেদ্য ঘাঁটিতে।
কতনা মায়ের অশ্রু ঝরেছে
কতনা বোনের সম্ভ্রম
গড়িতে হইবে দেশটাকে মোদের
পন্থা ধরিয়া উত্তম।
থাকিবেনা হেথা কোন হানাহানি
থাকিবেনা কোন বিদ্বেষ
ছড়াক চারিদিকে শান্তির সুবাতাস
চেতনার হউক উন্মেষ।
Good morning
Hakikur Rahman

Swear thoughts tremble, more within than the heart
Flowers spread the fragrance, in the dim sum of dawn.
Preparing to hit the target, wind is on the sail
Stood firmly on the front of the boat, just moving forward.
Rush of thought at every watch, call that back
The memories are lost, you stay behind.
Arriving at the new hearth, the new consciousness on the chest
Raising the legs in the direction of the front again, eliminating all the pain.

তাসের ঘর
হাকিকুর রহমান

গোলাম, বিবি, সাহেব, টেক্কা,
কে কাহারে করিবে টেক্কা;
পৃথিবীটা তো তাসের ঘর-
মায়া মমতার বাঁধন ছিড়ে,
খাঁচার পাখিটা গেলো যে উড়ে;
আপন যারা ছিলো, হলো পর।
The song of vast field
Hakikur Rahman

The song of vast field
The song of my green leaf
Mind-blowing song
The song that engulfs my soul.
On the branches of the tree
Bird's song
Waves of water in the river
Unity in place.
The field is full of
Gold colored rice
Pleases my eyes
Pleases my mind.
বিধান
হাকিকুর রহমান

একালের কাজ ওকালে করবো
সেটা করা যাবেনা আর
এ কপালের সুখ ঐ কপালে দিবো
বদলানো যাবেনা তার।
যার যেটুকু আছে পাওনা
আছে যেটুকু প্রাপ্য
পেতে হবে তাকে সেটুকু সেখানে
হবেনা তার বিকল্প।
বিধির বিধান লেখা আছে সেথা
হিসাব সবই তাঁর ন্যায্য
এখন শুধু অনুধাবনের পালা
করে যেতে হবে ধৈর্য।
Of course
Hakikur Rahman

Don't listen to the sweet words of the wicked
Do not count when he says anything.
He is the one who wants to lose all the time
There are so many people out there to catch this.
All the time they are out of touch
All such intelligence is tight, then there is nothing to do.
Being in the midst of these people is a great danger
I know when to call, a new disaster.
Yet nobody knows, how, these people remain in the front row
No matter what you try, they remain out of sight.
চেতনার দর্পণ
হাকিকুর রহমান

দুঃখ হেরি সুখ মোর, করে নিভৃতে গমন
জীবনের কষাঘাতে, ভীরু ভীরু পদে, পিছু পলায়ন।
কার ব্যথা কেবা বোঝে, সবই কাকস্য পরিবেদনা
ক্ষণিকের তরে উজ্জীবিত হয়ে, সমুখের পানে পদচারণা।
সময়ের বশীভূত কর্মকান্ড, মনো পিঞ্জরে রাখি
চেতনার অভিসারে বিদীর্ণ বক্ষে, কিভাবে কাহারে ডাকি।
অভিপ্রায় মিটিলোনা কেনো জানি, এ জগতে হায়
কাছে যারে রাখি ধরে, সেতো দূরে চলে যায়।
জীবনের কাছে বিনা বাক্যব্যয়ে, এ যেনো আত্মসমর্পণ
মায়াজাল ঘিরে হৃদয় গভীরে, ধরি চেতনার দর্পণ।

Sunday, November 17, 2019

T-twenty cricket
Hakikur Rahman

The audience watches and the players play
Both fall into a tense sensation of extreme nerve.
You have to make sixes and fours
Each time the ball has to go to the boundary bar.
Dot ball on the other hand increases the pressure
T20 is very hot in cricket.
The game goes on to be white ball and played for twenty overs
If you do not run as there is no chance of winning.
T20 gives the game a great feel
Everyone is happy to see the game.

ফাগুনের বৃষ্টি
হাকিকুর রহমান

ভরা ফাগুনে, এক পশলা বৃষ্টি
বাতাস হয়েছে নির্মল, অচ্ছ-
একি অপরূপ সৃষ্টি।
ভিজিতেছে ডালে চাতক, চাতকী
ডাকিতেছে "ফটিক জল"
দিবাকর ঢেকে আছে মেঘের আড়ালে
শীতল হলো ধরাতল।
ঝরিতেছে বারি মাঠে-প্রান্তরে
পড়িতেছে টিনের চালে
জাগায় প্রান তটিনীর কোলে
বাড়িয়ে জল, মাতামুহুরীর নালে।
সাজিতেছে প্রকৃতি, কি মায়াবী সাজে
সাগর, পাহাড়, বনানী
ফুটিয়ে শিমুল, পলাশ, বকুল
স্নিগ্ধতায় ভরিছে ধরনী।

দখীন হাওয়া
হাকিকুর রহমান

দখীন হাওয়া
যাও মোরে নিয়া
আমি চাই যেতে চাই
ঐ গাঁয়ের বাঁকে
যেথায় পড়ে আছে
আমার হিয়া।
আমার মন পড়ে রয়
সোনা রঙের ধানের মাঠে
আমার মন পড়ে রয়
শাপলা ঘেরা পুকুর ঘাটে
আমার মন পড়ে রয়
জোসনা ভেজা খেলার মাঠে
আমার মন পড়ে রয়
রঙ ভরানো গাঁয়ের হাটে।
সুর্যি যখন যায়যে পাটে
দাদী, নানী গল্পে মাতে
বাঁশ বাগানে জোনাক জ্বলে
পাটের ক্ষেতে সোনা ফলে
এই নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখি
প্রাণ মন দিয়া।
আমি চাই যেতে চাই
ঐ গাঁয়ের বাঁকে
যেথায় পড়ে আছে
আমার হিয়া।
Hawker
Hakikur Rahman

Standing on the pavement
By raising the two arms.
Dust and mud on the body
Seeing pedestrians.
Lift up
Gesture to buy
So inexpensive
Buy some
He shouts, sells and survives
Morning-noon-evening.
Occasionally it hurts from running
Where can he go?
The needy family
Liability on him.
This is how the day goes
Not at anyone's mercy.

তাজমহল
হাকিকুর রহমান

মুঘল সম্রাট, শাহজাহান
তাঁর স্ত্রী
আরজুমান্দ বানু বেগমের স্মৃতির উদ্দেশ্যে
তৈরী করেন, এক রাজকীয় সমাধি-
সবাই চিনে একে, "তাজমহল" নামে,
যা যমুনার তীরে আছে দাঁড়িয়ে
নিয়ে তার বিশালতার পরিধি।
১৬৩২ খ্রিস্টাব্দে শুরু হয়ে-
১৬৫৩ খ্রিস্টাব্দে তা শেষ হয়,
২১ বছরে হাজারো কারিগর, স্থপতি, শ্রমিক
এর নির্মানে নিবেদিত ছিল সেথায়।
উস্তাদ আহমেদ লাহুরী ছিলেন
এর মূল নকশাকারক,
সাদা মার্বেলের গোম্বজাকৃতির সমাধিটা-
হচ্ছে এক জটিল অখন্ড, স্থাপত্যের ধারক।
প্রতি বছর, লাখো মানুষের ঢল নামে
ভালোবাসার এই নিদর্শন দেখার জন্য,
দেখে সবাই আপ্লুত হয়-
সকলের হৃদয়ে, এটা দাগ কাটে অনন্য।
Winter greetings
Hakikur Rahman

In the evening
Fine wind is playing.
The sun is about to sink
The bird pulls the mire back home.
Bucket of juice on the shoulders
Gachi is back home.
Don't stop shivering in the cold
All together, set up the fire.
The cake is dipped in the juice in the morning
Very tasty, heavy sweet to eat.
Very cold winter brother
Still want the winter to come.

একুশের প্রহরে
হাকিকুর রহমান

ওরা মরেনি, মরিতে পারেনা।
ওরা বেঁচে আছে, সকল বাঙালির হৃদয়ের অভ্যন্তরে
আর অশরীরী আত্মার আলোক ছড়ায়, প্রতিটি অন্তরে।
এই জগতে কত জাতি আছে- এসেছে- গেছে,
বলতে কি পারো? কতজন ভাষার জন্যে শহীদ হয়েছে?
এসেছিলে এদেশে ক্ষণজন্মা হয়ে,
হয়েছো আজ নীহারিকা
তাপিত, তাড়িত, তটিনীর দেশে,
জ্বলে থাকো হয়ে দীপশিখা।
কে বলে তোমরা নেই!
যখনই তাকাই পথে-প্রান্তরে, অগনিত লোকের ভীড়ে
সেই মুখগুলি, ভাসেতো আঁখিতে, নীরবেই।
দিয়েছো মোদেরে সমৃদ্ধ করে,
দিয়েছো বাঁচিবার অধিকার
দেখেছি মোরা চেতনার আলো,
জাগিয়েছো হৃদয়ে আকুতি স্বাধীকার।
আজি এ প্রহরে সময় এসেছে,
শানিত করিতে সেই চেতনা
উদ্বুদ্ধ হই, এই অরুণালোকে,
আর নয় কোন অনুশোচনা।
Pedestrian
Hakikur Rahman

The pedestrian is on the run in a rush hour
Otherwise, time is running out
Everyone is working for whatever
So, less time to talk.
Someone is walking fast
Someone walks slowly
Everyone is busy at work
Everyone is toiling.
Someone hits from behind
Give it a go
Walk in a hurry
Otherwise, no clue.
This is how everyone is in rush
That's how all are living
You have to reach the place of work
No time to stop.
ফাগুনের ক্ষণ
হাকিকুর রহমান

ঝিরিঝিরি বাতাসে লাগে যে দোলা
দখিনের জানালা রয়েছে খোলা।
মিটিমিটি জ্বলে ঐ আকাশে তারা
মন তাই আজ হলো বাঁধনহারা।
এলোমেলো ভাবনায় ভরে গেলো মন
আনমনা ইশারায় অচেনা ভুবন।
পবনেরো নাওখানি ভাসিয়ে দিয়ে
ফাগুনেরো এইক্ষণ রাঙিয়ে নিয়ে।
আলো আর আঁধারির চলিছে খেলা
এভাবেই কেটে যায় সারাটা বেলা।
Arithmetic
Hakikur Rahman

Adding two to two yields four
Subtracting two by two is zero.
By multiplying two by two, the result is four
If you divide the two into two then one is the value.
Addition, subtraction, multiplication, division- the world is moving in this game
Someone is falling behind again, making somersault.
So calculate your footprint, so on the way
He would fall into the puzzle, so somehow.

জ্ঞানের আলো
হাকিকুর রহমান

এসেছি একা, যাবো একা
এটা রেখো মন
কোনই কাজে দেবেনা
যতই থাকুক বন্ধু-স্বজন।
যাওয়ার পথে, আসার পথে
করেছি যে সব কাজ
হিসেব সবই দিতে হবে
বুঝতে হবে আজ।
মনের মাঝে এই কথাটি
রেখে চলাই ভালো
আসা-যাওয়ার পথে তুমি
জ্বালাও জ্ঞানের আলো।