Friday, February 5, 2021

 

সবাই বিকোয়
হাকিকুর রহমান 
 
কেউবা বুদ্ধি বিকোয়
আর বসে বসে খায়,
কেউবা নির্বুদ্ধিও বিকোয়
আর ভালোভাবেই পাতপুরে খায়,
কেউবা কথা বিকিয়েই জীবন কাটায়
তাতো, দিব্বি কাটায়।
কেউবা জালভর্তি মাছ ধরে বিকোয়-
তারপর শাকান্ন খায়
আর ঘরভর্তি লোকগুলো
জালেতে মাছের গন্ধ শোঁকে,
কেউবা গাভীর দুধগুলোকে চিপে চিপে
শুকিয়ে ফেলে বিকোয়-
তারপর শাকালু সেদ্ধ করে খায়
যদিওবা শুকনো বকনটা শুকনোই থাকে।
কেউবা ক্ষয়ে যাওয়া শরীরটাকেই বিকোয়-
আর খরচাপাতি চালায়,
কেউবা অনিচ্ছা সত্বেও স্বপ্নগুলোকেই বিকোয়-
তারপর অনায়াসে দিনের পাট চুকোয়।
তা বিকোয়,
সকলেই কম-বেশী, কিছু না কিছু বিকোয়-
নইলে জঠরের উনুনে খড়ি দেবে কে?

 

অশ্বকথন
হাকিকুর রহমান 
 
অশ্ব হইতে সওয়ার অবশেষে
বিভোর হইয়া
নামিলেন মর্তে,
অশ্বটি তাহার হঠাৎ করিয়া
অদৃশ্য হইলো
এক বিশাল গর্তে।
ধারনা ছিলোনা তাহার
এরূপ হইতেও পারে
কোনও ঘটনা,
যদিও বিশ্বাসযোগ্যতা ছিলোনা
তাহাতে, মনে হইয়াছিলো
সব কিছুই রটনা।
উপায়ান্তর না দেখিয়া
অশ্বকে পুনরুদ্ধার করিবার
নিদারুণ প্রচেষ্টা,
অশ্বটি সহ বাহনটিও হারাইয়া
অন্তরে আবিষ্ট হইলো
সকরুণ তেষ্টা।

 

শীতের শুভেচ্ছা
হাকিকুর রহমান 
 
শীতের সাঁঝের বেলা
মিহি বায় করিছে খেলা।
সূর্য ডুবে প্রতীচী পানে
পাখিকুল ঘরে ফিরে মায়ার টানে।
কাঁধে নিয়ে রসের হাড়ি
গাছি ফিরে নিজ বাড়ি।
কনকনে ঠান্ডা থামেনা যেনো
সকলে মিলে তাই আগুন পোহানো।
ভোরবেলা রসে ডোবানো পিঠা
বড়ই সুস্বাদু, খেতে লাগে ভারি মিঠা।
অতি শীতে মরি ভাই
তবুও শীত আসা চাই।

 

কান্না কুড়োতে চাই
হাকিকুর রহমান 
 
কান্না কুড়োতে এসেছি মাগো, এই অবেলায়-
কুকড়িয়ে যাওয়া মনের কান্নাগুলো
যে গুলোকে তুলে রেখেছো শিয়রের কাছে-
আমি তো কান পেতে সেগুলোকে শুনতে পাই,
তাতে, আমার কি দোষ হলো, তুমিই বলো।
সোনার ফসলেতে ভরে আছে ক্ষেত-
রাঙা মাটির বিরান পথটা তবুও কেন কাঁদে,
শূন্য আঙিনাটাই বা কেন কাঁদে,
বুঝতে পারিনে মাগো, তোমার ছায়ার
পরশ পেতে, বুকের আলোতে বিলীন হতে
আমিও যে কাঁদি।
শারদ সকালে ঝরা বকুলের কান্না
কেন শুধু আমিই শুনতে পাই, মাগো-
ঝর্ণার জল, গোল নুড়িগুলোকে বুকের
ভেতরে নিয়ে বয়ে যায় যখন, তার
কান্নার প্রতিধ্বনিও যে আমি শুনি।
বুনো সূর্যের আলোয় একাকী মরুদ্যানটা
কি হাসে, না কি কাঁদে, সে খবরটা
কেইবা রাখে? আলোর প্রার্থনায়
মায়ের পাখার নিচে বসে ছোট্ট পাখিটা
কি হাসে, না কি কাঁদে, কেইবা জানে।
তবুও বুকের পাজরে থিতিয়ে থাকা
কান্নাগুলোকে কুড়িয়ে যেতে চাই, মাগো।

 

পুনরারম্ভ
হাকিকুর রহমান 
 
ধ্যান ধারনার উর্দ্ধে উঠে আবার বিচরণ
সত্যি কথা বলার ফলে এমন আচরণ।
চলতে পথে পিছলে পড়ে ক্ষণিক থামা সেই
পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখি পায়ের চিহ্ন নেই।
ঘুম তাড়ুয়া চিন্তাগুলো চেপে বসে রাতে
নতুন আশার স্বপ্নে বিভোর হইযে প্রতি প্রাতে।
কেমন করে ঘটলো এসব বুঝতে পারিনিযে
এমন দিনও দেখতে হবে তখন বুঝিনিযে।
কার কাছে যে বিচার দিবো স্বাক্ষী সবুদ নেই
উপরে আছেন সৃষ্টিকারী শেষ ভরসা সেই।

 

শীতের পিঠা
হাকিকুর রহমান 
 
রসের পিঠা, বড়ই মিঠা
রসে ভিজিয়ে রাখার ফলে
সেতো নিখাঁদ, খেতে সুস্বাদ
ঘ্রাণে জিহ্বা ভরে জলে।
শীতের দিনে, আনো কিনে
চালের গুড়ো, মিঠা গুড়
চুলার পাড়ে, মাচার আড়ে
পিপড়া বাড়ায় শুড়।
একটু বসো, ক্ষণিক রোসো
হচ্ছে রসের পিঠা
ভিজলে রসে, থাকলে বসে
লাগবে তখন মিঠা।
ছেলে-পুলে, সবাই মিলে
রসের পিঠা খেয়ে
খালি হাড়ি, মাথায় বাড়ি
কর্তা আসেন ধেয়ে।

 

সাঁঝের কোল
হাকিকুর রহমান 
 
ওহে বনমালী
ঘুমাও তুমি হোথা স্বস্তিতে,
কাঁদিয়া ফিরিবে না আর
কহিবো কথন অস্তিতে।
বৈঁচি ফুলের গাথিয়া মাল্য
পরাইবো তোমার গলেতে,
গাহিবো আবার পরাণ খুলিয়া
বাহিবো স্রোতের ঢলেতে।
দোলন চাঁপা, কেতকী ফুলেতে
সাজাইবো ফুল ডালি,
ব্রহ্মকমল, দোপাটি তুলিয়া
ভরাইবো মোর ডালি।
দখিনা বাতাস, বাতায়ন ঘিরে
ডেকে নিতে চায় দূরে,
উতলা পরাণ, উছলিয়া যায়
বাঁধা থাকে সেই সুরে।

 

কালের ফরিয়াদ
হাকিকুর রহমান 
 
বিকোসনেরে আর তোরা
স্বল্পমূল্যে বিকোসনে,
বিবেকটাকে বিলীন করে
খারাপটাকে শিখোসনে।
ঘুমাসনেরে আর তোরা
জেগে জেগে ঘুমাসনে,
ভালোটাকে পুঁতে ফেলে
মন্দটাকে চুমাসনে।
থাকিসনেরে আর তোরা
আঁধারেতে থাকিসনে,
ধ্যানধারনা পাল্টে ফেলে
অন্য কারে ডাকিসনে।
লুকাসনেরে আর তোরা
কর্মটাকে লুকাসনে,
মন্দ-ভালো নিলাম করে
আহ্লাদেতে চুকাসনে।

 

রাজার দুলালী
হাকিকুর রহমান 
 
রাজার দুলালী, যাবে গো মা আজিকে
আমার ঘরের সমুখ দিয়ে,
যাবে তো সে দোলায় চড়ে
শতাধিক সামন্ত আর সহচরী নিয়ে।
আমিও রহিব চেয়ে তার পথ পানে,
যদিওবা সে জানিবেনা তার কিছু,
তবুও হৃদয় মাঝে লয়ে আকাঙ্খা
বসিয়া রহিব, যদি ফিরে চায় কভু পিছু।
বলে দাও মাগো, আজিকে নিজেরে
সাজাইবো কোন সাজে,
এক পলক দেখিবার তরে উতলা
মনমাঝে, কি যে রিনিঝিনি বাজে।
কি হলো, মা তোমার
নিভৃত চয়নে,
অবাক নয়নে, কিবা চাও?
তুমি তো বুঝিবেনা,
বাতায়ন কোণে দাঁড়ায়ে আমি চাহিব,
দেখিতে পারি যদি তার ছায়াটাও।

 

তবুও বাহি
হাকিকুর রহমান 
 
তিমির রাতে, আঁখি খুলি চাহি
চির চেনা সুরে, সেই গান গাহি।
যদি না কাটে, নিকষ আঁধার
নিঃশঙ্ক চিত্তে, গাহিবো আবার।
নয়ন পাতে, নাহি মোর ঘুম
ভরা তটিনীটে, সবই নিজঝুম।
গগন মাঝে, উঠে ঘনঘটা
অবয়বে লাগে, জলের ছটা।
অকপটে সহি, তবুও বাহি
হৃদমাঝারে, মাভৈঃ গাহি।

 

“Tried
to portray
her face
in the cloud,
but they
faded away
and
I couldn't”
 
- Hakikur Rahman
(posted in an US poetry competition)

 

চলিতে চাই
হাকিকুর রহমান 
 
থাকুক না দুয়ারের আগলখানা খোলা
থাকুক না স্মৃতিগুলো সেখানে তোলা।
বহুক না সেই আলয়ে ক্ষণিকের দখিনা
ভরুক না হৃদয়ের অন্তহীন আঙিনা।
জ্বলুক না সেখানে বিমল জ্যোতি
হউক না সে গৃহের নারী আরও পুন্যবতী।
ডাকুক না শাখাতে উচ্চ স্বরে পাখিগুলো
বাড়ুক না আসা-যাওয়ার পথে আরও কিছু ধুলো।
তবুও চলিতে চাই আজিকার এই ধরাতে
শীত, বসন্ত, বর্ষা, হেমন্ত, শরতে, খরাতে।

 

শীতের পিঠা
হাকিকুর রহমান 
 
ইষ্টিকুটুম, মিষ্টি কুটুম
এসো মোদের বাড়ি
খেতে দেবো শীতের পিঠা
বোসো তাড়াতাড়ি।
চিতই পিঠা, ভাপা পিঠা
আছে আমার কাছে
গরম গরম খাও, নাহলে
ফুরিয়ে যাবে পাছে।
কুলি পিঠা, পুলি পিঠা
আরও দেবো খেতে
ভিজিয়ে বসে খেতে হলে
বোসো পিড়ে পেতে।
পাকান পিঠা, পাটিসাপটা
সাথে আরও খাবে
একটু রোসো, খানিক বোসো
জুড়োলে স্বাদ পাবে।

 

প্রার্থনা
হাকিকুর রহমান 
 
দ্বীন-দুনিয়ার মালিক তুমি, মালিক তুমি আখেরাতের
মহা-বিশ্বের হিসাব রাখো, হিসাব রাখো পুলসিরাতের।
ধরায় তুমি, সরায় তুমি, দিনে তুমি, রাতে তুমি
ধ্যানে তুমি, জ্ঞানে তুমি, প্রাণে তুমি, নিস্প্রাণে তুমি।
বেঁচে আছি পৃথিবীতে, তোমার করুণায়
পরপারে যেতে হবে, তোমার ইশারায়।
দাও মনোবল যেনো আমি, তোমার পথে চলি
আছি যতোদিন এই ধরাতে, তোমার কথা বলি।

 

আলোর দিশারী
হাকিকুর রহমান 
 
মধ্য রাতের ঘুম ভাঙ্গিয়ে
কে যায় সমুখের পানে
পথটাকে আলোকিত করে
ঘুম ভাঙ্গানিয়া গানে।
আলোর দিশারী হয়ে
বয়ে চলে অবিরত
আশায় ভরিয়ে দিয়ে
হৃদয় করে অভিভূত।
এ এক অপার শিহরণ
লাগে মনে প্রাণে
হৃদয় জাগানো তার সেই
ঘুম ভাঙ্গানিয়া গানে।

 

ললাট লিখন
হাকিকুর রহমান 
 
তিলক দিলে কি ললাটে ছাপিয়া
গাহিলে স্তব নিশীথ যাপিয়া,
তবে কেন হে দিবাকর জাগিবার আগেই
আগুয়ান প্রাতে, রণেতে ভঙ্গ দাও-
বনমালী আসি সাধিয়া বসিলো
যতো ব্যথা আছে হৃদয়ে পশিলো
তবে কেন হে অর্ধফোটা শতদল হাতে
পূর্ণিমা রাতে, তিমির পানেতে চাও।।
কুহকিনী জাগে নিশীথ ব্যাপিয়া
ছায়াঘণ পথে কি বর মাগিয়া
তবে কেন হে পূর্ণ শশীরে
নিজেরে করিতে, দ্বিধাতে জড়ায়ে যাও।।
অজানার পথে বেপথু সাজিয়া
চির চেনা সুরে আবারো গাহিয়া
তবে কেন হে গোপিনীর ছলে
নিছক মায়াতে, নিজেরে বাঁধিয়া নাও।।

 

প্রকৃতি
হাকিকুর রহমান 
 
নিলিমার পানে চকিত চাহিয়া,
দুই বাহু উন্নীত করিয়া জিজ্ঞাসিলাম-
“ওহে অন্তরীক্ষ!
তোমার সপ্তর্ষীমন্ডল কি রহিয়াছে এখনও অক্ষুন্ন?”
বিষন্ন বদনে সে উত্তরিল-
“মনুষ্যকুলের বাধাহীন কার্যকলাপে
ওজনস্তরে ক্ষয় ধরিয়াছে,
ইহার প্রভাবে ধরিত্রী হইতেছে বেসামাল;
কোথাও অতি খরা,
কোথাও অতি প্লাবন,
কোথাও প্রলয়ংকারী ঝড়,
কোথাও সুনামি,
কোথাও হিমবাহ।
তবে কি তাহারা, নিজেদের পরিসমাপ্তি
নিজেরাই ঘটাইবে, অচিরে!”

 

আবেদন
হাকিকুর রহমান 
 
সাধারনের কাতারে নিজেকে দাঁড় করাই
তাদের হাসি কান্নার সাথে নিজেকে মিলাই।
ধর্ম, বর্ণ নির্বিভেদে নিজেকে বিলিয়ে দেই
তাদের সমস্যা নিজের সমস্যা মনে করে নেই।
সাধ্যমতো চেষ্টা করি তাদের সমস্যা সমাধানে
তাদের ব্যথা নিজের মনে করে সাড়া জাগাই প্রাণে।
এমন দিন আসুক, যেদিন সাধারন জনগণ থাকে সুখে
এদিনের তরে স্বপ্ন দেখা হোক, আশা জাগুক সবার বুকে।

 

সাঁঝের অপেক্ষায়
হাকিকুর রহমান 
 
গাছের ছায়ে বুদ হয়ে শুয়ে আছে
কোন বিবাগী-
জাতে-কুলে কেউ নেই যেন তার
ঘুরে তাই গাঁয়ে গাঁয়ে একাকী,
ওর সাথে যোগ দিয়েছে ক্লিষ্ট রাখাল-
কারণ তার গরুর পালও পেটপুরে খেয়ে
ঘুমুচ্ছে এখানে ওখানে।
বেদেনীটা তবুও হেঁটে ফিরে পায়ে পায়ে-
খাবারের চালগুলো এখনও পুরেনি,
তার উপর উপরিটা বেচে
মরদটার চোলাই কিনে দিতে হবে।
খোকাবাবু হাঁটি-হাঁটি পা-পা করে
হেসেলের দিকে যায়-
অনেকক্ষণ যায়নি মায়ের কোলে,
ওদিকে মা ব্যস্ত, উনুনের আধপোড়া
খড়িগুলোকে সামলানোর তরে।
গাঁয়ের আইবুড়ো মেয়েরা সব সারি বেঁধে
উকুন বেছে চলে-
আর কি যেন বেসুরো সুরে গান সাঁধে,
হোগলা পাতার বেড়ার ফাঁক দিয়ে
ধেড়ে চাষাটা আবার উঁকি দিয়ে চায়।
গোয়ালিনীর হাড়গিলে মেয়েটা সারা গাঁ
ঘুরে দুধ বেচে ঘরে ফেরে-
যৎসামান্য কিছু পসরা নিয়ে,
ওগুলো দিয়েই উনুন ঠেলবে
তাদের মা জননী, আজ রাতে।...
ওদিকে, বিকেল গড়িয়ে সাঁঝের আঁধার
নামার অপেক্ষাতেই রয়েছে সবাই।

 

হৃদয়ের ব্যবচ্ছেদ
হাকিকুর রহমান 
 
হৃদয়ের ঐচ্ছিক ব্যবচ্ছেদ-
তাও আবার সনাতন পদ্ধতিতে নয়,
অত্যাধুনিক সয়ংক্রিয় প্রযুক্তিতে-
যাহা ইতিপূর্বে গোচরীভূত হয় নাই।
নিসংকোচে তাই,
বর্ননা করিতে পারা যায়,
সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়াসমূহ।
ভাবের উদ্রেক হইবার কোন আশংকা নাই,
কারণ কোন মহামারীতে আক্রান্ত হয় নাই তাহা।
নিরেট রুটিন মাফিক কর্মকান্ডসমূহ-
তবে প্রাক সতর্কতা অবলম্বন করা হইয়াছে,
যাহাতে-
অকাল মৃত্যু না ঘটে,
যেহেতু সহমরণে যাইবার কেহ নাই, অগ্রে-পশ্চাতে।

 

প্রার্থনা
হাকিকুর রহমান
কৃপা মাগি তব।
তোমারি এ পৃথিবীতে কিছু যেনো করে যেতে পারি
জীবনকে উৎসর্গ করি প্রয়োজনে তারি।
নশ্বর দেহটি রহিবে পড়ে এই ধরাধামে
কৃীতি শুধু রহিবে অক্ষয়,
যদি কিছু করি তোমারি নামে।
মিছে মায়া, মিছে কায়া, মিছে এই জগৎ সংসার
আজ চলে গেলে কালকে দুদিন,
কিছুদিন রবে শুধু হাহাকার।
থাকিতে সময়, নাহি করে অপচয়
তোমারি বাঁধানো পথ ধরি
পথ হোক বন্ধুর, পাড়ি দিতে হবে তাহা
আর তার তরে, নিজেকে তৈরী করি।