Thursday, April 9, 2020

Bhatiari
Hakikur Rahman

Go on, oh my helmsman
Bhatiari's pasture
Where your heart falls
To watch someone.
All day long
That's how you row
Leave the house
The sun goes down.
Over here you do
Sing the song of life
As long as the sky is cloudy
Row anyway.
How much hope in the mind
Take you on
The days were all lost
Can't say that.
শেষের শুরু
হাকিকুর রহমান 

শেষ হইয়াও হইলোনা শেষ,
তাইতো রহিয়া গেলো তাহার অবশেষ।
কাহারে আজিকে কোন সুরেতে ডাকি,
কিছু পাইবার তরে অধীর আগ্রহে থাকি।
ভাবনার আগেই হইলো তো চলা শুরু,
চলিলাম তো অক্ষ হইতে অক্ষে, বেদনার ভীড়ে হৃদয় হইলো পুরু।
অরক্ষিত সীমানায় হারায়ে ফেলেছি নিজেকে,
পথটাকে আলোকিত করার সকরুণ প্রচেষ্টা, ক্রমান্বিত বর্ষীয়ান হইবার আলোকে।
বিস্মরণের ছায়ায় তবুও খুঁজিয়া ফিরি,
দিবাতো ঢলিলো পচিমেই, আর সমুখে হেরি ধবল গিরি।
আর নহে পশ্চাতে ফেরা,
আর নহে “গতস্য শোচনা” বিলক্ষণ-
দূর হয়ে যাক যত অনুশোচনা,
দূরেতে রহুক সকল অলুক্ষণ।
ভ্রান্তিবিলাস
হাকিকুর রহমান 

কৌটিল্য কিম্বা কাত্যায়ন,
যে যাহার ক্ষেত্রে প্রকৃষ্ট উদাহরণ।
খনা কিম্বা গ্যালিলিও,
হতে পারেনি অনেকের কাছে অতিপ্রিয়।
ভ্যান গগ্ কিম্বা জীবনানন্দ দাশ,
সমাজ তাহাদের চিনে নাই, সকলই ছিল ভ্রান্তিবিলাস।
সুকর্ণ কিম্বা কামাল আতাতুর্ক,
পেয়ে গেছেন কি তাঁহারা স্বাধীনতার প্রকৃত সুখ?
প্রশ্ন করিয়া ফিরি আজি কাহার কাছে,
উত্তর দেবার তরে হেথায়, কেইবা আছে!
ছড়াঃ তিড়িং-বিড়িং
হাকিকুর রহমান 

চিংড়ি করে তিড়িং-বিড়িং
খলসেটা দেয় ঝাপটা,
লাফিয়ে পড়ে ট্যাংরা, পুটি
বাপরে কি বাপটা।
নেংটি ইঁদুর দেখে ভয়ে
হুলোবেড়াল কাঁপে,
বাঁশ বাগানের ঝোপের ভেতর
নেউল তাড়ায় সাপে।
খ্যাংরাকাঠি চামচিকেটা
পিঠে মারে লাথি,
হাটুভাঙ্গার হাটু জলে
ডুবে মরে হাতি।
ভেংচি কেটে কাঠবেড়ালী
কাটলো গাছের মাথা,
ল্যাংড়া শেয়াল কেঁদে মরে
নেইতো কারও ব্যথা।
হ্যাংলাপনা করে বকন
মাঠের দিকে ধায়,
লেজ গুটিয়ে ক্ষ্যাপা কুকুর
আড়ে আড়ে চায়।
অদৃষ্ট
হাকিকুর রহমান 

পরিধি তো পরিধিই-
তার ব্যাস, ব্যাসার্ধ তো ধ্রবক।
আর জীবনের প্রয়োজনে
সেই পরিধির চারপাশেই,
চলে আনাগোনা।
হায়রে অদৃষ্ট!
বিনা প্রয়োজনে কি একবারও ফিরিবিনা চেয়ে?
ঘনঘোর সাঁঝে, কিম্বা প্রলয়ঙ্কর কোন প্রাতে-
পাবোকিনা দেখা।
কি শূন্য উপলব্ধি!
আহা, কতোযে পৌনঃপুনিকতার বিন্যাস-
কোন এক খন্ডিত উপন্যাসের ছেঁড়া পাতা,
চৈত্রের খরতাপে, স্মৃতির পদচারনায়
মর্মর ধ্বনি উঠে সেথা,
তবে তা নিতান্তই অস্ফুট।
ভাবনার ঘনীভূত ধোঁয়াশায় ঢেকে যায়,
সেই অদৃষ্ট-
ক্রমান্বিত অবতারণায়ও তার দেখা মেলা ভার।
সেতো অবিনাশীভাবে অদৃশ্য!
চরণচিহ্ন
হাকিকুর রহমান 

চরণচিহ্নগুলি-
ঢাকা পড়িয়াছে কবে কবে,
কোন সে অবেলায়
পদে পদে বাড়িয়াছে শুধু ধুলি।
এমনি লগ্নে আবার-
নতুন করিয়া ধরিলাম পথ চলা,
থাক পড়ে থাক পিছু
যা কিছু গিয়াছে যাবার।
আর নয় বিলাপ-
নীরবেই মুছি অশ্রুত আঁখি,
ক্ষণকাল রয় বিস্মৃত হয়ে
তিরোহিত হয় সংলাপ।
আশার সাগরে ভাসি-
ধরিলাম হাল,
সমুখে যাবার তরে
চলমানতায় ভালোবাসি।
সারেঙ্গী
হাকিকুর রহমান 

সারেঙ্গীটা উঠলো বেজে এ কোন সুরে,
ঘুম ভাঙ্গিয়ে কাড়লো হৃদয় সে কোন দূরে।
ঘরছাড়া মন কোন দিশাতে পথ হারালো,
যাবার বেলা আসবে বলে হাত বাড়ালো।
বাঁধন ছেড়া তারে কি আর লাগে জোড়া,
বাতায়নে রইলো পড়ে শুকনো তোড়া।
আগামীকে পাবো কি আর চিনে নিতে,
খেই হারানো দিনগুলিকে সাজিয়ে দিতে।
সুখের খোঁজে
হাকিকুর রহমান 

কাঁপা কাঁপা সুখের খোঁজে
জীর্ণ হৃদয় কিউবা বোঝে।
শীতল হাওয়া বইছে মাঠে
চিন্তা করেই কালযে কাটে।
সামনে চলার পথটা হারাই
পা বাড়িয়ে কোথায় দাঁড়াই।
গতির পিছে অতীত ফুরায়
ভ্রান্ত পথের ক্লান্তি কুড়ায়।
ঘুনধরা পথ হুতাশ ছড়ায়
দিনের সূর্য সাঁঝেই গড়ায়।
ভোরের আলো
হাকিকুর রহমান 

প্রলয় নাচন নাচলো বাঁধন হারা,
উল্কাপাতে ঝরলো পড়ে তারা।
ইচ্ছেগুলো নতুন করে চাই,
আকাশ পানে তাকিয়ে থাকি তাই।
জাহ্নবী তার তন্দ্রা হারালো,
রবির আলো গগন ভরালো।
আপন স্রোতে আপনি নাচে নদী,
সাগর পানে যায় যে নিরবধি।
কিসের আশায় যাই যে গেয়ে গান,
ভোরের আলোয় উঠলো জেগে প্রাণ।
সময়
হাকিকুর রহমান 

সময়ের নিউক্লিয়াসে প্রবেশ করে,
দেখলাম-
তার প্রোটপ্লাজমের সবচেয়ে ঘন,
আর পর্দাঘেরা অংশটাকে।
যা কিনা,
জীবনের সফল কোষের
সব জৈবিক ক্রিয়া-বিক্রিয়াকে করে চলে নিয়ন্ত্রণ।
তাহা,
আত্মার প্রাণকেন্দ্রে অগনিত
প্রোটন আর নিউট্রনের সমন্বয়ে গঠিত।
যেখানে,
অপেক্ষাকৃত স্পষ্ট অঙ্গানু বিদ্যমান,
যাহা অনাদিকালের বাহক,
এবং বহুমাত্রিক;
আর সেতো মহাকালের নীরব সাক্ষী!
কবিতা
হাকিকুর রহমান 

কবিতা লেখার উপকরণগুলো খুঁজে ফেরা-
এ যেন কোন অচেনা স্বপ্ন দিয়ে দেয়ালগুলো ঘেরা।
কনকচাঁপার কাহিনীটা শেষ হবার আগেই,
যূথিকার সুবাস, সেতো ভাসে বাতাসে সেই ত্যাগেই।
বিষয়বস্তুতে নেই আগের মতো স্বাচ্ছন্দ,
তবুও অন্তকরণে ভরা রয়েছে, আবেগের আনন্দ।
দেদীপমানতা নিয়ে লিখে চলি,
অখন্ড বসন্তের কতকথা-
নিরানন্দের মাঝেও উদ্দেলিত হয়ে,
ভেসে চলুক কবিতার কথাগুলি, যথাতথা।
ভাবাবেগ নিয়ে আজও বসে থাকা,
সময় বয়ে চলে, সেতো অনন্ত-
তাই কেন জানি মনে হয়,
ক্ষুধার্ত পথশিশুর কাছে, সাদা ভাতই বেশী জীবন্ত।
ভাবনা
হাকিকুর রহমান 

আপন জনই গেলো ছেড়ে,
ভাবনা করি শুধুই মিছে-
আশালতা পড়লো ছিঁড়ে,
চিন্তাগুলো থাকেই পিছে।
দোল ছাড়া ঐ দুলুনিতে,
নাগালটাতো পাইনে খুঁজে-
বাঁধভাঙ্গা ঐ জোয়ারেতে,
জীবনটাকে নিলেম বুঝে।
আসলো পথে আঁধার নামি,
চলছি তবু থামি থামি।
জ্বালিয়ে বাতি সাঁঝের কালে,
রইনু বসে হৃদির ভালে।
বদ্ধ দুয়ার আগলে রেখে,
যোজনাগুলো গেলেম দেখে।
দাগনভূঁইয়া
হাকিকুর রহমান 

পৌঁছিয়া দাগনভূঁইয়া,
চিন্তা করি শুইয়া, শুইয়া।
ফেনী জেলার সর্ব-পশ্চিমে এই জেলা অবস্থিত
পূর্ব নাম গোপীগঞ্জ,
ছিল ভুলুয়া রাজ্যের অধীনে শাসিত।
বার ভূঁইয়াদের একজন,
দাগন ভূঁইয়ার নামে হয় ইহার নাম-
ইহার উত্তরে আছে,
কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট ও চৌদ্দগ্রাম।
বর্তমানে ইহা একটি পরিপূর্ণ উপজেলা,
এখানে আছে স্বনামধন্য শিক্ষাকেন্দ্র মেলা।
রহিয়াছে হেথা, অনেক ছোট-বড় হাট-বাজার,
আরও আছে ভাষা শহীদ আবদুস সালাম
স্মৃতি জাদুঘর ও গ্রন্থাগার।
অতঃপর-
করিয়া বিক্ষিপ্ত বিচরণ যত্রতত্র,
লিখিলাম বাড়িতে এক কুশল পত্র।
ভাবনার উদ্রেক করিওনা কেহ,
সকলের তরে রহিল, প্রগাঢ় স্নেহ।
করিয়া হেথা সুষ্ঠুভাবে কর্ম সম্পাদন,
ফিরিব বাড়িতে অতি সত্বর বিলক্ষণ।
অব্যক্ত কথন
হাকিকুর রহমান 

কাহারে কিভাবে বলি,
কোন পথে হেঁটে চলি-
সকল পথই তো মিলেছে সেথায়,
জীবনের চোরাগলি।।
সীমানার এপারে দাঁড়িয়ে,
চাহি দুই বাহু বাড়িয়ে-
ক্লান্ত পথিক নিশানা হারালো,
ভ্রমর খুঁজিছে অলি।
কি সুরে গেয়েছিনু গান,
ভরাতে চেয়েছিনু প্রাণ-
ছড়ায়ে দিয়েছিনু ফুলেরো পাপড়ি,
গেলো চলে পদদলি।
ভাবিতেছি কি কথা আজি,
আকাশ রাঙিলো কি সাজি-
মিছে আশা নিয়ে পথ চেয়ে থাকি,
ঝরে পড়ে ফুলকলি।
জন্মভূমি
হাকিকুর রহমান 

সুজলা-সুফলা-শস্য-শ্যামলা
জননী জন্মভূমি,
হৃদয়ে রাখিনু ভক্তি তোমার
চির শ্বাস্বত তুমি।
কতশত নদী বয়ে চলে যায়
তোমারই হৃদয় জুড়ে,
নাম না জানা পাখি বাস করে
তাহাদের সুখ নীড়ে।
বনে বনে ঐ ফুটে কত ফুল
সুবাসে ভরায় মন,
গাছে গাছে ফলে কত মধুফল
পরিপূর্ণ বেনুবন।
রহো তুমি মোদের হৃদয় জুড়ে
করি তোমারি গুনগান,
সুখ-সমৃদ্ধিতে উজ্জীবিত করে
করো মোদেরে মহীয়ান।