Saturday, January 2, 2021

Wait
Hakikur Rahman

Say that the flute will sound
I was sitting and opening the fence
He didn't play the flute anymore.

I will listen to that tune
I thought in my heart
He did not sing in tune anymore.

That says I will draw pictures
I caught paint and brush
But couldn't draw anymore.

That's the way it goes
I went out to the door
But couldn't cross the bridge.

I thought that I will paint in that face
Since when did I dress up?
And couldn't no longer painted in color.

 

থাকুক পড়ে
হাকিকুর রহমান
থাকুক পড়ে চিন্তা চেতনাগুলো
ধরার ধুলোয় মিশে,
থাকুক পড়ে বেহায়া ইচ্ছেগুলো
যেখানে সেখানে ছড়ানো
পাইনে তো তাই, অন্য দিশে।
থাকুক পড়ে অসহ্য যন্ত্রণাগুলো
পথের পাশে দাঁড়িয়ে,
থাকুক পড়ে অসামঞ্জস্যতাগুলো
নেয় নিক, দু’হাত বাড়িয়ে।
থাকুক পড়ে মঙ্গল-কল্যাণের কথাগুলো
রোজনামচার পাতা ভরে,
থাকুক পড়ে পরিত্রাণগুলো
ঘুণে ধরা সমাজটার হাত ধরে।
থাকুক পড়ে পরিশুদ্ধিত প্রকাশগুলো
আধাঁরের মাঝে লুকোনো,
থাকুক পড়ে হিসেবের খাতাটি
অনিয়ন্ত্রিতভাবে, কারণ আসল
হিসেবটাতো হয়নি এখনও চুকোনো।
(সর্বস্বত্ব লেখক কর্তৃক সংরক্ষিত)

 

স্বরলিপি ছাড়া গান
হাকিকুর রহমান
দাও খিল, দাও তালা
বাড়ুক না অযথা হৃদয়েতে জ্বালা।
স্মৃতিগুলো সব মৃন্ময়ী হলো
মৃদু সমীরণ যে বইছিলো
তা হঠাৎ করে কোথা গেলো?
কোন এক চৈত্র পূর্ণিমা রাতে
হয়তোবা হয়েছিলো দেখা কার সাথে।
কুহকের মায়াজালে তা গেছে ঢেঁকে
শুধু পদচিহ্ন তার গিয়েছে সেখানে রেখে।
জীবন তবুও চলেছে জীর্ণ স্রোতা এক নদী
থেমে থাকেনা কভু, বয়ে চলে নিরবধি।
মনতো বিবাগী হলো, রহেনাতো আর ঘরে
অচেনা আঙ্গিনাতে, কাহারে যে খুঁজে মরে।
প্রাণিত চাহুনিতে দেখিবারে তাহা চাই
নির্মল আনন্দে, স্বরলিপি ছাড়াই গেয়ে যাই।
(সর্বস্বত্ব লেখক কর্তৃক সংরক্ষিত)

 

অজানা গন্তব্য
হাকিকুর রহমান
গহন অরণ্যে এখন আর যেতে ইচ্ছে করে না-
বয়ঃসন্ধিকালে বহুবার গিয়েছি,
শীতের ন্যাড়া গাছগুলো যখন
পাতা ছড়িয়ে দিতো পদতলে-
মর্মর ধ্বনি উঠতো পায়ে পায়ে,
তখন সে এক চমৎকার অনুভূতি হতো।
কিন্তু এখন ওই ঝরাপাতার মর্মর ধ্বনিকে
কান্নার প্রতিশব্দ মনে হয়-
কারণ, তরুলতাগুলো কেঁদে কয়,
“বাঁচাও, যাচ্ছি মরে!”
কেমন জানি লাগে হাড় ভাঙ্গা
নিঃশ্বাসের মতো।
তবুও আমার পা দু’টো
ক্ষয়িষ্ণু জুতোর ভেতরে
আর থাকতে চায় না,
লাগামহীন ইচ্ছে নিয়ে
সে বার বার বলে,
“বেরিয়ে পড়ো অজানা গন্তব্যে”।
(সর্বস্বত্ব লেখক কর্তৃক সংরক্ষিত)

 

রাত্তিরের জানালা
হাকিকুর রহমান
রাত্তিরের জানালায়
কে যেন উঁকি দিলো!
চিনি কি তারে?
না তো, মনে হয়না।
কারণ, অবয়বটা কখনই
দেখা হয়নি যে-
যদিওবা চেয়েছি বারে বারে।
শুধু ক্ষীণ ছায়াটাই ফেলে গেছে,
যতবার এসেছে-
বাতায়ন ঘিরে, চন্দ্রিমার রুপোলী আলো
ঝরে পড়েছিলো, সেই রাতে-
তবুও সে কেন জানি
দৃশ্যমান হলোনা
চারিদিকে তো শুধুই দেখি কালো।
দু’একটা চন্দ্রমল্লিকাও
ফুটেছিলো, কাননের ধারে-
সেগুলোতেও সে হাত দেয়নি
কোন সে অভিমানে-
শুধু ঝরা পাতার মর্মরে
শুনেছিলাম তার আসা-আর-যাওয়া
হাত পেতেও তো কিছু সে নেয়নি।
(সর্বস্বত্ব লেখক কর্তৃক সংরক্ষিত)

 

মুখোশের আড়ালে
হাকিকুর রহমান
মুখোশের আড়ালে মুখোশ লুকিয়ে থাকে
নামহীন পথে ফেউগুলো তাকিয়ে ডাকে।
তারাদের সাথী হবো বলে রাত জাগি
ঘণঘোর কালে উৎকন্ঠা কার লাগি।
নিশিদিন খোঁজা পুরোনো বিয়োগ ব্যথা
আবেগে জড়ানো রহিলো যে সব কথা।
ভাঙ্গনের তীরে তবু কেন ঘর বাঁধি
নিষেধের ভীড়ে শুধু সেই সুর সাধি।
ক্লান্তি ভরানো কন্ঠে গাহিয়া যাই
পিছনের পানে বারে বারে ফিরে চাই।
(সর্বস্বত্ব লেখক কর্তৃক সংরক্ষিত)

 

বিকেল বেলার পাখি
হাকিকুর রহমান
এই যে আসা, এই যে যাওয়া
এরই মাঝে ভবসাগরে
কোন সে তরী বাওয়া-
ভর লহরীর তালে তালে
সুরটা ধরে
সমুখ পানে যাওয়া।।
এ যেন কোন বিকেল বেলার পাখি
ফুড়ুৎ করে যাবে উড়ে, বুঁজলে দু’টি আঁখি।
তবুও আবার পথের মাঝে অবাক চোখে
একটু থামা, একটু চাওয়া।।
সাঁঝ বেলাকার আঁধার ঘরে
অন্ধ প্রদীপ রইলো পড়ে-
স্বপ্নগুলো সাজিয়ে রেখে,
উল্টোপথের আমন্ত্রণে
এ কোন সুরে গাওয়া।।
(সর্বস্বত্ব লেখক কর্তৃক সংরক্ষিত)

 

শান্তির নীড়
হাকিকুর রহমান
বাজাও তব মোহন বাঁশি
বসে যমুনার তীরে,
আমি চাই যেতে সেথা
আঁখি পল্লব ঘিরে।
ওহে উদাসীন, তুমিও কি আজ
বাঁধ সাধিলে সেথায়,
আমি নিমগ্ন, উচকিত মনে
বাঁধা পড়েছি যেন কোথায়।
রূপোর নূপুর বাজায়ে চলিছে
কাহার গৃহবধূ ওই,
রাখাল, তুমি কি চাহিয়া রয়েছো
তব সুর গেলো কই।
সাঁঝের আঁধার নামিয়া এলো যে
জ্বালাও পিদিম তব গেহে,
সেথায় বাঁধিনু শান্তির নীড়
চিত্ত ভরে থাক শত স্নেহে।
(সর্বস্বত্ব লেখক কর্তৃক সংরক্ষিত)

 

নতুন সাজ
হাকিকুর রহমান
রাত্রি যখন আঁধার হলো
সাঙ্গ হলো সকল কাজ
অবনী তার রূপ ছাড়িয়ে
ধরলো নতুন করে সাজ
ভেবেছিলাম আগবাড়িয়ে
চাঁদের দেখা পাবো আজ
ঢাকলো আকাশ মেঘের পিছে
দিলো কেমন অন্য ভাঁজ।
পাখ-পাখালি উড়লো সেথায়
গেলো ফিরে যে যার নীড়ে
বনমহুয়া উতাল হলো
হারিয়ে গেলো কোন ভীড়ে।
দু’এক জনা বল্লো ডেকে
উঠবে পূবে মহারাজ
অবনী তাই রূপ ছাড়িয়ে
ধরলো আবার নতুন সাজ।
(সর্বস্বত্ব লেখক কর্তৃক সংরক্ষিত)

 

অপাংক্তেয়
হাকিকুর রহমান
অপাংক্তেয় হবার জোগাড় দেখি যে।
পুড়ে যাওয়া বিড়ির পাছাটার মতো,
তবু সেটা কুড়িয়ে নিয়ে দুই আঙুলে মুছে
কেউ কেউ সুখটান দেয়-
কিন্তু, এমনিই পরিস্থিতির শিকার যে,
সময়ের কাছে ধরাশায়ী।
বুড়ী ভিখারিনী তো পেটের দায়ে হেঁটেই চলেছে,
ভালো করে হেঁটে চলার মুরোদ নেই
তবুও করবে কি
কেউতো আর দানছত্র খুলে বসেনি-
তাইতো সকাল-সন্ধ্যে এপাড়া-ওপাড়া হাতপাতা
আর হাপিত্যেস করা।
বুড়ো বটের ডালে ঝুলে আছে ঝড়ো কাক,
তারও গ্রাসটা হস্তগত হয়ে যায় ক্ষণে ক্ষণে।
ধনুকের মতো ন্যুজ্ব হয়ে যাওয়া স্কন্ধে
আবারও সোজা হয়ে উঠে দাঁড়ানোর
কি নিদারুণ প্রচেষ্টা।
সাথী হয়েছে শুধু, পাটে পাটে ভাঁজ করা স্মৃতিগুলো-
ওগুলোই কি ছিঁড়ে ফেড়ে খেয়ে ফেলবো নাকি?!
(সর্বস্বত্ব লেখক কর্তৃক সংরক্ষিত)

 

আগল আঁটা
হাকিকুর রহমান
দুয়ারে আমার আগল আঁটা
চাইলে কি আর পারিবো খুলিতে,
হৃদয়ে বিঁধিলো মৃণাল কাঁটা
অন্তর দীঘিতে কমল তুলিতে।।
ছাড়িয়া গিয়াছে বহুদিন হলো
ভাঙ্গিলো সকলই মুখের বুলিতে,
দিনের দাহতে সারাক্ষণ গেলো
তবুও তাহারে পারিনে ভুলিতে।। ..

 

ছড়া- বাঘের মেসো
হাকিকুর রহমান
বাঘের মেসো, বাঘের মেসো
যাচ্ছো কুটুম বাড়ি?
সঙ্গে তোমার চাই যে যেতে
তৈরি তাড়াতাড়ি।
নয়টা জীবন পেয়ে খুড়ো
নিত্তি যে খাও মাছের মুড়ো,
সবার পাতেই ভাগটা বসাও
বাদ যায়না ছেলে বুড়ো।
রওযে বসে আড়ি পেতে
লেজটা মাছের চাও যে খেতে,
মিয়াও বলে হামলে পড়ো
লজ্জা তোমার নেই যে চেতে।
যতই বলি পাবানা আর
তোমার সাথে পারাটা ভার,
বসলে খেতেই দৌড়ে আসো
বন্ধ করা যায়না যে দ্বার।
(সর্বস্বত্ব লেখক কর্তৃক সংরক্ষিত)