Thursday, June 16, 2022

 

আলোকিত দিন
হাকিকুর রহমান 
 
যদি কোনওদিন
হাজার মাইলের ব্যবধানে ঘটে
তার মাঝে, আর আমার মাঝে-
দিনের শেষে সূর্যটা যদিও ঢলে পচিমে
তবুও হাঁটার নেশাটা থামেনা।
ওহে সহযাত্রী, এই নিকষকালো
রাতের সাথী হয়ে
পা বাড়াবে কি আমার সাথে?
আশাগুলো কুহেলিকার মতন
উবে যায়, নিঃশব্দে ভারাক্রান্ত
প্রান্তরে-
ঘন কুয়াশায় ঢাকা ফেলে আসা পথটা
তবুও হাতছানি দিয়ে ডাকে।
ছেঁড়া জোৎস্না হয়তোবা
অভিমান করে
পথটাকে আড়াল করে রাখে।
তা, হোক না জুতোর শুকতলিটা ক্ষয়,
ধরুক না পায়ের গোড়ালিতে ব্যথা,
পথের ওপারে তো
আলোকিত দিন
আমারই অপেক্ষায় আছে।

 

অপরিচিত মুখ
হাকিকুর রহমান 
 
একটা বিশ্বস্ত আকাশ
হাতড়িয়ে ফিরছিলাম
ক্ষণিকের তরে হলেও-
যেখানে কোনও অভিনয় নেই,
যেখানে আদিগন্ত বিস্তৃত রইবে
ইচ্ছের প্রান্তর,
রইবেনা কোনও সীমানা প্রাচীর।
পরোতে পরোতে উপলব্ধি হবে
এ যেনো এক
পরিচিত বিশ্ব-
আর সেখানে অমলিন শিখা
জ্বলে যাবে
উজ্জ্বলতর হযে
মননের উপাখ্যানে।
অনন্ত রূপে বিন্যস্ত থাকুক
চিন্তা-চেতনা
অবিন্যস্ত ধারনার উঠোন জুড়ে-
সকল ইন্দ্রিয় এক হয়ে
করে যাক অনুধাবন,
এ যেনো নিশানা খোয়ানো
এক ঝাঁক পরিযায়ী পাখি।
সোনালি রোদের প্লাবনে
ভেসে যায়
অনাবিল বসন্ত উৎসব-
সময়ের জানালা গলে
তবুও উঁকি দেয়
অপরিচিত হওয়া
কোন একখানা মুখ।

 

Words
Hakikur Rahman 
 
By you, by me
By the sky, by the wind
By the sound of fallen leaves
By the shadow of broken dreams
By the past days, by the infinite future
By the affection to you
By the smile of yours;
Never allow to drop my words on the soil.

 

শব্দহীন শব্দ
হাকিকুর রহমান
 
তোমার ভেতরের শব্দগুলো
আমার হৃদয়ের অভ্যন্তরে লুকোনো নিঃশব্দগুলো
আকাশের নীরবতা
বাতাসের উৎসুক মুখরতা
হেমন্তের ঝরা পাতার কান্না
ভেঙ্গে যাওয়া স্বপ্নের উৎকন্ঠিত প্রহর
ভীরু অতীতের ব্যগ্রতা
অসমাপ্ত ভবিষ্যতের চিত্রাঙ্কন
কার প্রতি অযথা প্রীতি
কার যে পরিতুষ্টির হাসি-
অনুরোধ রইলো
আমার শব্দহীন শব্দগুলোকে
মাটিতে লুটোতে দিওনা।

 

শর্তহীন সকাল
হাকিকুর রহমান 
 
শিরীষের পাতাগুলো, হঠাৎ বয়ে যাওয়া
এক দমকা হাওয়ায়
একটু নড়েচড়ে উঠলো-
জেলেনী তার সোয়ামীকে জাগিয়ে দিলো
পূর্বরাগের আগেই
সাগরের কোলে জাল বইতে হবে
ভাটির কথাটা মনে রেখে।
পসরা সাজানো মেঘগুলো
পাহাড়টার মসৃন চূড়াটাকে
ছুঁয়ে ছুঁয়ে কোথায় যে
উধাও হলো
কোন সে বিবাগীর মতন-
অভিমানী লজ্জাবতী, তখনও আঁখি মেলেনি
ও মান করেছে,
আজকে একটু দেরি করে উঠবে,
কারণ, আজ ক’দিন শেষ রাতের
শিশির পড়েনি তার ‘পরে ঠিক মতন।
মিনারের ডাক শোনা যায়,
আর তাই প্রার্থনার জল গড়িয়ে
অবিনশ্বরের পদ তলে
লুটায় সকলে শর্তহীনভাবে-
শুধু ফুটপাতে শুয়ে থাকা
পাগলী মেয়েটা
আড়া মোড়া ছেড়ে আবার
পিঠ ফিরে শোয়।
ওর কাছে কালকেও যেদিন
আজকেও সেই দিন-
আর, ওই ছেঁড়া আঁচলে
কেইবা আছে
একটুখানি খাবার বেঁধে দেবে
কোনও এক
শর্তহীন সকালে?
(লেখাটার শেষ প্যারাটা Gangubai Kathiawadiকে উৎসর্গ করলাম। কবিতার শেষের লাইনটা একটু বদলে দিয়েছি।)

 

স্মৃতির পটে
হাকিকুর রহমান 
 
ওহে, শালপিয়ালের বন
ওহে, কাশফুলের সারি
ওহে, অশ্বত্থ পাকুড়ের ছায়া
ওহে, শুনশান গাঙের ঘাট-
যদিও ছেড়েছি বহুদিন হলো, গাঁ
তবে ছাড়িনিকো তোমাদেরে
মনের গভীর থেকে।
ওহে, কার্তিকে ফোটা শাপলা
ওহে, ফাগুনে ফোটা কৃষ্ণচূড়া
ওহে, আশ্বিনে ঝরা আম্রমুকুল
ওহে, চৈত্রের দুপুরের ঘুঘু-
যদিও ছেড়েছি বহুদিন হলো, গাঁ
তথাপি ছাড়িনিকো তোমাদেরে
মনের গভীর হ’তে।
ওহে, শিশির ভেজা সকাল
ওহে, বুড়িগাঙের বাঁক
ওহে, ভাঙাচোরা সাঁকো
ওহে, ধুলোভরা মেঠোপথ-
যদিও ছেড়েছি বহুদিন হলো, গাঁ
তবুও ছাড়িনিকো তোমাদেরে
মনের গভীরে রেখে।
আজিকে তো তাই
মনে করে যাই,
ফিরে কি পাবো আর
ওই সেই হারিয়ে যাওয়া দিনগুলি-
বলে দাও
ওহে, পিয়ালের বন
কি করে আজিকে তাদেরে ভুলি।

 

শেষ গোধূলির আলো
হাকিকুর রহমান 
 
বগীছাড়া প্রতিটা ট্রেনের সাথেই
আমার সুতো ছেঁড়া ইচ্ছেগুলো
ছুটে বেরিয়ে যাবার চেষ্টা করে-
চেষ্টা করে ওর আত্মাটার সাথে
একাত্মতা ঘোষণা করে
আর ফিরবেনা,
কোনো ইচ্ছের দেশে।
সময়ে-অসময়ে বেগতিক দেখে
তাই, ইচ্ছেগুলোকে
সিন্দুকের ভেতরে বেঁধে রাখা-
তা, বাতির দোকানে যতই না জ্বলুক
ঝাড়বাতির ঝলক,
নিজের আত্মাটাকে তো
সারাক্ষণ খুঁজেই সারা।
নষ্ট আলোর মাঝেই, মাঝে মাঝে
নিজেকে করে যাওয়া
আবিষ্কার-
দোল ছাড়া কোন দুলুনিতে
দুলে দুলেই
অকর্মণ্য ইচ্ছেগুলোর ভিড়ে
লুকিয়ে থাকার প্রচেষ্টা।
ইচ্ছের বিরুদ্ধে হলেও
হঠাৎ করে কর্মযজ্ঞ
দেখানোর নিমিত্তে
প্রাণপণ প্রচেষ্টা-
কারই বা ইঙ্গিতে
এই শেষ গোধূলির আলোকে
ফের নিলিপ্ত পদচারণ?

 

প্রবাসী বসন্ত
হাকিকুর রহমান 
 
বসন্ত কি প্রবাসে গেলো?
সাথে করে গেলো কি
শ্রাবণ-
দুর্বোধ্য মেঘের আর্তনাদ শুনি
যদিও
আঁখিতেই ভর করে
অসময়ের প্লাবন।
ক’টা মাসেরই তো ব্যবধান,
শরৎ সেতো আসবেই
ফিরে-
যাবো হারিয়ে
ওর শিশির ভেজা ভোরে
পুরো কাশবনটাকে
ঘিরে।
মজ্জাগত শীতই হোক-
ওষ্ঠাগত গ্রীস্মই হোক-
কেনো যে কোন সে
অস্থিরতা রোগে
সারাক্ষণ ভুগি-
তা, প্রাক্তন প্রেমিক সেজেই হোক-
উপাধিহীন স্বয়ম্বর সেজেই হোক-
জীবনের সরোবরে
রইলাম তো হয়ে
চিররুগী।

 

নৈঃশব্দকে খুঁজে ফেরা
হাকিকুর রহমান 
 
একটুখানি নীরবতা খুঁজতে চেয়েছিলাম-
ওর ওই নৈঃশব্দকে
ছুঁয়ে দেখার খুব ইচ্ছে ছিলো,
ইচ্ছে ছিলো, ওর স্তব্ধতাকে
সাথী করে
কাটিয়ে দেবো কিছুকাল।
কিছুকাল, কেনো?
কিছু যুগও তো হতে পারে,
অন্য কোনও সরবতা তো
অদ্যাবধি খুঁজে পাইনিকো-
যা কিনা
হৃদয়ের অভ্যন্তরে প্রবিষ্ট হয়ে
একটু স্পন্দন যোগাবে।
কোনো এক সলাজ কুমারী
অবশ্য এসেছিলো
এই পথে-
তা ভুল করেও হতে পারে,
কিংবা হয়তোবা ছিলো তা
কিছুকালের ছলনা।
কিছু প্রহরের নীরবতা ভেঙেছিলো
বটে,
তবে তা ভর করেছিলো তার
তর্জনীর ডগায়-
আর কখন ফস্কে গিয়ে
নীরবতা সশব্দে গেল ভেঙে।
এখন তাই,
অন্যরকম মন নিয়ে
ফের সেই নৈঃশব্দকেই খুঁজে ফিরি।

 

শেষ হাঁটা
হাকিকুর রহমান 
 
ব্যর্থ প্রেমের বিন্যাসে-
কার কিইবা যায় আসে।
দুঃখটাতো আমারই ছিলো-
তা নতুন করে দেখার
কেই বা আছে,
কেইবা এলো, আর
কেইবা গেলো।
স্বস্তির প্রহরটা
না জানি কি
অদৃশ্য আলোয়ানে মোড়া-
ভেঙ্গে যাওয়া স্বপ্নগুলোকে
যতই আঁঠা লাগাই না কেনো
দেয়া যায়না তো তা জোড়া।
তৃপ্তির ঢেঁকুরটাকে
বুকের মধ্যে চেপে রেখেই
করে যাওয়া
আড়ম্বরহীন উদযাপন-
বর্ষিয়ান হ’বার আলোকে
কারই বা দিনলিপির হিসেব রাখা,
আর কারই বা অনুসন্ধিৎসুতায়
দিয়ে যাওয়া প্রজ্ঞাপন।
“তবে মাটির নিচেই তো
শেষ হাঁটাটা,
যদিওবা অবশ্য সেটা নিজের হাঁটা নয়।“

 

বাতাসের দেউড়ি
হাকিকুর রহমান 
 
বাতাসের দেউড়িটা এখন আর
আগের মতন খোলেনা,
কারণ হৃদয়ের দেউড়ির সাথে
তার কবে জানি
এক যোগসূত্রতা হয়ে গেছে।
দিগন্ত বরাবর
যতই সরলরেখাটাকে
টানিনা কেনো,
ওতো বক্ররেখাতেই
পর্যবসিত হয়।
মাটির চিবুকে
নখ দিয়ে আঁচড় কেটে
কি আর যায় কী পাওয়া
জীবনের আস্বাদ!
চুলার পাশে
আপোড়া খড়িগুলোর আর্তনাদ
যতই বৃদ্ধি পাক না কেনো
ওদের মৃত্যু তো অবশ্যম্ভাবী।
দিন-রাত্রির সংমিশ্রণের
মতোই তো
ঝর্ণা-নদী-সাগরের মিলন-
তা, ক্ষণকালের তরে
জীবনের পরিচারক হয়ে
কীসেরই বা
এতটা আক্ষেপ?
“ওই মাটিতেই তো পঁচে
পঁচে যাওয়া শরীর খানা-
ওই বাতাসেই তো ভাসে
অস্থি পোড়ার গন্ধ।“

 

নিরোর বাঁশি
হাকিকুর রহমান 
 
বাঁশিটাকে ফের আমার হাতে দাও,
শেষ বারের মতন ওটাকে বাজাতে চাই-
নিরোর বাঁশির মতো নয়,
ওটাকে বাজিয়ে অর্থ জাগ্রত আত্মাগুলোকে
একটুখানি নাড়া দিয়ে যাই।
যাকনা বীণার তারগুলো ছিঁড়ে,
ওহে সুর তুমি ভর করো তাতে-
আর, আমি ওর ছেঁড়া তারগুলো
দিয়েই সুর তুলে যাবো
অগনিত ঘুমন্ত আত্মার ভীড়ে।
চাঁদের আলোটা হয়তোবা হয়েছে ম্রিয়মান,
তাকেই বা আজি কেনো শুধু দোষী-
ওকে নিয়ে তো ছলা কলার,
ফিরিস্তি দিতে পারদর্শী সবে
কেইবা বোঝে তার অন্তর্নিহিত অনুপ্রাণ।
অনেক সাধের একতারাটা
বহু আগেই তো ফেলেছি হারিয়ে-
সময়ের কষাঘাতে জীবন ক্ষয়েছে
তবুওতো আজি ভাঙ্গনের তীরে
রয়েছিতো উদ্ধত দুইবাহু বাড়িয়ে।

 

নিস্তব্ধতার বিষপান
হাকিকুর রহমান 
 
হতে থাক না অন্ধকারের বেড়ীটা
আরও সংকীর্ণ হতে সংকীর্ণতর-
কে আছো, টানো ওর
বেড়ীর সুতোটাকে আরও,
আমি অন্ধকারের বেড়ীর
চাঁদোয়াটাকে ছিঁড়েখুঁড়ে
বেরিয়ে যেতে চাই,
পেতে চাই আরও আলোক
আরও উজ্জ্বলতর।
নিঃশব্দ প্রেমিকের অভিনয় করে
সকল ছলা-কলা তো
রপ্ত করার প্রচেষ্টায়
রত ছিলাম-
স্বপ্নের শিয়রে বসে
অতিকায় ভাবনারাশিকে সাথী করে
এই ক্ষণে, যাই ভেবে
কিইবা চেয়েছি
আর কিইবা আজিকে
হাত দু’টো পেতে নিলাম।
পুড়ে খাক্ হওয়া
ধুলো-ছাই গায়ে মেখে
আবারও তো
প্রচেষ্টারত রই, স্বপ্নগুলোকে দেখার-
কোনও এক বুহ্যের ভেতরে
লুকিয়ে থেকে,
নিস্তব্ধতার বিষপান করে
জ্ঞান-অজ্ঞানের মাঝে
হয়ে যাই একাকার।

 

প্রেমহীন বৈধব্য
হাকিকুর রহমান 
 
ওহে আকাঙ্ক্ষা!
তুমি উন্মত্ত হও-
যদিওবা প্রেমের বিষানে
কেউ বা কোথাও মাথা কুটে কুটে মরে।
বলি শোনো,
ভালোবেসে, অতিশয় মৃদুস্বরে কই,
কভুকি কাহারও হৃদয়
স্পর্শ করতে পেরেছো?
কভুকি কাহারও অন্তরে
প্রবিষ্ট হতে পেরেছো?
তবে, কেনো
দিশাহীন পথেই ঘুর্ণয়মান রহো?
ওই যে কৃপণ আকাশটা
আরও হাড়কেপ্পন হয়,
ছায়াহীন দ্বীপের ওপরে
মেঘেরা এখন আর
ভুলেও লুকোচুরি খেলে না।
কেনই বা
অজানা লজ্জার আনীল বিষে
শুধু শুধু মৃতবৎ হও!
তাই তো, বারে বারে
অবারিতভাবে, প্রকাশিতে চাও
অনাবিল ভালোবাসা-
আর ওদিকে কোন সে প্রমিক
অযথা প্রেমহীন বৈধব্য যন্ত্রণায় ভোগে।

 

ক্ষুদ্র সত্য চিৎকার করিয়া কহে পৃথ্বীকে-
শ্রবণ করোহে মম জয়গান চারিদিকে,
মহা সত্য ওই দিকে নীরব চাহিয়া রয়-
সে তো অমোঘ, তাহার নাহিতো ক্ষয়।
- হাকিকুর রহমান

 

চিন্তার পরিসমাপ্তি
হাকিকুর রহমান 
 
ছায়ার পিছনে পড়ে থাকে পরছায়া-
কেনই বা জীবনের অনুভূতিগুলো
বাড়ায় অযথা মায়া।
উপসর্গহীন যাত্রাবিরতিতে
থাকে কি থেমে এই জীবন-
সময়ের আনুগত্য মেনেই তো
সবাইকে চলা,
অন্যথায়-
অগ্রাহ্য হবে সব আবেদন।
পিয়াসাগুলোকে
মোড়কে পুরে রেখে
সেই পুরানো পথেই
পদচারণা-
কারেই বা শুধাবো
গন্তব্য কোন দিকে
মেটেনাকো তাই
মনোবাসনা।
ছাতহীন সে এক ইমারত গেঁথে
তাতেই তো কতো আত্মতৃপ্তি-
ভিতের ইটগুলো খসে গেছে পড়ে
তাইতো চিন্তাগুলোরও
হয়েছে সেখানে পরিসমাপ্তি।

 

নতুন সূর্যোদয়
হাকিকুর রহমান 
 
দিনের শেষে রাত্রি আসে
রাত্রির শেষে দিন-
ক্লান্তিহরা ক্ষণগুলো রয় থমকে
নয়তো কেউই স্বাধীন।
ইঁচড়ে পাঁকা চিন্তাগুলো
অসময়ে প্রকাশ কি পায়?
তবুও গলা খানা উঁচিয়ে
কে যে কি হিজিবিজি গায়।
মুক্তোর রং সাদা নাকি খাকি
এনিয়ে বহুজনে করে চলে বিতর্ক-
ধ্রুব সত্য বলে তো কিছুই নেই
আছে শুধু নানান জনের নানা তর্ক।
জীবনের রং চটা দেয়ালের ওপরে
কে যেনো বিবর্ণ চিন্তাগুলোকে শুকোয়-
জীবনের ওপারে কি অন্য জীবন?
তবে, সূর্যাস্তের ওপারেইতো নতুন সূর্যোদয়।

 

অনিচ্ছার স্রোত
হাকিকুর রহমান 
 
সুন্দরের মাঝে অসুন্দর রয় যে ঢেঁকে-
ওদিকে ইচ্ছেগুলো
পুনর্বাসিত হবার প্রাক্কালে
যায় যে কারে যেনো ডেকে।
হতচ্ছাড়া ইচ্ছের বেদীটা
ঘণ আঁধারেই রয় যে ঘিরে-
কোন আশার গুড়ে
কে যে কবে ছাঁই মেশালো
আর তাই বসে থাকা
রুদ্ধ নদীর তীরে।
সময়ের অনুকূলে থেকেও
খরচের খাতাটাকে
হিজিবিজি দিয়েই ভরিয়ে রাখা-
এযাবৎ কালের
লগ্নি বিছানো পথেই তো
কর্মচাঞ্চল্যহীন ভাবে থাকা।
পার হবার আগেই
পারানের কড়িটা
গাঁট থেকে গিয়েছে খুঁয়ে-
ওপারে যাবার সুখস্বপ্নটা তাই
অতিশয় নীরবে
অনিচ্ছার স্রোতে গেছে ধুঁয়ে।