Wednesday, September 9, 2020

Life
Hakikur Rahman


Swimming is a lifelong pursuit
Yet lying on the shelf of life
There was a lot to know
But it is not known in this small span.
Life goes on in its own way
Who does not calculate where he loses.
This is how the ebb and tide goes
Lifelong
It was as if he had lost everything
Where everything is fleeting.
ছড়া- কোবরেজ মশাই
হাকিকুর রহমান 

টোটকা টুটকি করেই খান
কোবরেজ মশাই,
নানান রকম চিকিৎসাতে
উনার জুড়ি নাই।
চিংড়ি মাছে নেই আসক্তি
অম্বলের দোষ আছে,
শর্করা সব এড়িয়ে চলেন
চাপ হয় যে পাছে।
শাকান্ন ছাড়া তিনি
অন্য কিছুই খান না,
ঘি-মাংস, রাবড়ি পেলেও
মোটেই কভু চান না।
অভ্যেস আছে নিরামিষে
এতেই তিনি তৃপ্ত,
খাওয়া-দাওয়ায় নয়কো পটু
বাড়ন্ত খায় ভৃত্য।
চলা ফেরায় বড়ই সামাল
তাতে আবার রাতকানা,
নিদেন পক্ষে হাটে গেলেই
আহ্লাদেতে আটখানা!
(বেশ ক'বছর আগেকার একটা
রসাত্মক ছড়া পেশ করলাম।)
(সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত)
আগাম ফসল
হাকিকুর রহমান 

তপ্ত হাওয়া বহিয়া ফিরিছে
শষ্যহারা ফসলের মাঠে,
বাঁধন হারা স্মৃতিরা ভিড়িছে
স্বপ্নভরা তটিনীর তটে।
উদাসী বাউল যায় হেঁটে যায়
কোন সে গাঁয়ের বাঁকে,
কান্না-হাসির মিশেল ঝরানো
সুরগুলো তার লুকায়ে থাকে।
নিমের ছায়েতে ছোট্ট ঘুঘুটা
প্রাণটা খুলে কি যে গায়,
ক্ষণেতে জানায় গোপন কথাটি
পলকিয়া কার পানে চায়।
চোতের ফসল ফুরায়ে গিয়াছে
কিষানীর ঘরেতে নেইকো চাল,
আগাম ফসল বুনেছে মাঠেতে
সেই আশাতেই কাটে যে কাল।
(সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত)
প্রাণের কবি
হাকিকুর রহমান 

নেই কোন তার ঢাল-তলোয়ার
নেই কোন তার সৈন্য,
হাতের কাছে পায়না কিছুই
জীবন ভরা দৈন্য।
আছে যে তার কলমখানি
লিখেই চলে সে,
লিখে যে তার জীবন কথা
মনের আবেশে।
কেউ বা যদি পড়ে যে তার
কাব্য কোন দিন,
এতেই হবে হৃদয় ভরা
খুশী অন্তহীন।
সারা জীবন লিখেই গেলো
গুছিয়ে মনের কথা,
তারই ভিতর রইল পড়ে
সকল মর্মব্যথা।
(বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম-এর
৪৪তম প্রয়াণবার্ষিকীতে)
(সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত)
ছবিঘর
হাকিকুর রহমান 

সত্যিকারের ভালোবাসা বলে
নেই কিছু পৃথিবীতে,
যা কিছু আছে, রঙিন পর্দায়
দেখা যায় সিনেমাতে।
স্ত্রী বলে, নায়ক স্বামীকে
ওই নায়িকাকে চুমু দিলে
আমায় দাওনা কেন?
স্বামী বল্লো,
এই দৃশ্যের জন্যে পেয়েছি
বিশ লক্ষ টাকা
সেটাকি তুমি জানো?
চারিদিকে যতই দেখি
লাগে যেন সবই মেকি।
কিছুই তো আর নেই যে খাঁটি
যতই যে তার পিছনে হাঁটি।
তবুও সবাই সময় কাটাতে
সিনেমা ঘরেতে আসে
কিছুক্ষণের জন্যে হলেও
কল্পনাবিলাসিতায় ভাসে।
.....
(বহু বছর আগেকার একটা ব্যাঙ্গাত্মক লেখা।
তবে, আদৌ ব্যাঙ্গাত্মক কিনা, আপনাদের থেকেই জানি।)
(সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত)
পঙক্তির ভাংতি নেই
হাকিকুর রহমান 

পঙক্তিটা, তার ভাংতি নেই
পদ্য কথার কমতি নেই-
কেউবা খ্যাচে বেদম জোরে
কেউবা হাঁকে বিষম সোরে,
বুদ্ধি বেঁচেই খাচ্ছে সবাই
কেউ কাউকে করছে জবাই-
নিজের লেখার মুরোদ কই
নকল লিখেই ভরছে বই,
সঠিক কিছু লিখলে পরে
পালায় দূরে কেমন ডরে-
গায় মানেনা আপনি মোড়ল
কেউ বোঝেনা কোনটা গরল,
বাড়ির খেয়ে মোষ তাড়ানো
ঘটি বাটি সব হারানো-
চুপ থাকাটাই বুদ্ধি বেশ
গরল পনার হয়কি শেষ?
(সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত)
ভোরের আকাশ
হাকিকুর রহমান 

গানে গানে ভরলো ভুবন
দখিন হাওয়া বইছে বাতায়নে,
প্রাণে প্রাণে লাগলো দোলা
ভোরের আকাশ খেলছে সমীরণে।
সুরে সুরে মাতাল হলো
খেই হারালো বনের পাখিকুল,
দিকে দিকে রঙ ছড়ালো
রবির আলোয় জাগলো তৃণমূল।
কানে কানে বল্লো কি সে
দিলো সমুখ যাওয়ার চেতনা,
রঙে রঙে ভরলো সময়
ভুলিয়ে দিলো সকল বেদনা।
দূরে দূরে দেখছি চেয়ে
আঁধার আলোর চলছে লুকোচুরি,
দেখে দেখে প্রহর কাটে
হৃদয় ভরা আশার স্বপ্নপূরী।
(সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত)
যুগল কবিতা-
উজান ঢল-১:
হাকিকুর রহমান 

উজান ঢলে নামলো বান
ভেসে গেলো চাষীর ধান।
বানের পানি ছলছলায়
ভিটে-বাড়ি সব তলায়।
বাঁধ ভেঙ্গে ঢুকলো পানি
ডুবিয়ে দিলো ঘরের ছানি।
নেবে কোথায় ঠাঁই যে তাই
ঠাঁইটা নেবার জায়গা নাই।
চাষীর এবার মাথায় হাত
কোথায় পাবে ঘরের ভাত।
তবুও সে আর নেইকো বসে
হালটি ধরে আবার কষে।
ফলবে ফসল নতুন করে
আসবে যে সুখ সে ঘর ভরে।
উজান ঢল-২:
হাকিকুর রহমান 

উজান ঢলে বন্যা এলো
আছড়ে পড়ে ঢেউ,
চাষের জমি ভেসে গেলো
নেইতো দেখার কেউ।
স্রোতের তোড়ে যায় যে ভেঙ্গে
কত বসত বাড়ি,
বান ভাসানো মানুষ গুলোর
চড়ছে নাকো হাড়ি।
নেইকো তাদের থাকার জা’গা
নেইকো চাষের জমি,
কেমন করে বাঁচবে তারা
সবই গেলো কমি।
নদী পাড়ের জীবন তাদের
এমনি করেই কাটে,
বছর ঘুরে বাঁচার তরে
রয় যে ভাঙ্গা ঘাটে।
(লেখা দু’টোর মাঝে ১০ বছরের ব্যবধান। তবে প্রেক্ষিত অভিন্ন)
(সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত)
ছড়া- শরতের সকাল
হাকিকুর রহমান 

বিলের জলে সিনান করে
সাদা বকের দল,
শরৎ কালের এই সকালে
বায়ু সুনির্মল।
মাছরাঙাটি বসে আছে
নলখাগড়ার ডালে,
সিন্ধুঘোটক গা শোকালো
কংশ নদীর নালে।
মাতামুহুরী, ইছামতি
শুকিয়ে হলো সারা,
কোন মতে বয়ে চলে
নেইকো আগের ধারা।
শঙ্খচিল উড়ছে দূরে
সুনীল গগনে,
আম্রপালী সুবাস ছড়ায়
কোন সে কাননে।
ভোরের আলো লাগলো চোখে
আশা জাগায় বুকে,
হলদেঝুঁটি গাছের শাখে
গাইছে পরম সুখে।
শিশুর হাতে পায় যে শোভা
রঙিন বর্ণমালা,
বনমালীনি ছুটছে বনে
নিয়ে ফুলের ডালা।
কান্না-হাসির মিলন মেলা
এদেশ অপরূপা,
ঋতুচক্রের আবর্তনে
হয় সে নবরূপা।
(সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত)
কাগজের ফুলদানি
হাকিকুর রহমান 

কাগজের ফুলদানিতে
সাজিয়ে রাখা ফুলটি দেখে,
চেতনার হাতছানিতে
চিহ্নটি তার যায়নি রেখে।
বেদনার ঘোলা জলে
সাঁতরে সে যে পাইনা সীমা,
বিবেকের কোলাহলে
সামনে পাওয়া যায়নি লিমা।
বাঁধনের সীমানাতে
কারে আবার হারিয়ে খোঁজা,
ভাঙ্গনের কিনারাতে
লাগে যে সব নয়কো সোজা।
স্বপনের সিঁড়ি বেয়ে
ইচ্ছেগুলো যায়নি চেনা,
হৃদয়ের পানে চেয়ে
ক্ষণটাকে আর হয়নি কেনা।
(লিমা- আঁখি, নয়ন)
(সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত)
একটু আলো চাই
হাকিকুর রহমান 

এ যেন কোন এক উন্মাদ শিল্পীর আগোছালো তুলির ছোঁয়া-
প্রষ্পুটিত হবার আগেই জলকমলটি হাতে পড়ে দুবৃত্তের,
উপুড় হয়ে বসে থাকা ভোদড়টার কান্নার জল,
মিশে যায় প্লাবনের ওই ঘোলা জলে।
কালো রঙে ভরা আকাশময়,
পক্ষীরা ত্রাসে ফিরে যায় নীড়ে-
আর গলদঘর্ম হয়ে আকুল চাতকী চায় আকাশের পানে।
এই বুঝি এলো ঝড়,
শন্ শন্ বাতাসের শব্দ কানে এসে লাগে,
আর দুলে দুলে ওঠে বাগানের কোণেতে
সদ্য লাগানো ফনিমনসার ঝাড়।
কিসের অট্টহাসি শোনায়, মেঘগুলো গগন জুড়ে?
নিমেষেই গ্রাস করে দিবসের আলো।
জোনাকগুলো হাত জোড় করে অনুনয় করে কয়,
“একটুকুন আলো চাই!”
(সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত)
স্মৃতির কাহন
হাকিকুর রহমান 

কিসের মায়াতে ছাড়িলে স্বদেশ
কিসের মোহেতে পড়ি,
অন্নপূর্ণা আজও জেগে আছে
স্মৃতির পাতাগুলি ভরি।
আঁকাবাঁকা ঐ নদীপথ ধরে
ডিঙি বওয়া দিনগুলি,
পিতামহদের আদর মাখানো
কি করে সে কথা ভুলি।
বন্ধুসকল হয়েছে নামহীন
বাঁধা পড়ে তবু মন,
লক্ষীর ঝাঁপি খুলেতো রেখেছি
কোথা গেলো প্রিয়জন।
শুনিতে কি পাও, সেই পথ বেয়ে
পার হয়েছি যে কতবার,
বাঁশের বাঁশরী বাজায়ে ফিরেছি
হৃদয়ের কথা কহিবার।
(সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত)
নদী রচনা
হাকিকুর রহমান 

নদী রচনাটা লিখে, শব্দগণনা শেষ করে ঠোঁটস্থ করা-
আহা!
কি ভাবাবেগ নিয়েই না লেখা সেটা।
অর্গানিক কেমিষ্ট্রির মলিকুলার চেইন রিএ্যাকশানগুলোকে
শাণিত করবার বার বার প্রচেষ্টা, যাতে করে হুবহু
উগল দিতে পারা যায় পরীক্ষার খাতায়।
ঐচ্ছিক গণিতের সমীকরণগুলোকে বাম চোখে একবার,
ডান চোখে একবার দেখে দেখে মেলানোর প্রচেষ্টা।
বাঁশের গায়ে তেল মেখে বানরের উপরে ওঠার
অংকগুলো কি বেদনাদায়কই ছিলো,
সাথে ছিলো প্রাক্কলিত ব্যয় সহ সুদ কষার অংকগুলো।
কেন?
ঐ বয়েসেই সুদ খাওয়া শেখা, নাকি সুদ কি জিনিস,
সেটা গলাধঃকরণ করা!
আরও ছিলো, চৌবাচ্চার এক ফুটো দিয়ে যাচ্ছে পানি পড়ে,
আর এক ফুটো দিয়ে পানি কত ঘন্টায় ভরে?
ইস্-
কি নিদারুণ ফাঁকিবাজি- ওগুলো শিখে আমার কি লাভ?
কি লাভই বা হবে সমাজের, দেশের-
এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাইনি।
তবে, অংকগুলোর পাশে চারটে স্টার চিহ্ন দিয়ে
লিখে রাখতাম, ভিভিআইপি। কারণ, ঘুরে ফিরে
প্রতি বছরই ফাইনালে ঐ অংকগুলোই আসতো।
নির্জলা মিথ্যেগুলোকে সত্যি প্রমানিত করে,
বিতর্কের বিরোধী বক্তা হবার নেশাটাও খারাপ লেগেছে।
ওটাকি পরে সমাজের চোখে ধুলো দেবার আঁতুড়ঘর নয়?
তখনকার দিনে এখনকার মতো জিপিএ পদ্ধতি ছিলোনা,
তবুও উচ্চতর নাম্বারের জন্যে কি প্রাণান্তকর প্রতিযোগীতা!
বহুদিন হলো, দেশের শিক্ষাব্যবস্থা সম্বন্ধে অবহিত নই,
জানা নেই এখনও ঐ বিদঘুটে অংকগুলো শেখানো হয় কিনা-
তবে কেন জানি মনে হয়,
সমাজ-দেশ-জাতির সমৃদ্ধির জন্যে,
সামাজিক ও অর্থনেতিক উন্নতির লক্ষ্যে এবং
সর্বপরি, আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে ব্যাপ্তিত হ’বার নিমিত্তে
কার্যকরী শিক্ষাব্যবস্থার বিকল্প নেই।
(লেখাটা একটু বড় হয়ে গেলো, তবুও ধৈর্য ধরে পড়ার জন্যে ধন্যবাদ)
(সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত)
বাতাবরণ
হাকিকুর রহমান 

স্নিগ্ধতার পরশ ছড়ালো
সাঁঝের ঐ সমীরণ,
প্রশান্তি নামিলো চারিদিকে
হিমেল বাতাবরণ।
শুরু হলো, প্রজাপতিদের
ঘরেতে ফেরার পালা,
স্ফটিক রঙে রাঙিলো আকাশ
মৃদু বহে নদী-নালা।
ঝিলের জলেতে পড়িলো ছায়া
অশ্বত্থ-পাকুড়ের,
চাতক-চাতকী ফিরিলো নীড়েতে
শাখে পলাশ-শিমুলের।
লজ্জাবতী লতা গুটালো তার পাতা
আঁধারের আবেশে,
হাসনুহেনা ভরালো সুবাস
রাতের বাতাসে।
দূরের গগনে উদিত হইলো
আধো বাঁকা এক চাঁদ,
দ্যুলোকে ভরিলো অগনিত তারা
যেন ঘুম ভাঙ্গানিয়া ফাঁদ।
(সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত)
পদ্মাবতী
হাকিকুর রহমান 

পদ্মাবতী, কন্যা তোমার
রূপের কথা কি করে প্রকাশিব,
কথামালা সব উবে যায়
বর্ণনা তাহার কিভাবে করিব।
আঁখি দু’টি করে জলে টলোমলো
যেন কোন সঞ্চিতা,
মায়াবী চাহনি মন কেড়ে নেয়
বুঝি কোন পারমিতা।
অধরে তোমার বাঁকা হাসি যেন
কোন এক অপ্সরী,
হাসিটি তোমার ভুবন ভোলানো
যতো দেখি, মরিমরি।
শকনো পাতার মর্মর বাজে
হেঁটে যাও যে পথে,
পক্ষীকুজন হরষিয়া উঠে
আগমনীর শপথে।
চুলগুলো যেন বাতাসে দোলানো
ঘন কালো মেঘের রাশি,
ঝলোমলো করে রোদের কিরণে
বাজে রাখালিয়া বাঁশি।
কন্ঠে তোমার অমৃত ঝরে
যেন চিরচেনা কোন সুর,
যতই শুনি বিমোহিত হই
লাগে বড়ই সুমধুর।
......
করিব কি আর রূপের বর্ণনা
তুলনা তাহার নাই,
ভেসে থাকো তুমি হৃদয় সরোবরে
আমি শুধু লিখে যাই....
(বেশ কয়েক বছর আগে লেখা এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।)
(সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত)

Friday, September 4, 2020

The wheel of life
Hakikur Rahman


Day after day
Time is endless
Path after path
Path is endless.
Mistake after mistake
Live inside that
Month after month
It's a joke.
Pain after pain
There is no happiness
Injury after injury
Just full of sorrow.
Game after game
Running all day
Talk after talk
I can't say that.
Night after night
Without sleep in the eyes
That's how it goes
The wheels of life.
জ্যোতির্ময়
হাকিকুর রহমান 

আপন জ্যোতিতে বিভোর হইয়া, ওহে জ্যোতির্ময়
গড়িয়াছো ধরা- এ নিখিল বিশ্ব, দিয়াছো তাহাতে কত লয়।
ভাঙ্গা ও গড়ার খেলার মাঝে, জাগায়েছো কত কথা
দুঃখ-সুখের পরতে পরতে, সাজায়েছো আকুলতা।
আপনার মাঝে ছিলে একাকী, হঠাৎ হইলো কি সাঁধ
সৃষ্টি করিলে মানব সত্তা, ঘটিলো তাহাতে যত বিবাদ।
মাটির পিন্ডকে ফুৎকার দিয়া, কহিলে, মানুষ হ
বুঝিবে কে যে তোমার লীলা, সবাই হয়ে গেলো থ।
কহিলে ডাকিয়া এখন হইতে, স্বর্গেই বাস করো
প্ররোচনায় পড়ি, মানুষ তুমি, অন্যায় পথ ধরো।
ব্যথিত হইয়া, কহিলো ভুস্বামী, ধরাতে যাইয়া পড়ো
ন্যায়-অন্যায়ের মাঝেতে লড়িয়া, নিজের জীবন গড়ো।
সেদিন হইতে মানব সকলে, করিয়া চলে বিগ্রহ
একে অন্যের প্রতি নাই সহানুভূতি, নাই কোন আগ্রহ।
তবুও চোখদু’টি সরায়ে নেয়নি, বিশ্বের বনমালী
সযতনে সে আপনার মনে, ভরায়ে দিয়াছে ডালি।
মানব জনম করিতে সফল, পাঠায়েছে কত নবী
অন্ধ তাহারা বোঝেনাতো কিছু, ভুল বুঝিয়াছে সবি।
মানব সকল বড়ই অকৃতজ্ঞ, বুঝিতে পারেনা তা বটে
অপরাধ গুলি করিয়াই ফেরে, ভুবন মাঝীর এই তটে।
ওহে মানব, জাগিয়া ওঠো, রহিওনা আর আঁধারে
বিবেক-বুদ্ধি প্রকাশিত করি, স্মরণ করো তাঁহারে।
(সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত)
ছড়া যুগল-
মিনুর ঘাড়ে ভূত
হাকিকুর রহমান 

মিনুর ঘাড়ে লেগেছে ভূত
ডাকো সবাই মোল্লা-পুরুত।
ঐ ভূত তোর নামটা কি?
নাম শুনে তোর কামটা কি?
থাকি আমি শ্যাওড়া গাছে
যায় কেন সে গাছের কাছে।
মটকে দেবো ঘাড়টি তার
যায় যদি হোথা আবার।
ঝাড়ফুক আর পানিপড়া
কেয়ার করি আমি থোড়া।
নামবোনা আর ও ঘাড় থেকে
যতই আনো মোল্লা ডেকে।
হুজুর দিলো অভিশাপ
ভূতটা বলে, বাপরে বাপ!
সেই যে গেলো ও গাঁও ছেড়ে
আর আসেনি সেথায় তেড়ে।
ভূত তাড়ানো ফকির
হাকিকুর রহমান 

ভূত তাড়াতে ফকির এলো
ফকির তাড়াবে কে?
বড় ঘরের মাঝখানেতে
জুড়ে বসেছে।
এটা আনো, ওটা আনো
কত জারিজুরি,
ভূত তাড়ানোর নাম করে সে
করছে পুকুর চুরি।
গাঁয়ের মানুষ কি আর করে
বুঝে তারা কম,
এই সুযোগে লুটছে বসে
হয়ে তাদের যম।
এমনি করে ব্যবসা করে
ভূত তাড়ানোর নামে,
যখন যেথায় জুড়ে বসে
তার তো শরীর ঘামে।
(সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত)
গাঁয়ের বঁধু
হাকিকুর রহমান 

গাঁয়ের বঁধু পুকুর ঘাটে
যায় যে হেঁটে যায়,
ঝুমুর ঝুমুর পায়ের নূপুর
আলতা রাঙা পায়।
পাখির কুজন ভরায় সে ক্ষণ
বহে দখিন বাও,
কে ভিড়েছে নদীর ঘাটে
ময়ূরপঙ্খী নাও।
বঁধু হাঁটে আলতো পায়ে
নীলাম্বরীর বেশে,
ভর দুপুরে ভরা ভাদর
রৌদ্রছায়ায় মেশে।
ক্লান্ত পথিক সে পথ দিয়ে
কোন সুদূরে যায়,
গাঁয়ের বঁধুর রূপ দেখে সে
আঁড়ে আঁড়ে চায়।
রাখালিয়া বাঁশি বাজে
এ কোন মধুর সুরে,
প্রাণ ভুলানো সুরে সে আজ
নেয় যে ডেকে দূরে।
(সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত)
রজনী
হাকিকুর রহমান 

বেনুবনে আজ ফুটেছে বকুল
পলকিয়া চাহি কারে,
শাওন আকাশে মেঘের ঘনঘটা
উচকিত করিবারে।
বহিছে বাতাস কঙ্কিনি সুরে
ডুবিতেছে দিবাকর,
গ্রাম ছাড়িয়ে মাঠের ওপারে
আঁধার করেছে ভর।
বাঁশ বাগানের ছায়া ঘেরা বনে
জ্বলে ওঠে জোনাকি,
চাতক-চাতকী ঘরে ফিরে চলে
নিদে ভরা দু’আঁখি।
শিশুরা ঘুমায় মায়েদের কোলে
কতনা মায়াতে ভরা,
কোলাহলহীন পথ প্রান্তর
ঘুমিয়ে পড়েছে ধরা।
(সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত)
কোরাসঃ
ভবের ধারা
জীবন নদীর আঁকে বাঁকে
স্বপ্নগুলো লুকিয়ে থাকে,
কেউ বা দেখে, কেউ না দেখে
কারও জানা নাই।।
ফাগুন মাসে শাখে শাখে
মধুর সুরে কোকিল ডাকে,
কেউ বা বুঝে, কেউ না বুঝে
কারও জানা নাই।।
পথের বাউল যায় গেয়ে যায়
পিছন পানে তাও ফিরে চায়,
কেউ বা শুনে, কেউ না শুনে
কারও জানা নাই।।
বিবেক গুনে চলা কঠিন
ভবের ধারা নয়কো রঙিন,
কেউ বা শিখে, কেউ না শিখে
কারও জানা নাই।।
(তথ্য উপাত্তেঃ হাকিকুর রহমান)
(সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত)
মনের উনুন
হাকিকুর রহমান 

ওগো শহরের বাবু,
আপনাদের রঙ্গরস দেখেই তো
হয়ে যাচ্ছি কাবু।
আমি তো গাঁও গেরামের লোক,
বুদ্ধি-সুদ্ধি নেইকো মোটেই
শুধু একবেলা,
একটু পেটপুরে খাওয়ার ঝোঁক।
তাও, অনেক প্রকার নয়-
এক প্রকার নিরামিষেই রহি খুশী,
কারণ, বাড়িতে অন্ন বাড়ন্তই থাকে
আর তা নিয়েই বুকের জ্বালাটাকে পুষি।
যদিও মনের উনুনে, খালি ভাতের হাড়িটা
হাপিত্যেশ করে সদা,
কিন্তু চিন্তার কারণ নেই
আপনাদেরকে জ্বালাতন করবোনা,
দয়া করে মারবেননা পিঠেতে গদা।
কি করবো, ওই যে শাকপাতা খেয়ে খেয়ে
অভ্যেসটা হয়ে গ্যাছে, একটু অন্য রকম,
তাই, সুযোগ পেলেই
প্রাণটা খুলে একটু বাগাড়ম্বর করি-
যদি তাতে প্রশমিত হয়
এই পীড়িত বুকের জখম।
(সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত)
দিদি
হাকিকুর রহমান 

দেবো কানমলা, বলে, দিদি আমায় দিলেন বকুনি
কারণ, আজকে তাঁর পড়াটা, ঠিক মতো করিনি।
দিদি আমাকে যক্ষের ধন করে, আগলে রেখেছেন সারাক্ষণ
যাতে করে, আমি যেন কোন বিপদে না পড়ি, যখন-তখন।
মনে পড়ে, দিদি যেদিন স্বামীর ঘরে গেলেন চলে,
আমাকে তিনি কিছুই কইতে পারেননি
নীরবেই চেয়ে চেয়ে বিদায় নিলেন
কোন কিছুই না বলে।
হঠাৎ একদিন, দুয়ারে দাঁড়ালো গাড়ি, নামলেন দিদি আমার
পরনে তাঁর শুভ্র সাদা শাড়ি-
কেন? বুঝিনি আমি,
বহুকাল পরে বুঝেছি, তাঁর সবচে’ কাছের মানুষটাকে
কেড়ে নিয়েছেন, অন্তর্যামী।
(সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত)
মায়ের কোল
হাকিকুর রহমান 

ভর দুপুরে, মালঞ্চলতার ডালে বসে থাকা
বাহারী প্রজাপতিটা বাতাসের দোলাতে তটস্থ হলো,
আধো নুয়ে পড়া নিমের শাখে ঝিমোনো বুলবুলিটাও
নড়ে চড়ে বসে চেয়ে রইল আকাশের পানে,
দীঘির জলের ওপরে ফুটে থাকা পদ্ম পাতায় বসা
লাল ফড়িংটাও সন্ত্রস্ত হলো। রাতের আঁধার নেমে এলো
চারিদিকে, এ কিসের লক্ষণ! কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই
শুরু হলো শিলাবৃষ্টি, সাথে নিয়ে প্রচন্ড হাওয়ার দাপট-
জুবুথুবু ভিজে যাওয়া ঘুঘুটা ডাক ভুলে খুঁজে ফেরে
নিরাপদ আশ্রয়, বনের ধারে সদ্য গজিয়ে ওঠা
ঝিঙেফুল গাছটাও উপড়ে যাবার ভয়ে প্রমাদ গুনলো-
আর এই আঁধারের মাঝেও শালিক ছানাটা মায়ের কোলে
বসে কি স্বস্তিতে লক্ষ্য করলো, লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়া
তরুলতাগুলোকে, আর বল্লো,
“পৃথিবীর সবচে’ শান্তির স্থানেই আছি”।
(সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত)
পরছায়া
হাকিকুর রহমান 

কতো হাসিলাম, কতো কাঁদিলাম
কতো অবলোকন করিলাম, নব নব দৃশ্য-
কতো রাখিলাম, কতো ঢাঁকিলাম
কতো অবদমিত করিলাম, ঘটমান অস্পৃশ্য।
দেহাভ্যন্তরে যে ব্যাধি, তাহা তো
প্রশমিত হইবে বদ্যে আর পথ্যে-
হৃদয়াভ্যন্তরে যে মরণব্যাধি বাসা বাঁধিয়াছে,
তাহা প্রশমনের তরে
ঘুরি ফিরি সদা নেপথ্যে।
ঘূর্ণায়মান এক বৃহদাকার চড়কগাছে
উপবিষ্ট হইয়া হেরিতেছি, পৃথ্বীকে
কখনও বা অতিক্ষুদ্রাকায় কিছু-
আবার ভূমির কাছাকাছি অবতরণে
দৃশ্যমান হইতেছে সকলই,
ছাড়িতেছে না তো আর পিছু।
তবে কি সবই অলীক, সবই কি মায়া
রহিবে কি অগোচরে, মোর প্রাণহীন কায়া-
কহিতে না পারি, সহিতে না পারি
দোদুল্যমানতায় ভাসিলাম, এই আলো আঁধারীতে,
ছায়ার পিছনে ভর করিলো কতো পরছায়া।
(সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত)
কঙ্কিনি
হাকিকুর রহমান 

জলে ভাসিলো কাহার সিঁদুর
ভাঙ্গিলো কাহার কঙ্কিনি,
নিমেষে ভাঙ্গিলো বাঁধনের বেড়ী
বিরহ হইলো সঙ্গীনি।
অপলোকে চাহে নীলিমার পানে
নিদ্রা রহিলোনা আর রাতে,
ধরিবেনা কেহ হস্ত দু’খানি
শুন্য আঙ্গন হেরিবে প্রতি প্রাতে।
দন্ডায়মান হইবেনা কেহ আর
সমুখে আসিয়া সন্তর্পণে,
প্রতীক্ষা করিবেনা কেহ আর
অবয়বখানি দর্শিত হইবেনা
আর কোন দর্পণে।
সাঁঝের বেলায় প্রদীপখানি
প্রজ্জ্বলিত করিবেনা আর কেহ,
সম্বোধন করিবেনা কেহ আর নামটি ধরিয়া
করিবেনা কেহ তেমন করিয়া আর স্নেহ।
উপবেশন করিবেনা কেহ আসন পাতিয়া
চমকিত করিবেনা কেহ আগের মতোন,
পশ্চাতে রহিলো পড়িয়া সকলই
হৃদয়ের যতো নাবলা কথন।
(সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত)
যুগল কবিতা
সুখ নামের পাখি
হাকিকুর রহমান 

“সুখ নামের সুখ পাখিটা”
বন্দী হলো সোনার খাঁচায়,
ঝাপটে মরে বাইরে যেতে
কেইবা আছে তারে বাঁচায়।
ছিল সে একাই পড়ে
ছিল না তার কোন আশা,
হলোনাতো স্বপ্নপূরণ
অশ্রুজলে শুধুই ভাসা।
গেলো সব উধাও হয়ে
গেলো তারা কোথায় চলে,
গেলো চলে সকলই হায়
গেলো চলে কোন সে ছলে।
নিলোনা কেউতো ডেকে
নিলোনা কাছেতে আর,
দিলোনা হাত বাড়িয়ে
দিলোনা খুলে যে দ্বার।
ভুবন মাঝীর ঘাট
হাকিকুর রহমান 

যোগ-বিয়োগের অংক কষে
জীবন কেটে যায়,
থেবড়ো পথে পিছলে পড়ে
পিছন ফিরে চায়।
ধ্যান-ধারনার উর্ধ্বে উঠে
আবার চলা শেষে,
চাওয়া-পাওয়ার হিসেব গুলো
যায়যে কোথায় ভেসে।
সামলে নিয়ে তবুও চলা
কোনসে মতি আটে,
এমনি করে কাটে প্রহর
ভুবন মাঝীর ঘাটে।
(সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত)
যুগল কবিতা
ফাগুন রাতের ধুন (সুরেও গাওয়া যায়)
হাকিকুর রহমান 

মন যে আমার হয় বিবাগী
বাঁশের বাঁশির কান্না শুনে,
তন্দ্রাহারা রাত্রি জাগে
উদাস করা ক্ষণটি গুনে।।
কি বাহারে ভোমরা উড়ে
বনমহুয়ার পাপড়ি জুড়ে
সুবাস ছড়ায় শুভ্র জুঁথী
কাতর ঘুমে পথ সারথী,
কে যে কোথায় রইল জেগে
মায়ায় ভরা জালটি বুনে।।
চাঁদনী রাতে তন্দ্রা কাড়ে
কোন আবেশে ভাবনা বাড়ে
লজ্জাবতীর লতা ঘুমায়
শিহর ভরে প্রাণটা জুড়ায়,
মন যে কাড়ে দূর পাহাড়ে
ফাগুন রাতের কোন সে ধুনে।।
অচীন গাঁ
হাকিকুর রহমান 

কে জাগে ওই চাঁদনী রাতে
বাঁশীর সুরে ঘুম ভাঙ্গাতে।।
জাগলো বঁধু সুখ স্বপনে
কাড়লো দিশা দূর গগনে।
শিথান জুড়ে জমলো আশা
নিশীথ কালে কমলো ভাষা।
পান্থ পাখির পাখার ছায়ে
নিদ্রা কাতের তিত ঘুমায়ে।
যায় যে বেলা আলসে বায়ে
জনম গেলো অচীন গাঁয়ে।।
(সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত)
যুগল কবিতা
না বলা কথা
হাকিকুর রহমান 

হাত বাড়িয়ে পাইনে তো সুখ
পা বাড়িয়ে দিশা,
সবাই তো আজ হলো বিমুখ
ভরলো অমানিশা।
মনের ভুলে পথ হারিয়ে
ঘুরছি পথে পথে,
পাইনা তো আর পথের দেখা
ব্যর্থ মনোরথে।
তারায় তারায় ভরলো আকাশ
চাঁদের দেখা নাই,
খুঁজতে গিয়ে ধ্রুবতারা
তাকিয়ে থাকি তাই।
সামনে গিয়ে ঘাড় ফিরিয়ে
পিছন দিকে দেখি,
না বলা সব মনের কথা
খাতায় গেলাম লিখি।
দিন যে কাটে
হাকিকুর রহমান

দিন যে কাটে হেলা ফেলায়
জীবন কাটে সাগর বেলায়।
দিনের শেষে রাত্রি আসে
ইচ্ছেগুলো হাওয়ায় ভাসে।
ভ্রান্তিগুলো যায়না সওয়া
ক্লান্তিগুলো যায়না বওয়া।
ভাবনাগুলো ধরছে চেপে
তবুও চলা পথটা মেপে।
কত কিছুই গেলাম দেখে
চিহ্নটাতো যাইনি রেখে।
কোথাও বৃষ্টি, কোথাও খরা
এমনি করেই চলছে ধরা।
(সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত)
যুগল কবিতা
সমুখে পা
হাকিকুর রহমান 

বসন ভূষণ হলো মলিন
বয়সটাতো হলো প্রবীণ।
কর্মকান্ড গেলো বিফল
বাঁধনটাতো লাগে শীতল।
দিনগুলো সব হারিয়ে গেলো
পথটা করে এলোমেলো।
মনটা তবু রাখি খাঁটি
প্রাণটা করে পরিপাটি।
দিলাম আবার পথে পা
সমুখ পানে চলে যা।
পথের কথা
হাকিকুর রহমান

কান্না-হাসির এই মেলাতে
সময় কাটে কোন খেলাতে।
দিনের শেষে রাত্রি আসে
তারায় ভরা গগন হাসে।
কত জনার আনা গোনা
কত কিছুই যায় যে শোনা।
কাটে যে কাল এমনি করে
থাকে যে মন এমনি ভরে।
পথের কথা পথেই থাকুক
আগ বাড়িয়ে সামনে ডাকুক।
(সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত)
সস্তা কথন
হাকিকুর রহমান 

ব্যস্ত সে যে, ব্যস্ত কে যে
ব্যস্ত দেখি সকলে,
তপ্ত ধরায়, সত্তা হারায়
বুদ্ধি কাটে ধকলে।
ঠান্ডা লড়াই, জব্দ বড়াই
প্রাণটা খুলে কেঁদেনি,
দেখলে দেখুক, শিখলে শিখুক
কুমন্ত্রণা ফেঁদেনি।
চলন বাঁকা, বলন ফাঁকা
তাইতো তারে চিনিনি,
হাতের কাছে, সবই আছে
সস্তা পেয়েও কিনিনি।
(সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত)
কোরাস (একা একাও গাওয়া যায়)-
 
ল্যাংড়া চলে গাধায় চড়ে রে-
হ্যাংলা গাধা বড়ই খোড়া (২)
নেতিয়ে পড়ে রে,
ল্যাংড়া চলে গাধায় চড়ে রে।।
জোরে-
তাইতো আমি লেংচে মরি
হ্যাংলা গাধার কানটা ধরি
বেসুরেতে গানটা করি।।
আবার-
ল্যাংড়া চলে গাধায় চড়ে রে-
হাঁদা গাধা ত্যাদোড় ভারি (২)
দৌড়ে মরে রে,
ল্যাংড়া চলে গাধায় চড়ে রে।।
ল্যাংড়া ও গাধা
তথ্য-উপাত্তেঃ হাকিকুর রহমান
(সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত)
শেষের গান
হাকিকুর রহমান 

সাঁধ ছিল মোর হবো ভোরের পাখি,
সবার আগে ফুল বাগানে উঠবো আমি ডাকি।।
সাঁধ ছিল মোর হবো নায়ের পাল,
ভরা গাঙ্গে ঢেউয়ের তোড়ে ধরবো আবার হাল।।
সাঁধ ছিল মোর হবো মেঘের ভেলা,
দূর গগনে প্রাণটা খুলে করবো সেথায় খেলা।।
সাঁধ ছিল মোর হবো শেষের গান,