Thursday, December 2, 2021

 

সপ্তক সম্ভার - ২
হাকিকুর রহমান 
 
পরোক্ষ বিদ্যা
দাম্ভিক যৌবন
ক্ষণজন্মা প্রাচুর্য
আবৃত প্রদীপ
স্বপ্নের প্রহরী
ভেসে যায়, যায় ভেসে
চিন্তার স্রোতে ...
(thoughtless thoughts)
 
বিধবার শাড়ি
রূপোর নূপুর
জুঁই ফুলের থোকা
সিঁথির সিঁদুর
অবগুন্ঠিত আলাপন
রদ্দি হয়েই কি, রয়ে যাবে
কোনওমতে ...
(undefined desires)
 
বাহুল্য ব্যথা
ধুলোভরা পথ
চিন্তার খোরাক
হাভাতের সুখস্বপ্ন
বেওয়ারিশ লাশ
কেই বা জানে, কি আছে লেখা
কার কপালেতে ...
(undestined destination)
 
শপথের বাণী
হারাবার গ্লানি
অযাচিত কথা
দমিত প্রকাশ
প্রণয়ের শিখা
জেগে রয়, রয় জেগে
প্রতি রাতে ...
(infinite waiting)
 
(আজকের লেখাটা আমার গুরু
Emily Dickinson-কে উৎসর্গ করলাম।)

 

Needless time
Hakikur Rahman 
 
Time passes by under the willow tree
Time passes by along with the ghastly southern wind
Time passes by over the weak shade of the poorly hut
Time passes by across the tiny soul.
 
Who knows where the destination is?
Who knows where needed to be stopped?
Who knows when to take a break?
Who knows when to measure the account?
 
Perhaps someone is still awake in the darkness of night
Perhaps someone is still painting a portrait on the stranded cloud
Perhaps someone is still trying to write a sad episode
Perhaps someone is still waiting for someone.
 
(From a competition on "Walt Whitman" poems.)

 

সপ্তক সম্ভার - ১
হাকিকুর রহমান 
 
প্রভাত ফেরী শেষে
নৈবদ্যের থালাটা
হাতে করে সময়ের কাছে
দাসখত দিয়ে
হয়তোবা জীবনের
দাসত্বের দিন শেষে
একক লাইনে দাঁড়ানো-
(in a single file)
 
অতঃপর ভাগীদারহীন
খাতায় মুচলেকা দিয়ে
বিস্মরণের খেয়ায় ভেসে
ক্রমবর্ধমান কৃষ্ণ ক্ষয়িষ্ণু
নিয়তির প্রকোষ্ঠে
গমনের প্রাক্কালে
নিগূঢ় অভিব্যক্তির বিস্ফোরণ-
(lonely departure)
 
খুচরো সময়গুলো
হেসে খেলা করে
নিয়তির চারধারে
কোন বিধবার পরনের
ছেঁড়া শাড়ির আঁচলে
মুখ লুকানোর
সকরুণ প্রয়াস-
(undesirable desire)
 
সবশেষে অবিচল চেতনাগুলো
ধূসর হওয়া শুরু করে
সূর্যের মেরুদন্ড ভেঙ্গে
বের হয়ে আসা আলোতে ভাসে
আর সেই স্বাধীন সত্তা
সাথী হয় নিষ্পলক রাত্রির
জঠরের এক কোণে।
(remembering the future)
 
(আজকের লেখাটা বিখ্যাত লেখক
Maxim Gorky-কে উৎসর্গ করলাম।)

 

নিয়তির সংজ্ঞা
হাকিকুর রহমান 
 
হা, নিয়তি!
এতো তপস্যার পরেও
কি নাম দেয়া যেতে পারে তোকে?
জটিল আকার ধারণ করেই
তো আছিস্
কেইবা আছে যে আনমনে
তোর অলিন্দের পানে ঝোঁকে! 
 
দুস্থ শব্দের ভান্ডার
হয়ে যায় খালি
দেবার কালে তোর পুরো বিবরণ-
ধুলো জমা কপালটা
আরও ধুলোময় হয়
আর তার পরতে পরতেই
তো করে যাওয়া পরিভ্রমণ। 
 
কোনও এক শব্দ শিকারী
ভেবেছিলো
কোন প্রকারে তোকে দেবে এক সংজ্ঞা-
মনে হয় সে ছিলো
অকাটমুর্খ,
আর তাই তার
স্থান হয়নি কোথাও,
অবশেষে সাথী হয়েছে যে
মহাকালের গঙ্গা।

 

পরাণের ভাষা
হাকিকুর রহমান 
 
চার দেয়ালের বাঁধা ভেঙে
জ্বালাতে চেয়েছি দেয়ালি-
ললাটের লেখা যায়নাতো বোঝা
সেতো বড়ই খেয়ালী। 
 
বিস্মিত হয়ে তাই চেয়ে রই
ফেলে আসা পথ পানে-
ভরাতে চেয়েছি সেই অনুক্ষণ
ভুলে যাওয়া কোন গানে। 
 
প্রাণের হরষে পুলকিত হয়ে
হেঁটে ফেরি ফের পথে-
জাগরিত হোক পরাণের ভাষা
বুঝে নেবো কোনোমতে।

 

রাত্রির নীরবতা
হাকিকুর রহমান 
 
ছাতের ওপরে অতি যতনে, লাগিয়েছিলাম
ক'খানা চম্পা- বেলীর ডালি-
নিয়মিত সেখানে জল ঢেলেছি, যাতে করে
ভরায় তারা আমার শূন্য থালি। 
 
সাঁঝের প্রদীপ জ্বালানোর আগে, ভেবেছিলাম
ভরে দেবে তারা সুবাসে-
পাশের বাগানে ডেকেছিল কোকিল, তাই শুনে
মনটা ভরালো কোন আবেশে।
 
রাত্রিকে তাই স্বাগত জানিয়ে, বসে রই
আকাশের তারা গুলো গুনে-
শত কোলাহল ভুলে গিয়ে, অবশেষে
রাত্রির নীরবতা যাই শুনে।

 

স্বপ্নহীনতার আনন্দ
হাকিকুর রহমান 
 
স্বপন রাত্তিরে, কলঙ্কিনী চাঁদটা
টুপ করে দিলো ডুব-
বজরায় যদিওবা,
প্রেমিকাকে সাথে নিয়ে, মাঝি
দিয়েছিলো নিদ্রা খুব। 
 
ভোরের আলো ওঠার সাথেই
হলো যেনো কার স্বপ্ন ভগ্ন-
পুবের আকাশের তারাগুলো বিলীন হলো
কোন সন্ন্যাসী হলো যে আবার ধ্যান মগ্ন। 
 
তবে, কে যেনো কবে কাকে
দিয়েছিলো একখানা অর্ধচন্দ্র-
সময়ের সুরটা, ঠিকমতো ধরা দেয়নি
কার হাতে, স্বপ্নহীনতারই হলো আনন্দ।

 

বহুকালের সাধ
হাকিকুর রহমান 
 
বহুকালের সাধ ছিলো,
চিত্রকর হবো-
তা, রং-তুলি কেনার সময়
গ্যাটের টাকা গেলো ফুরিয়ে,
তারপর ক্যানভাসটা কেনার অভাবে
চিত্রকর হওয়া গেলো না; 
 
বহুকালের সাধ ছিলো,
ব্যাধ হবো-
ধনুকের টংকারে বধ করে
নিশ্চিহ্ন করে দেবো সব পাখিকুল,
তাকিয়ে দেখি পাখি কই!
ওরা তো কবে কবেই বিলীন হয়েছে,
আর তাই ব্যাধ হওয়াটাও হলো না; 
 
বহুকালের সাধ ছিলো,
কাঠুরে হবো-
গ্যাটের শেষ আধুলিটা দিয়ে
চকচকে একখানা কুঠার কিনে
বনের ভেতরে যেয়ে দেখি,
বন কোথায়!
তাতো, উজাড় হয়েছে বহু আগেই,
তাতে করে কাঠুরে হওয়াটাও আর গেলো না; 
 
বহুকালের সাধ ছিলো,
কবি হবো-
ঝর্ণা কলমটাকে রদ্দি কাগজের ওপরে
যতই আঁকিজুকি,
শব্দেরা তো আর ধরা দেয় না সহজে,
তা, শব্দহীন শব্দের ভান্ডারে
কালগুলো কাটিয়ে দিলাম দিব্যি,
তাইতো কবি হয়ে ওঠাও হলো না আর।

 

নীরব যাত্রা
হাকিকুর রহমান 
 
নক্ষত্রের খসে পড়ার মাঝে
কি কোনও চাপা ক্রোধ থাকে?
কেউবা হয়তো কাউকে বুঝাতে না পেরে
ছায়াহীন কায়া নিয়ে তারে ফের ডাকে। 
 
তবে, কিছু প্রাণ আছে, তারা
ওই দূরের নক্ষত্রের মতো পড়ে ঝরে-
তাদের কথা কেউতো রাখেনা মনে
কাঁদেও না কেউ, তাদের কথা মনে করে। 
 
সমস্ত বোধ যখন, একসাথে
নিলিপ্ত মৃত্যুর কোলে ঢলে-
শস্যহীন প্রান্তরে বেখেয়ালি দখিনা, তবু বয়
আর জুঁইগুলো দলিত হয়, কারও পদতলে। 
 
তাইতো, নক্ষত্রের চাপা ক্রোধকে
অত শত বুঝে আর কাজ নেই-
মাটিতেই মিশে যাক সকল অস্থি-মজ্জা
ফিরে যেতে হবেতো নীরবেই।

 

শুধাবো কারে?
হাকিকুর রহমান 
 
শিশিরের ঝরে পড়াতে কি কোনো গান হয়?
কোনও সুর হয় কি নিঃসঙ্গ রাতের কান্নায়?
নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ হয় কি কারণে?
সূর্যমুখী কেনো শুধু সূর্যকেই নমস্কার করে যায়? 
 
মাঝরাতে ক্ষুধার্ত কুকুরের গোঙানি শুনেছে কি কেউ?
বাঁশ বাগানের শেয়ালগুলো শুধু মধ্য রাতেই ডাকেনা কেনো?
রেলের মাল বওয়া গাড়িগুলো একই শব্দ করে নাকি?
মাঝে মাঝে ধরিত্রীটা কেঁপে ওঠে কেনো? 
 
হেমন্তের শেষে শীতের পদধ্বনি কেইবা কান পেতে শোনে?
বন্ধ্যা বিধবার কি কোনো জাত পাত হয়?
কোন সে বৃদ্ধের উত্তাপহীন ক্রন্দন কেই বা শোনে?
সভ্যতার জীবন্ত লাশগুলো কেনো ফুটপাতে ঘুমায়?
 
(সর্বস্বত্ব লেখক কর্তৃক সংরক্ষিত। ছবি-গুগল।)

 

নিশ্চিন্তপুরের পথিক
হাকিকুর রহমান 
 
ফলের ভারে বৃক্ষ ন্যুব্জ হয়
বয়সের ভারে হয় মানুষ ন্যুব্জ-
ফটিক ব্যাটার পিঠেতে হয়েছে গোঁদফোঁড়া
তাইতো হয়ে গ্যাছে একেবারে কুঁজো। 
 
আহারে! মিনতি করে ফের
কেইবা লাভ, যার গরমে
দু’পা পড়েনা মাটিতে-
বোকার সাধ জাগে
ভরা চৈত্রে, শোবে একটুখানি
শীতল পাটিতে। 
 
বোবার খুব বেশি ইচ্ছে হয়
আরো একটু জোরে চেঁচাতে-
জীবনের উপরে তার ঘেন্না
ধরে গেছে, ওদিকে বাগাড়ম্বর নেয়
পাতিকাক আর পেঁচাতে। 
 
না শোনার ভান করে
কালা কিন্তু মাঝে মাঝে
ভাব দেখায়-
ভিখারিনী সেতো কেঁদেই মরে
কি জানি কি আছে লেখা
তার বলিরেখায়। 
 
তাইতো, নিশ্চিন্তপুর থাকা পথিক
মনে মনে চায়
একদিন ঠিকই পথে পড়বে বেরিয়ে-
যাবে যেদিকে দু’চোখ যায়
ধুলোমাখা পথখানা
দু’পায়ে পেরিয়ে।

 

বহুরূপী শোক
হাকিকুর রহমান 
 
হায়রে পোড়া মোর দুই চোখ
এই আষাঢ়ে ভিজেই তো গেলি
আর অধরাই তো গেলো রয়ে
কোনও এক অনাবিষ্কৃত শোক।। 
 
চোখের পাতায় অবারিত বারি
যায় পড়ে বিনে কাজে
সারাটা সকাল, সারাটা বিকাল
কানে তাই শুধু বাজে।।
 
টিনের ছাতের ওপরে পড়ে
পড়ে জারুলের ডালে
লজ্জাবতী লতার ওপরে পড়ে
পড়ে গোমতীর নালে।।
 
হায়রে পোড়া মোর দুই চোখ
এই শ্রাবণে ভিজেই তো গেলি
আর অবলাই তো গেলো রয়ে
কোন সে বহুরূপী শোক।।

 

সৌদামিনী
হাকিকুর রহমান 
 
মেঘের আড়ালে, খুঁজে ফিরে
নিজের আলো’কে
লাজুক সৌদামিনী,
কোথায় লুকালো, সেই দীপশিখা
আধারে ঢাঁকিয়া
নামিলো যে যামিনী।।
 
আরশিতে মুখ ঢেঁকে, চন্দ্রমল্লিকার কলি
যায় যে কি ছবি এঁকে-
পথহারা পাখি, খুঁজে ফেরে নীড়
নীলিমার পানে
বনে ফুটে কামিনী।।
 
ছায়াতে ঘিরিয়া রাখে, স্তব্ধ-নিঠুর অতীত
কোন সুরে কারে ডাকে-
বনবীথি ঘিরে, ছড়ায়ে রয়েছে
না বলা কথাগুলি
বিরহিণী তাপিনী।।
 
(সর্বস্বত্ব লেখক কর্তৃক সংরক্ষিত)

 

প্রাণ
হাকিকুর রহমান 
 
ব্যাধের শরের আঘাতে,
মাটিতে লুটালো,
ছোট্ট এক পক্ষী-
গাছেতে গাছেতে গাহিতো সে,
ডালেতে ডালেতে নাচিতো সে,
ছিলোতো সে অতি লক্ষী।
 
এক্ষণে,
মৃতপ্রায় হয়ে রয়েছে গগনের পানে চেয়ে-
সুদৃশ্য আঁখিদুটি হতে ঝরিছে যে জল বেয়ে।
 
হায়রে মানব!
ঐ ছোট্ট পক্ষী,
করেছিলো কিসে ভুল?
নিজের সামান্য আনন্দের তরে,
তাকে করে দিলে নির্মূল!
 
ভাবিয়া দেখেছোকি,
যতই ক্ষুদ্র হোক,
দিতে পারিবেকি ঐ প্রাণের মূল্য?
প্রাণ, সেতো বিধাতা সৃষ্ট,
সকলের কাছে তাহা অতুল্য।

 

অনুরাগী
হাকিকুর রহমান 
 
কঞ্চিখানি বাঁশঝাড়কে ডাকিয়া কহে,
দখিনার সাথে দোলায়িত হই তব ঝাড়ে-
কতনা আনন্দেই দুলি এপাশে-ওপাশে,
যখন বিশেষ করি, দখিনা পবন বহে।
 
তবু একাকী লাগে নিজেকে বড়ই শীর্ণ,
শাখেতে জড়ায়ে তব, পার করি কাল অতি নির্বিঘ্নে-
তোমারই তো শাখা আমি, আর তাই রহি মহা উৎকীর্ণ।
 
তবে, যবে পথচারীরা মোরে একা পায়,
বালখিল্যতায় তোমা হ’তে ছিঁড়ে নিতে চায়।
 
আর আমি একাকীত্বের যন্ত্রণাতে ভুগি,
তুমিতো রয়েছো দাঁড়ায়ে দৃঢ় চিত্তে
সুউচ্চ হয়ে, আকাশটাকে ছুঁইবার নিমিত্তে,
তবে আমি অতিশয় দূর্বল একা
তবু রহি তব অনুরাগী।
 
(উৎকীর্ণ- অলঙ্কৃত)
(সর্বস্বত্ব লেখক কর্তৃক সংরক্ষিত)

 

আকাশের সীমানা
হাকিকুর রহমান 
 
ঠিকানাবিহীন বছরগুলোকে
তাড়িয়ে নিয়ে গেছে
অনেক না বলা কথার স্রোত-
সুরেরা সেখানে করে
অজ্ঞাত বাস
আর কাঙ্ক্ষিত জীবনটা
হয়নাতো মেরামত। 
 
ক্লান্তিবিহীন পিয়াসার বেণু
বাজিয়ে ফিরিছে
কোন সে উদাসী মন-
ভরা জোছনার আলোক ছায়াতে
তারারা হারায়
আর কোন সে পরাণ
কেঁদে ফিরে সারাক্ষণ। 
 
কাজল আঁখিতে কান্না জড়িয়ে
তবুও কে যেনো রয় চেয়ে-
উধাও হয়েছে শ্রাবনের মেঘ
আকাশের সীমানাটা বেয়ে।

 

অবশেষে ব্রহ্মচারী
হাকিকুর রহমান 
 
শব্দের ফাটলে, আরও কিছু শব্দ খোঁজা
কোন সে সৃজন সুখে-
রহুক না সেখানে খর রৌদ্রতাপ
রহুক না কিছু অমীমাংসিত দুঃখ
তবুও, থামাথামি নেই
এই শব্দ শিকার করে ফেরা বুকে। 
 
তবে ব্যাপারটা কিন্তু
নিতান্তই আপন,
নেই তাই সেখানে কোনও সমর্থনকারী-
যতই করা হোক না শব্দের বিন্যাস
যতই করা হোক না ধারনার অবতারণা
তবুও ফাটলটার পরিসর বেড়েই চলে
আর তাই, শব্দ শিকারীকে
হতে হয় অবশেষে ব্রহ্মচারী।

 

বলি কি!
হাকিকুর রহমান 
 
বলি কি-
হৃদয়ের মোহনাতে লেগেছে ঢেউ
যদিও সেখানে দেখার নেই কেউ
তবুও পারো যদি সময় করে
ঘুরে যেও এই শূন্য প্রান্তরে
হতে পারে তাতে কারও সলিল সমাধি
হয়তোবা ভেঙ্গে দিয়ে কোনও এক মাপা পরিধি
তাইতো এক নগণ্য অংকের হিসাব কষি
ধারণার বাইরে যাবার অভিপ্রায়ে সীমানাটা চষি
প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির ব্যবধান পাইনে খুঁজে
পরিণামটা নিয়েছিতো বহু আগেই কিছুই না বুঝে,
 
বলি কি-
পারলে সময় করে ক্ষণিকের তরে এসো
পারলে হৃদয়ের মাঝে বেড়ে ওঠা আলোর পাখিটাকে ভালোবেসো
সময়গুলো যাকনা বেখেয়ালে পালিয়ে
বেসামাল ক্ষণগুলো যাকনা একটুখানি জ্বালিয়ে
না হয় হয়োনা মুগ্ধ এই মোহন বাঁশির সুরে
আঁধারের আড়ালে থাকুক না ইচ্ছেগুলো পুরে
শান্ত নদীটা বয়ে যাক না আরেকটু সাগরের পানে
যদি পারো হারিয়ে যেতে পারো সেই সুর ছাড়া গানে
যদি না ভালো লাগে পরে না হয় একসময় যেও ছেড়ে
সময়গুলো যাক না আরও অক্লান্তভাবে বেড়ে- 
 
বলি কি-
ভরা ফাগুনের ক্ষণটাকে ভরাতে একটু এসো 
 
বলি কি-
মুখখানাকে আড়াল করে হলেও একটুখানি হেসো।

 

আকুতি
হাকিকুর রহমান 
 
ওহে অর্ণব,
তব কাছে রহিলো মোর এই মিনতি-
গ্রহণ করোহে এই ক্ষুদ্র জলকণা
চিত্তটা ভরে, ছিনুতো একদা খরস্রোতা অতি।
 
লইয়া নিজের জলরাশি,
ধাবিত হয়েছি তব পানে-
তপ্ত খরায়, মত্ত বরষায়,
অতিশয় অনুপ্রাণনে।
 
ওহে জলধি,
কি বিশাল তব পরিধি-
ধরাকে করেছো অচ্ছ-স্বচ্ছ,
নিমিত্ত আমি, করেছি অর্পণ অনাদিকাল ধরে
তব সন্নিধানে, তবে কেন জানি
বাধাগ্রস্ত হয়েছে মোর গতিবিধি।
 
আকুল পরাণে তব সকাশে কহি,
ক্ষমিয় মোরে নিজ গুনে-
যদিও আমার প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা,
যতদিন আছি এই অবনীতে-
বাধাহীন ভাবে
তব পানে যেন বহি।
 
(অর্ণব, জলধি- সমুদ্র;
অনুপ্রাণনে- প্রেরণায়;
সন্নিধানে – কাছে;
সকাশে – নিকটে;
অবনী- পৃথিবী)
 
(সর্বস্বত্ব লেখক কর্তৃক সংরক্ষিত)