Wednesday, August 26, 2020

Traveler
Hakikur Rahman

Traveler missing the target
Turns out just in the middle of the path
The frustration of not being able to find
Feel bad in the corner of the heart.
Looking for a hint of light
If seen anywhere
The whole time gets on the way
So he rans and runs.
Someday, it will end
When and where no one knows
Absolutely maybe going
To stop there then.
Find out
Hakikur Rahman

Who summoned me
With that word of hope,
Looking for herer
In this tiny range-
I don't remember though
Her face.
Still walking in hope
As if absolutely motionless,
Which has no end
Just think so always-
To see her again
Someday, someday...
বরষা বালিকা
হাকিকুর রহমান

পুঞ্জিত মেঘে, ভেজায় ধরণীকে
চেয়ে রয় বরষা বালিকা,
সাথে সহচরী, বজ্রনাদ ভেরী
গলে তার ধবল মালিকা।
ঝিলিক হেরি, গগনের পানে
চাহে চাতক-চাতকী,
ভরা বরষায়, শ্রাবণ প্রাতে
বনে ফুটে যুঁই-কেতকী।
পেতে নীলাঁচল, বঁধু চেয়ে রয়
ঝরো ঝরো বরষার পানে,
পূবালী বায়ে, ঝাপটা লাগে
বেনুবন মুখরিত গানে।
পদ্ম পাতা, ঝরে টলোমল
ভরো ভরো দীঘির মাঝে,
কাজলা মেয়ে, শাপলা তুলে
ঘরে ফেরে রঙিন সাজে।
বেশ আছি কাছাকাছি
হাকিকুর রহমান

বেশ আছি, সুখেই আছি,
বেদনার সরোবরে ডুবেই আছি-
বহু স্বপনের স্বাক্ষী হয়ে,
নিদ্রাহীন জেগেই আছি,
অনেক খরার মাঝে,
নতুন খরা হয়ে বেঁচে আছি-
ঘাসফুলগুলোর সঙ্গী হয়ে,
শিশিরের মাঝে বেশ আছি,
কাছাকাছি,
সাগর বেলার বালুচরের কাছাকাছি।

রঙিন রুমালের আল্পনা হয়ে,
আঁকাবাঁকা চোখে চেয়ে আছি-
বুনো জাঙ্গলার আগাছা হয়ে,
নলখাগড়ার ডালে ঝুলে আছি,
অপমানিত হবার আগেই,
লজ্জা ঢেঁকে নিয়ে দূরে আছি-
ঘন মেঘের আচ্ছাদনে,
নিজেরে লুকিয়ে রেখে জেগে আছি,
কাছাকাছি,
তবুও বেদনার স্রোতে ভেসে আছি, কাছাকাছি।

আকাশের উসকো খুসকো চুলে,
বিলি দেবার তরে সেজে আছি-
পাতার ফাঁক দিয়ে গলে আসা,
একটু আলো দেখার তরে বসে আছি,
কাছাকাছি,
না বলা কথাগুলোর অতিশয় কাছাকাছি।
ভাবনার সুরে
হাকিকুর রহমান 

লাগিল বাতাসে দোলা
দখিনা জানালা খোলা,
ডাক দিয়ে যায়, দখিনার বায়
যায় কি যে তাহা ভোলা।।
আনমনে থাকি বসে
হালখানি ধরি কষে,
গগনে-পবনে মেঘ,
লুকোচুরী খেলে
স্মৃতি সেথা থাকে তোলা।।
অচেনার ইশারায়
কে কি সুরে গান গায়,
সঘন-মগন চিতচোর এসে,
দাঁড়ালোযে দ্বারে
মনটা করে উতলা।।
বেনুবনে ফুটে ফুল
চিনিতে করিনা ভুল,
হরষে-পরশে ভাবনার ভিড়ে,
খুঁজে ফিরি তারে
ক্ষণটা হলো মেঘলা।।
দিলাম তোমায়
হাকিকুর রহমান 
 

দিলাম তোমায় উজাড় করে,
সাঁঝ বেলাকার মেঘলা আকাশ
দিলাম তোমায় চিত্ত ভরে,
অস্ত যাওয়ার আলো।
দিলাম তোমায় দুঃখবিহীন যত দুখ,
দিলাম তোমায় সুখবিহীন যত সুখ।
দিলাম তোমায় শিশির ভেজা
মাঠে শুয়ে থাকার অনুভূতি,
দিলাম তোমায় এই অবেলায়
মুঠো ভরা রোদ্দুর।
দিলাম তোমায় নাচলা পথে
আবার চলার সুযোগ,
দিলাম তোমায় নুড়ি পাথরে ঘেরা
জনাকীর্ণ এই শহরের পিঠ।
দিলাম তোমায় শেষ বেলাতে
এক গুচ্ছ কুঞ্জলতা,
দিলাম তোমায় খেলার ছলে
সব ইচ্ছেগুলোকে হাতে তুলে...
দিবাস্বপ্ন
হাকিকুর রহমান 

এক চিলতে মেঘ, নীল আকাশের এক কোণে
আতিপাতি করছে,
পাশ দিয়ে উড়ে চলেছে একটা চিল।
সে জানেনা তার ওড়ার পরিধি
আজ কতদূর হবে।
সাথে আর একটা, বুড়ো শকুনও উড়ছিল-
কিন্তু, শীর্ণ দেহে ক্লান্ত হয়ে
তাল গাছটার মাথায় হেট হয়ে বসে আছে।
মরা গরু এখন আর মেলেনা,
তাই যদিও পড়শীরা সব উধাও হয়েছে
অনেক আগেই, তবুও সে আর যেতে পারেনি।
এখন তার অনাহারেই রাত্রি কাটে,
আর অপেক্ষায় রয়েছে, কবে জানি
বিলীন হয়ে যাবে, প্রকৃতির কাছে।
দূরে রেল লাইনের উপর দিয়ে
হন্ হন্ করে ছুটে চলেছে, এক ট্রেন-
কতজনের গন্তব্য বাঁধা তার সাথে,
থামার সময় নেই।
ওদিকে একটা বুনো শালিক,
হঠাৎ করে চিৎকার করে উঠলো,
“একটু জল চাই!”
আর আমার দিবাস্বপ্নটা অমনি
মিশে গেলো আকাশের মেঘের সাথে।
প্রতিবিম্ব
হাকিকুর রহমান

ইচ্ছে ছিলো-
আয়নার প্রতিবিম্বে নিজেকে
আবার নতুন করে দেখবার।
কিন্তু তা সফল হলোনা-
কারণ, ঐ প্রতিবিম্বে তো আমি নেই,
ওটা হুবহু আমার বৈপরীত্য।
আমার ডান হয়েছে ওখানে বাম,
আর আমার বাম হয়েছে ওখানে ডান,
অনেক প্রচেষ্টার পরও
মিললোনা প্রতিবিম্বটা-
তাই, ইচ্ছেটা আমার আর পূরণ হলোনা।
তবুও নিবিষ্ট মনে
চেয়ে রই প্রতিবিম্বটার পানে,
দেবে কি সে আমারে
ভবিষ্যতের কোন বাণী!
বিভাবরী
হাকিকুর রহমান 

জাগিয়া রয়েছে ঐ শ্রান্ত বিভাবরী,
আঁখি দু’টি হতে নিলো নিদ্রা হরি।।
কাহারে ডাকি আজি এই আঁধারে,
গগনে উঠিলো শশী সেই বাহারে।
রাত জাগানিয়া পাখি ডাকিলো দূরে,
চিত্ত মম উছলিয়া জাগিলো সুরে।
নিপট স্বপনগুলো ভাসিল মনে,
অধীর লগ্নগুলো আসিল ক্ষণে।
সেতুহীন স্রোতস্বিনী
হাকিকুর রহমান 

হৃদয়ের অভ্যন্তরে, এক সেতুহীন স্রোতস্বিনী বয়ে যায়,
বয়ে যায় অবিরত। হাতদু’টি ধরে এনেছিলাম ডেকে-
এসেছিলো। তবে মনটা মনে হয় অন্য কোথাও রেখে।
বলেছিলো, আত্মাটাকে দাও- নিস্বার্থভাবে দিয়েছিলাম।
বলেছিলো, হোগলাপাতার বেষ্টনী ভালো লাগেনা,
গোলপাতার ছাউনি বানাও- অতি কষ্টে বানিয়েছিলাম।
বলেছিলো বলেই, নিজের সাজসজ্জা ছেড়ে,
কোন এক দুর্ভেদ্য অরণ্যে প্রবেশ করেছিলাম।
তবুও, একাকীত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি মেলেনি,
আর অন্তরের অভ্যন্তরে, না বলে কয়েই-
অব্যক্ত সে কোন প্রবঞ্চনার মতো,
এক সেতুহীন স্রোতস্বিনী বয়ে যায় নিরন্তর।
মায়ের কোল
হাকিকুর রহমান

শিশু-
জন্মানোর পরই দু’পায়ে হাঁটতে পারেনা,
প্রথমে হামাগুড়ি দেয়, তারপর হাঁটতে শিখে;

শিশু-
জন্মিয়েই্ দেখতে পায়না,
কিছুদিন দৃষ্টিহীন থাকে, তারপর দেখতে পায়;

শিশু-
জন্মানোর পরেই কথা বলতে পারেনা,
আগে অস্ফুট কথা বলে, তারপর স্পষ্ট কথা বলে;

শিশু-
জন্মিয়েই কাঁদতে পারে,
জানান দেয় পৃথিবীকে, আমি এসেছি!

শিশু-
জন্মানোর পরই গন্ধ শুঁকতে পারে,
মায়ের কোলকে খুঁজে নেবার জন্যে।