Thursday, August 12, 2021

 

The silent disciple
(Part-4/5)
Hakikur Rahman 
 
On his way towards the
black mountain
where the monster took shelter
he met another dedicated monk
whom he accompanied to
reach his destination.
By the way
the silent disciple feels
inside his heart that
the dedicated monk is very near to his heart
(in fact both were brothers in
their early lives and the blood bond
to them together again),
and they decided to fulfill their destiny.
The dedicated monk
in one of his early life
has done many sinful walks
and he has also taken a solemn vow
to destroy any obstruction to humankind.
Hence, both of them
took another new vow
to kill the monster
so that the humanity prevail
in this universe;
so all those good fairies.
Contd…
(Pure fiction.
Any similarity should be treated as mere coincidence.)

 

আপন ভোলা
হাকিকুর রহমান 
 
চাইলো পথিক আপন ভোলা
লাগলো মনে ভাবের দোলা
মালাখানি হাতে নিয়ে
রইল কে যে বসে-
নীরব প্রাণের কথা শুনে
যাই যে আমি দিবস গুনে
ভাবের খেয়া বাইতে যেয়ে
হালটা ধরি কষে।।
সাঁঝের বেলা প্রদীপ জ্বেলে
চাইলো কে যে আঁখি মেলে
শূন্য আঙন রইলো পড়ে
রইলো দোয়ার খোলা-
অমন নিবিড় বাদল দিনে
মনটাকে ফের নিইযে কিনে
ভাঙা হৃদয় লাগিয়ে জোড়া
সুর কি যাবে তোলা।।

 

জীবনের উপাখ্যান
হাকিকুর রহমান 
 
পিদিমটা নিবু নিবু জ্বলে।
যতই প্রাণান্তকর প্রচেষ্টারত হইনা কেনো
ওকে আরও প্রজ্জ্বলিত করার,
তা, হয়না
কারণ, ওতো জন্ম থেকেই রাতকানা-
তবু, কুঁজোর কি আর সোজা হয়ে শোবার ইচ্ছে হয়না?
হাটুভাঙ্গা জলে হাতড়ে ফিরি নিজের ঠিকানাটা,
ওটা কেনো জানি জ্ঞান হবার পরেই হারিয়ে গিয়েছে-
তা গলা অবধি জলে নামবো কি?
ভেবে পাইনে।
হাপিত্যেশ!
তা করে কি লাভ?
পথটা তো আঁকাবাঁকাই-
ওটাকে কেউ কি আর সোজা করে আঁকতে পারবে?
সেই যে মালতি ঝরা ভোরে একবার হেঁটেছিলাম
কোনও এক অরণ্যের কুহকের মতন,
আর কোনোদিন খুঁজে পায়নিকো সেই পথের দিশাখানি-
জন্মান্তরের ব্যবধানেই রচিত হলো এই জীবনের উপাখ্যান।

 

আকুতি
হাকিকুর রহমান 
 
অনাহারী ভৃত্য, করিতেছে নৃত্য
ইহাতেই মহাজন বিহ্বল,
জীর্ণ-শীর্ণ দেহ, অভাবতাড়িত গেহ
লুকায় সে অলখেতে আঁখিজল।
তাঁহার রসুই ঘরে, নিত্ত রন্ধন করে
একাধিক পাকা পরিচারিকা,
তৃপ্ত আহার শেষে, সুখের নিদ্রা আসে
তাহাদের পাতে পড়ে মক্ষিকা।
তাঁহার বালাখানায়, ভরে অতিথির আনাগোনায়
এককোণে দন্ডায়মান প্রহরী,
সকলেই মদমত্ত, বিনামূল্যে প্রদত্ত
কোণে ভাসে বিষাদের লহরী।
বাগানে ফুটেছে ফুল, মনটা করে আকুল
পরিচর্যায় রহিয়াছে যে মালী,
দিবানিশি খেটে যায়, কাননের পানে চায়
গৃহেতে পড়িয়া রয়েছে শূন্য থালি।
এভাবেই চলিতেছে, সবকিছু ঘটিতেছে
তাহাদের দেখিবার কেহ নাই,
যতই কহিনা শোরে, আছে সব ঘনঘোরে
কর্ণকুহরে তালা মারা- তাই।

 

নদীর কুলে
হাকিকুর রহমান 
 
বাজলো যে কার মোহন বাঁশি
হাসলো সে কোন করুণ হাসি,
নদীর পাড়ে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে কে যে ওই-
দেয় শিহরণ হৃদয় মাঝে
পড়ছে মনে সকাল-সাঁঝে
লহরীটা আগবাড়িয়ে ডাকলো কই-
বুক ফাটে তো মুখ ফোটেনা
গানের কথায় বোল ওঠেনা
আলো-আঁধার কেমন করে হলো সই-
পুলক ভরা কলাবতী
ভাঙলো মনের আতিপাতি
অঝোর ধারায় কুল দু’খানা হলো থই।

 

Days of Future Past
Hakikur Rahman 
 
Behold!
Centuries ahead, who does could predict!
Centuries past, who does remembers!
If one sees just beforehand, one could see the future,
or, the past, but not the present,
because, it is within the existence.

 

The silent disciple
(Part-3/5)
Hakikur Rahman 
 
On a moonlight night
the silent disciple started
his journey to slay the monster
(all the good fairies helped him,
except a wicked witch).
He was carrying a magic sword
with which he should penetrate
the heart of the monster to kill,
but the wicked witch stole it
from him by turning into a
male thief while
the silent disciple was sleeping.
All those good fairies observed it
but they couldn’t stop
the stealing (though at the later stage
they recovered it
and gave it to the silent disciple).
He crossed mountains,
he traveled through dense forests,
his swam through lakes, rivers,
he walked across dry desserts,
he sailed across oceans,
and finally reached
at the place
where the cursed monster
took shelter.
Contd…
(Pure fiction. Any similarity should be treated as mere coincidence.)

 

সম্মানের অর্ঘ্য
হাকিকুর রহমান 
 
নিদেনপক্ষে তিন পয়সাতেও
এখন আর বিকোয় না
সম্মানের অর্ঘ্য-
যজমানেরা আধা পয়সাতে
বিকিয়ে দিয়েছে
তা বহু আগেই।
নৈবদ্যের থালি
সেটা দেবতার,
নাকি কার?
জীবনের কর্মকান্ড সমূহ-
সেতো কোনও এক
পড়ন্ত বিকেলের পন্ডশ্রম।
কাকডাকা ভোরে শিউলি কুড়ুতে আসা
মালিনীর কুঁচবরণ মেয়েটা
আর ফুল খুঁজে পায় না-
কারণ, শরতের সকাল
আর আগের মতন নেই,
শিশিরবিন্দু জমেনা এখন আর
কচি দূর্বাঘাসে।
বিরহ!
সেটা আবার কি?
কোন অপয়ার ছলনা?
নৈকট্য?!
কতো প্রকারের-
তা জানা আছে?
তাও বিকিয়ে গেছে
আধো আলো-আঁধারের ভাম্যমানদের দেহতে।
বিবর্ণ চিত্র এঁকে
লাভ কি এখন,
এই ঘনঘোর অমাবস্যার রাতে?
(সংক্ষিপ্ত)
(লেখাটি জীবন থেকে নেয়া,
এখানে কোন রাজনৈতিক বক্তব্য নেই।
শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।)

 

জোসনা ভরা রাতে
হাকিকুর রহমান 
 
কুটিরখানি ছিলো যে তার
ভেন্না পাতায় ছাওয়া
তাতেই খুশি ছিলো সে যে
নেইকো চাওয়া-পাওয়া।
লতাপাতায় ঘেরা ছিলো
উঠোন হেশেল ঘর
সবার সাথে মিশতো সে যে
কেউ ছিলো না পর।
বাতাসেতে হেলতো যে তার
পুরান ঘরের বাতা
তবুও সুখী ছিলো সে যে
মাথায় দিয়ে ছাতা।
মাঁচার উপর খেলতো কতো
লাউ কুমড়ার ঝাঁড়
তাহার নিচে ছিলো ভরা
নটে শাঁকের আড়।
বউটি ছিলো অপরূপা
আট পেড়ে তার শাড়ি
সেদিন তাকে কাঁদিয়ে রেখে
গেলো মায়ের বাড়ি।
তার পরে সে উধাও হলো
আর আসেনি ফিরে
কিসের অসুখ হয়ে সে যে
মরলো নদীর তীরে।
ইহার পরে কেউ দেখেনি
সাঁঝে কিংবা প্রাতে
আজও নাকি কাঁদে সেথায়
জোসনা ভরা রাতে।

 

অর্পণ
হাকিকুর রহমান 
 
তার হৃৎপিন্ড যখন ক্ষয়িষ্ণুপ্রাপ্ত হয়,
তখন আমার হৃৎপিন্ড থেকে কিছু ছিড়ে তাকে দেই
যাতে করে সে নির্বিঘ্নে থাকে-
আর তাতে আমি উজ্জীবিত হই।
এভাবেই প্রতিনিয়ত আমার হৃৎপিন্ডকে
ছিড়ে ছিড়ে তাকে দিয়েছি,
যেনো সে সমৃদ্ধ রয়।
কিন্তু সে কখনই আমার ছেড়া হৃৎপিন্ডের দিকে ফিরেও তাকায়নি।

 

ছড়াঃ খুকুমণি
হাকিকুর রহমান 
 
খুকুমণির সাথে আমার
হয়নি আলাপ আগে
তাইতো হেথায় রইছি বসে
ভোরের পূর্বরাগে।
সাগরপাড়ে থাকে সে যে
ঝিনুক কোড়ায় ভোরে
লাল কাকড়া মাড়িয়ে আমি
চাইযে প্রীতির ডোরে।
গজমতির মালা হয়ে
ঝুলবো তাহার গলে
ভোরের গানের পাখি হয়ে
ছুটবো তাদের দলে।

 

শ্রাবণ চিরন্তন
হাকিকুর রহমান 
 
শ্রাবণ ধারা আসলো ফিরে
মেঘের আঁচল নামলো ঘিরে,
পড়লো চোখে জলের ধারা
করলো হৃদয় পাগল পারা।।
সূর্য হারায় মেঘের ছায়ায়
সরিৎ ভরে জলে
উদাস বাউল সুর যে হারায়
অজানা কোন ছলে।
ঢেউ উঠেছে গাঙ্গের কুলে
দুলছে তরী গুলি
ভাবনাগুলো উধাও হলো
রাখলো কোথায় তুলি।
পবন আবার মান করেছে
থামবেনাকো আর
জলের ছাটা আসুক ঘরে
দিলেম খুলে দ্বার।
(সরিৎ- নদী)

 

খুকুমনি
হাকিকুর রহমান 
 
এইযে খুকি ফুল কুড়িয়ে
মোদের বাড়ি এসো
ফুলের মালা গলায় দিয়ে
মনটা খুলে হেসো।
তোমার বাড়ি আমার বাড়ি
মাঝখানে এক গাঁও
শিশির ভেজা ঘাসের ‘পরে
খুব যে হেঁটে যাও।
চাঁদের মতন মুখটি তোমার
দেখি নয়ন ভরে
হাসি তো নয় ঝর্ণা যেনো
মুক্তা হীরে ঝরে।
মাথায় কালো চুলের রাশি
মেঘ হারিয়ে যায়
হাত বাড়িয়ে তাই যে খুকি
আকাশ পানে চায়।
তাইতো আমি রইছি বসে
দেখবো আবার তারে
দারুণ হেসে উঠলো রবি
হিজল বনের ধাঁরে।
(লেখাটা আমার মেয়ে সহ পৃথিবীর সকল খুকুমনিদেরকে উৎসর্গ করলাম।)

 

চিঠি দিও
হাকিকুর রহমান 
 
ওই যে ওপাড়ার শ্যামলা বরণ মেয়েটা,
খোঁপায় একটা কুঞ্জলতার কলি গুঁজে
লালপেড়ে সাদা শাড়িটা পরে,
অনেক ভোরে এসেছিল,
বাগানের কোণে অবহেলায় বেড়ে ওঠা
জুঁই ফুলের ঝাড় থেকে ফুলগুলো ওঠানোর তরে।
উদাসীন চোখে চেয়েছিল, আঙিনার পানে-
কি যে মায়াবী সে চাহনি,
যদি একবার চাই,
কেটে যায় হৃদয়ের যত ক্লান্তি,
কি এক অবিমিশ্রিত আবেগ এসে ভর করে।
না,
চেয়ে থাকাই হয়েছে শুধু,
কোন কথা হয়নিতো কখনও তার সাথে।
তবে, মনের ভিতরে কয়েছি বহুবার,
কইবো তারে, বাড়িতে পৌঁছে একটা চিঠি দিও,
নীল খামে ভরে।
থাকুক না তাতে কিছু বানান ভুল,
না থাকুক কোন ছন্দ তাতে-
শুধু কলমটা হাতে নিয়ে,
কালির আঁচড় দিয়ে, কিছু একটা লিখে দিও।
প্রায় প্রতি বিকেলেই,
হলুদ সাফারী শার্ট পরা ডাকপিয়নটা এপাড়া ঘুরে যায়,
আমি অধীর আঁখিতে রইব চেয়ে তার পথপানে,
কখন হাতে দেবে তোমার চিঠিখানি।
যদি কোন কথা কওয়ার নাইবা থাকে,
লিখে দিও,
ভরা ফাগুনে বকুল ঝরার কথা-
মরা কার্তিকে, গাঙ্গের পাশ দিয়ে
হেঁটে যাওয়ার সময় তাতে ঢেউ উঠেছিল কিনা,
পূর্ণিমা রাতে জামরুল গাছের ফাঁক দিয়ে
জোসনার আলো উঠোনের কোণে এসে পড়েছিল কিনা,
এপাড়া আসার সময়
ভোরের শিশির ভেজা ঘাসের ওপর দিয়ে হেঁটে এসেছিলে কিনা?
যদি কোন কথা কওয়ার নাইবা থাকে,
লিখে দিও বাড়ির পাশের কৃষ্ণচূড়ার শাখে ফুলগুলো,
কি আবিরের চেয়েও লাল ছিল?
আসার পথে, ঐ সেই দেবদারু গাছটার শাখে বসে
কোন ফিঙে পাখি শিষ্ দিয়ে উঠিছিল কিনা।
আলতো পায়ের ছোঁয়ায় ঝরে যাওয়া শুকনো
পাতাগুলো মর্মর ধ্বনি তুলেছিল কিনা,
শুনশান দুপুরে মেহগনি গাছে বসে কোনও ঘুঘু গেয়ে
উঠেছিল কিনা,
ফিরে যেতে যেতে কোন বাহারী প্রজাপতি,
উড়ে এসে চুলের ওপর বসেছিল কিনা,
হঠাৎ হাওয়ায় শাড়ির আঁচলে জড়ানো
জুঁইগুলো মাটিতে লুটিয়ে পড়েছিল কি?
একটু নাহয় মিথ্যে করে হলেও কিছু লিখো,
নাহয় একটু অনুকম্পা করে হলেও কিছু লিখো,
আর সবশেষে,
সোজা হোক বাঁকা হোক, কাঁপা কাঁপা হাতে-
একটু গোটা গোটা অক্ষরে লিখে দিও,
“ভালোবাসি!”
(“মিষ্টি প্রেমের কাব্য” থেকে।)

 

The silent disciple
(Part-2/5)
Hakikur Rahman 
 
On the other side of the world
in a rocky mountain
raised by a devoted monk
a silent disciple
(who took oath to remain
silent during the rest of his life)
took another oath
to kill the monster
and it was the last order
from his guru during his last breath.
The monster happened to
keep his name by killing
both of his parents
on his seventeenth birth year
on a moonless dark night
and took the solemn vow
to destroy the mankind.
Observing this cruel incident
the jungle goddess gave a curse
to the monster that
he would be killed mercilessly
by a silent disciple
and his dissatisfied soul
will remain hanging
on the shoulder of the eternity.
Contd…
(Pure fiction. Any similarity should be treated as mere coincidence.)

 

The silent disciple
(Part-1/5)
Hakikur Rahman 
 
Once upon a time
a beautiful virgin
(she was the princess
of an unknown land)
met a nameless thief
in the dark forest
of a solitude island.
The virgin was left abandoned
by her own mother
(she used to be the queen
of that unknown land)
who was envied of her solemn beauty;
The thief swam to that island
after being chased by
the fleet guards of a floating sheep
where he was kept stealing
(their fates allowed them to meet).
On a moonless night
both the bodies become one
though their souls remain a part
and eventually they gave birth
to a male child
(who turned out to be a monster)
on the peak of the blood moon.
Contd…
(Pure fiction. Any similarity should be treated as mere coincidence.)