Tuesday, February 25, 2020

Tearful words
Hakikur Rahman

Clouds of thought, increased emotions
Heard howling
On the edge of consciousness, just turn around
I do not know who.
Oh my mind, put in what a dress
Tied to someone's heart
As much as I make it tidy, by the way
It goes far away.
Twilight lurks, and sinks further
I'll find him
The route is late, just rushing
Darkness has come down.
Tears, leads to chest pain
Doesn't make sense
Imaginary happiness, weeping chest
Sort it out.
চেতনা
হাকিকুর রহমান

অভিধান ঘাটি ঘাটি,
সাজাতে চেয়েছি জীবনটাকে, করে পরিপাটি।
প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে,
প্রতিকুলতার উর্ধ্বে রয়েছি-
অনাচার সয়ে সয়ে।
হৃদয় রহিল অসন্তুষ্টিতে ভরে,
যদিওবা করেছি উৎসর্গ সকল কর্মকান্ডকে-
সকল সুপ্রসন্নতার তরে।
ব্যথিত হয়েছি আজি,
তবুও করিনি সন্ধি অন্যায়ের সাথে-
রেখেছি জীবনকে বাজি।
এভাবেই কাটিল কাল,
ধারনাগুলি সবই মতিভ্রমতায় ভুগিল-
অদৃষ্ট হইল মহাকাল।
অভিসার
হাকিকুর রহমান

কে যায় অভিসারে, মাধুরী কুঞ্জবিহারে,
প্রণয়ের শিখা জ্বলিছে সেথায়
কোন মহারথী গাহিছে কোথায়
নূপুর ঝংকারে বাজিল নিনাদ, অবারিত হৃদ মাঝারে।
জাগিল বিভাবরী, চিত্ত নিল হরি,
শুক্লাতিথির মাহেন্দ্রক্ষণে
বকুলতলাতে অতি নিরজনে
কহিল সঞ্চিত হৃদয়ের কথা, অবিচ্ছেদ্যভাবে ধরি।
আবহমান
হাকিকুর রহমান

ছায়া সুনিবিড় শান্তির নীড়
এই যে আমার গাঁ,
সবুজ মাঠে ঢেউ খেলানো
বয়ে যায় দখীনা।
মাঠে মাঠে ভরে আছে
সোনা রঙের ধান,
রাখাল ছেলে ছায়ায় বসে
সুর ধরে গায় গান।
কুলু কুলু বহে নদী
নৌকা বাঁধা ঘাটে,
খোকা-খুকু রয় যে মেতে
রঙ ছড়ানো হাটে।
শান বাঁধানো দীঘির জলে
ফুটে পদ্ম ফুল,
গাঁয়ের বঁধুর কানে ঝুলে
ঝুমকোলতার দুল।
হৃদয়খানি রইল পড়ে
জোনাক জ্বলা রাতে,
প্রাণ জাগানো আশায় থাকি
তাইতো নতুন প্রাতে।
রোপা ধান
হাকিকুর রহমান

মাঠে উঠে রোপা ধান
দেখে জুড়ায় চাষীর প্রাণ।
জৈষ্ঠ-আষাঢ়ে বীজ বুনে
চাষী বসে দিন গুনে।
শ্রাবন-ভাদ্রে করে রোপন
গুনে গুনে করে দিন যাপন।
অগ্রহায়ন-পৌষে কাটে ধান
ছায়ায় বসে গায়যে গান।
এমনিভাবে বছর যায়
চাষীর নাগাল আরকে পায়।
ফুলেল শুভেচ্ছা
হাকিকুর রহমান

দুলে মালতীলতা ঐ দুলে,
অসম রাগীনি সব ভুলে।।
দুলে ব্রহ্মকমল আর স্বর্ণচাঁপা,
দুলে রুদ্রপলাশ আর কাঠালিচাঁপা।।
নীলকন্ঠ, শারঙ্গ আর বরুণ ফুলে,
দখীনা বাতাসে দেখো কুটজ দুলে।
সেনালু, যুথিকা আর সর্বজয়া,
রূপসী, ডাকুর, ছিটা বাড়ালো মায়া।
মেহেদী, আগর আর নীলাম্বরী,
বধারা, লুপিন দুলে চিত্ত হরি।
দুলে সন্ধ্যামালতী ঐ দুলে,
কানন ভরেছে কামিনী ফুলে।।
স্বপন
হাকিকুর রহমান

স্বপনে, অতি নিভৃত স্বপনে-
দেখেছিলাম কাহারে গভীর গোপনে।।
স্বপ্নচারী আমি,
দিন বিচারি কাল গুনি-
আর পথ চলি থামি থামি।
হায়গো আমার আশার অতীত-
হেরিলাম কোন সে পলকে পতিত।
নিবিড় নীরবতায়,
ক্ষণগুলি গিয়াছে চলি-
তবুও ভেবে যাই আকুলতায়।
ওহে মোর হৃদয়ের প্রতিবেশী-
কবে কবে হয়ে গেলে দূর পরদেশী।
চিনিতে পার নাই কভু,
অন্তর মম, লয়ে প্রাণের পুলকে-
আমি গাঁথি সবই স্বপনের মাঝে,
ভাসে তাহা আঁখির পলকে।
অকর্মার ঢেঁকি
হাকিকুর রহমান

উনুনের ধাঁরে আছে কাঠের গাদা-
তাদেরে দিয়েই হবে আজকের রাঁধা।
চব্য-চোষ্য-লেহ্য-পেয়,
প্রীত হইবে ভক্ষণে তাহা সহজেই অনুমেয়।
দহনে-জ্বলনে তারা নিবেদিত প্রাণ,
ইহাই জগতে তাদের উত্তম পরিত্রাণ।
এভাবেই উনুনে তারা দিনমান জ্বলে,
তাদের আত্মোৎসর্গ যায়না বিফলে।
পাশেতে রয়েছে পড়ে এক চেলাকাঠ,
সে অন্য রকম তাই কিযে তার ঠাট।
পরিহাস করিয়া কহে, দেখেছিস্ তোরা,
রয়েছি অক্ষত হেথা কেমন আনকোরা।
পড়িল চোখ তাহে গৃহিনীর একদিন,
হঠাৎ করিল সে যে মুখটা মলিন।
কহে, ওরে চেলাকাঠ, কোন কাজের নও,
আমার হেসেল হতে তুমি দূর হও।
উঠানেতে ছুড়ে তারে দিলো ফেলিয়া,
কাঠের গাদার কাঠেরা দেখে চোখ মেলিয়া!
পিঁপড়া বাঁধিল বাসা, উইপোকে খায়,
একাকী রহিল পড়ে, বড্ড অসহায়।
হলে কাজে বড় না হয়ে কথাতে বড়,
একদিন আসিবেই যবে, বেগতিকে পড়।
অগ্রহায়ণ
হাকিকুর রহমান

কার্তিক কহে অগ্রহায়ণকে, ওহে অগ্রহায়ণ
আমিওতো তোমারি মতো, একটি মাস-
তবে তোমারে কেন সকলেই, করে এতভাবে গ্রহণ?
অগ্রহায়ণ স্মিত হাসে,
কহে জানোনাকো ভ্রাতা,
এই মাসে ভরে কৃষকের গোলা নবান্নের ধানে,
তাই তারা মোরে এত ভালোবাসে।
গোলক ধাঁধা
হাকিকুর রহমান

"শঠে শাঠ্যং সমাচারেৎ",
ইহা কিসের অশনি সংকেত!
মনুষ্য প্রজাতির মুখোশধারীদের চতুর্দিকে গমনাগমন,
সমাজের গহ্বরে নষ্ট কীটের সংক্রমণ।
'লাল ফিতা'র দৌরাত্ম্য বাড়িয়াছে যত্রতত্র,
মেজ-এর বিপরীত দিকে লোভাতুর দু'টি হস্ত।
"সাধু বেশে পাকা চোর অতিশয়",
পারঙ্গম নহি আর, হনু পুত্তলী মৃন্ময়।
ফেরা
হাকিকুর রহমান

সেই কাকডাকা ভোরে বাগান থেকে এক গুচ্ছ বেলী ফুল তুললাম-
যে তার হাতে দেবো, যাতে করে সে খোঁপায় গুঁজে দিতে পারে,
আর পাশের বাগান থেকে কিছু শেফালী উঠালাম,
যা দিয়ে বিনি সুতোর মালা গেঁথে সে যেন গলায় পরতে পারে,
কিন্তু কই, সে তো এপথটা আর মাড়ালোনা।
মুখুজ্জে বাড়ির বাগানে গোলাপ ফুটে, বিরাট আকারের-
খুব সুবাসিত- অনেক অনুনয় করে কাঁটা এড়িয়ে
একটা লাল গোলাপ ছিড়ে হাতে নিলাম,
যেটা তার হাতে দিতে চেয়েছিলাম-
কই, সে তো এপথটা কোন মতেই মাড়ালোনা।
আমার দরজার সামনে একটা হাসনুহেনার গাছ ছিল-
প্রতিদিন প্রার্থনার প্রস্তুতকালের জল গড়িয়ে যেতো
তার গোড়ায়, আর তাতে সে উদ্দেলিত হয়ে-
সারা বছরই ফুল ফোটাতো-
কোন এক সাঁঝে এক গোছা হাসনুহেনা হাতে নিয়ে,
পথ পানে চেয়ে রইলাম-
নাতো, সে এলোনা এই পথটা মাড়াতে।
এমনি করে কতটা প্রভাত, দ্বিপ্রহর, সাঁঝ পার হয়ে গেছে,
সে কিন্তু কোন দিনই এই পথে ফিরেনি,
আর আমার অপেক্ষার প্রহর গোনাও থেমে থাকেনি-
খোলা জানালা দিয়ে, নিশীথ রাতের তারা গোনা অবধি।
হায়রে দুরাশা! তোকে না কতবার বলেছি,
মিছে আশা বাড়াসনা আর-
তোর তো সাহস বলিহারি, তুইতো বলেই খালাস,
সে এপথে ফিরে আসবেই একদিন-
আমি বলি ওরে হতচ্ছাড়া, সে তো আর ফিরবেনা,
কারণ, সে মনে করে তার কাছে আমার আর নেই কোন ঋণ।
আবহমান
হাকিকুর রহমান

কেটে যাবে ঘনঘোর,
কেটে যাবে আঁধার-
উঠবে নতুন সূর্য,
আসবে নতুন সকাল-
থেমে থাকেনাকো পৃথিবী,
সেতো অবিরাম ঘূর্ণায়মান তার অক্ষে-
প্রলয়, বন্যা, খরা, শৈত্য প্রবাহ-
কিছুই তার গতিপথ থেকে সরাতে পারেনা,
কারণ, সে জানে এটাই অমোঘ নীতি।
তেমনি, থেমে থাকেনা জীবন-
সেতো আবহমান,
সে যে বয়ে চলে মহাকালের সাক্ষী হয়ে।
প্রাণ
হাকিকুর রহমান

ব্যাধের শরের আঘাতে,
মাটিতে লুটালো,
ছোট্ট এক পক্ষী-
গাছেতে গাছেতে গাহিতো সে,
ডালেতে ডালেতে নাচিতো সে,
ছিলোতো সে অতি লক্ষী।
এক্ষণে,
মৃতপ্রায় হয়ে রয়েছে গগনের পানে চেয়ে-
সুদৃশ্য আঁখিদুটি হতে ঝরিছে যে জল বেয়ে।
হায়রে মানব!
ঐ ছোট্ট পক্ষী,
করেছিলো কিসে ভুল?
নিজের সামান্য আনন্দের তরে,
তাকে করে দিলে নির্মূল!
ভাবিয়া দেখেছোকি,
যতই ক্ষুদ্র হোক,
দিতে পারিবেকি ঐ প্রাণের মূল্য?
প্রাণ, সেতো বিধাতা সৃষ্ট,
সকলের কাছে তাহা অতুল্য।
অধিগ্রহণ
হাকিকুর রহমান

ঘুলঘুলিটার পানে নির্বাক নেত্রে চেয়ে রই যখন,
একাধারে মনে পড়ে কৈশর, শৈশব, যৌবন-
কত আশা, কত ভরসা, কত কথা, কত নাবলা কথার উত্তরণ।
জীবন!
সে তার কার্যক্রমে কবে জানি ধর্মঘট ডেকেছে,
তার অনুসারীরা শুরু করেছে আমরণ অনশন-
আর তাকে ঘিরে শত প্রতিকুলতার মাঝেও কিসের যেনো প্রজ্ঞাপন।
আঁধার ঘিরেছে সেথায়, শুকিয়ে গিয়েছে মরুদ্যান-
খরাক্লিষ্ট মঙ্গলার চরে, উপড়িয়ে ফেলা বৃক্ষগুলির হবে কি আবার প্রতিস্থাপন।
অজ্ঞানতার গভীরে গিয়ে,
অচেনা অলিগলিতে ঘুরে ফেরা, অনভ্যাসতার তাগিদে-
পুরোনো স্মৃতিগুলোকে পূনরায় চর্বিত-চর্বণ।
হৃদয় ক্ষয়ে গেছে কবে, অন্তরে ধরেছে মরীচা-
এখন সময়ের অপেক্ষায় বসে থাকা, ক্ষণকাল করেছে তা অধিগ্রহণ।
ছড়াঃ অভিমান
হাকিকুর রহমান

কানা মাছি ভোঁ ভোঁ
কারে ছুবি ছো,
মান করেছে খেকশেয়ালী
সবাইকে কয় "নো"।
ডাকবে না আর ঘড়ি ধরে
গাইবে না আর সুরে,
থাকবে এখন বাঁশবাগানে
এখান থেকে দূরে।
অন্য সবাই ডাকলে পরে
ডাকতে হবে কেনো,
ডাকার মাঝে নেই কোন ভাব
কেমন যেনো তেনো।
সবাই কেমন বেসুরো গায়
লাগেনা আর ভালো,
আঁধার ঘেরা বাঁশের ঝাঁড়ে
সাদাও লাগে কালো।

Friday, February 7, 2020

Tearful words
Hakikur Rahman 

Clouds of thought, increased emotions
Heard howling
On the edge of consciousness, just turn around
I do not know who.
Oh my mind, put in what a dress
Tied to someone's heart
As much as I make it tidy, by the way
It goes far away.
Twilight lurks, and sinks further
I'll find him
The route is late, just rushing
Darkness has come down.
Tears, leads to chest pain
Doesn't make sense
Imaginary happiness, weeping chest
Sort it out.
অতীত
হাকিকুর রহমান

অনাদিকালের পানে চেয়ে রই,
ঘটমান অতীতের সাথে কথা কই।
স্তব্ধতাই করিছে সেথা বিরাজ,
নশ্বর জীবনের পাতায় পাতায় কতই না কারুকাজ।
যুগ যুগান্ত মিশে যায় পলে পলে,
থেমে থাকা পদচিহ্ন খুঁজি হৃদয়ের সাগর তলে।
চেতনার ধারা এসে যায় মিশে,
নীরব কুলুকুলু রবে তালাস করা অন্য দিশে।
তরঙ্গহীন ভীষণ!
তবুও কেন জানি দুলে তরী,
হে অতীত,
তুমি কি কথা কও- সেই চিরচেনা সুর ধরি।
অভিমান
হাকিকুর রহমান

সেই চিরচেনা সুর ধরে, গাহিতে চেয়েছিনু গান-
স্মৃতির আঙিনা ঘিরে, আঁকিতে চেয়েছিনু মুখছবি কার,
ভরাতে চেয়েছিনু প্রাণ।।
শুধুই পথ চেয়ে থাকা, অস্ফুট স্বরে ডাকা-
নিঠুর বিলাপ কাঁদিয়া ফিরিছে,
চাওয়া-পাওয়ার হবেকি তবে অবসান।।
বাঁধন ছিড়িলো পিছে, সাধন লাগিলো মিছে-
ছায়াপথ ঘিরে আঁধার নামিছে,
ভাঙ্গিলোনা তো আর অভিমান।।
ভালোবাসা
হাকিকুর রহমান

দুলকি আর মুলকির রয়েছে প্রমাণ,
দুজনায় লড়ে যায় সমানে সমান।
দুলকি ছিল দোহে অতিশয় দ্রুত,
দুজনায় ছিল তেজী লোকমুখে শ্রুত।
মুলকিকে চুরি করে ছোটে তস্কর,
কায়াসের কাছে তাহা লাগে দুষ্কর।
দুলকিকে লয়ে ছোটে তাহাদের পিছে,
তস্কর তৎপর তবু হারে মিছে।
চিৎকারে কায়াস কহে, ওহে হতভাগা
বাঁ কান ধরে টান, তাতে হবে জাগা।
নিমেষেই মুলকি হলোযে উধাও,
ভালোবাসা তাহে কয়, তাহা দেখে নাও।
নিয়তি
হাকিকুর রহমান

জেগে রই, জেগে রই-
সন্ধ্যাতারা যখন ক্লান্ত হয়ে পচিমে ঢলে,
আর নিভু নিভু জ্বলে,
তাদের সাথে অস্ফুট স্বরে কথা কই-
জেগে রই, জেগে রই।।
হায়রে নিয়তি!
কিযে বিষবৃক্ষ বুনেছিনু অশেষ যতন করে-
আর তাই কাল হয়ে কন্ঠে ঝুলে অনাদিকাল ধরে।
যদিও রাহু গ্রাস করেছে সকলই,
তবু হেরে যাবার তরে আমিতো নই-
জেগে রই, জেগে রই।।
হায়রে নিঠুর নিয়তি!!
প্রলুদ্ধতার কবলে পড়েছিনু ক্ষণিকের তরে-
তাই শনি হয়ে দেখা দিলো, আর বিষন্নতায় গেলো ভরে।
তবুও শিহরিত চরণে চলি,
নাওয়ের গলুইয়ে স্তব্ধ দাঁড়িয়ে ভাবনার দাঁড় বই-
জেগে রই, জেগে রই।।
ভোরের যুঁথী
হাকিকুর রহমান

কেগো এসে ভোরের যুঁথী যাও কুড়িয়ে
আবির রাঙা সূর্যি দিলো প্রাণ জুড়িয়ে।
গাছের ছায়ে ডাকছে বসে বন পাপিয়া
"চোখ গেলো", "চোখ গেলো", সুর গাহিয়া।
নদীর ধারে ভাসলো তরী ভাটির টানে
বনের পাখি নিদ ভাঙ্গালো মধুর গানে।
আসা যাওয়ার পথেই ছিলো কাননটি মোর
স্নিগ্ধ হাওয়া বইবে বলে খুলেছি দোর।
টুনটুনিটা জাগার আগেই এসেছিলে
ফুলগুলো সব কুড়িয়ে নিয়ে খোঁপায় দিলে।
মুগ্ধ আমি সেদিক পানে তাই চেয়ে রই
কানন ভরে ফুটুক না ফুল মনটারে কই।
কৃতঘ্ন
হাকিকুর রহমান

কুড়ালের দুঃখ, নাহি তার হাতা,
কাছে কিনারে হেরিয়া এক বৃক্ষ,
কহে, ওহে মোর ত্রাতা।
গদগদ কন্ঠে কহিল,
প্রদান করিবে কি একটি শুকনো ডাল,
তাহা হইলেই কর্মক্ষম হইতে পারি,
ফিরিয়া পাইবো ফের তাল।
বৃক্ষের বিশাল চিত্ত,
কহিল, লও হে ইহাকে,
প্রদান করিলাম তব কর্মের নিমিত্ত।
সম্পূর্ণ হইয়া কুড়াল-
কাটিতে শুরু করিল বৃক্ষের গোড়া,
উপকারীর উপকার স্বীকার করিবার
আছে কি প্রয়োজন থোড়া!

অনুভূতি
হাকিকুর রহমান

প্রতিনিয়ত প্রচেষ্টারত রই
উজ্জ্বীবিত হতে,
নবতর চেতনায়-
অবস্থাদৃষ্টে পরিলক্ষিত হয়
নিমজ্জিত হওয়া,
ঘনীভূত বেদনায়।
আশা নিরাশায় দোলে
চিন্তা-চেতনা-শক্তি উপলব্ধি,
কুজ্ঝটিকার মাঝে খেলে
জন্ম-হতে-মৃত্যু অবধি।
আগামীর আবরনে মুড়ে
তবুও চলা সমুখের যাত্রা,
অনাকাঙ্খিত অভিপ্রেত খুঁড়ে
বাড়ায় শুধু ইতস্ততার মাত্রা।
হৃদয় কাঁদিয়া ফিরে
হবে কবে এর অবসান,
অলক্ষ্য অনুভূতি ঘিরে
ভাবা তাই সারা দিনমান।
প্রকৃত সুখী
হাকিকুর রহমান

গগনের শশী কহে, আমাতেই আছে আলো-
প্রদীপের শিখা কহে, আমাতেই আছে আলো-
মোমবাতি জ্বলি কহে, আমাতেই আছে আলো-
নিওন বাতিটি কহে, আমাতেই আছে আলো-
তারাটি জাগিয়া কহে, আমাতেই আছে আলো-
মশাল হাঁকিয়া কহে, আমাতেই আছে আলো-
জোনাক কাশিয়া কহে, আমাতেই আছে আলো-
তপন হাসিয়া কহে, সকলেই রহো ভালো।
আবহমান
হাকিকুর রহমান

ও বিবাগী, যাওযে হেঁটে
পথটি ভুলে,
উদাস মনে, গাওযে তুমি
কি সুর তুলে।।
নীলকরবী, ফুটলো হোথা
বনের কোণে,
নীরদগুলো, ভাসলো হেসে
দূর গগনে।
গাঁয়ের বঁধু, যায়যে ধীরে
পুকুর পাড়ে,
পায়ের নূপুর, ঝুমুর ঝুমুর
দৃষ্টি কাড়ে।
রাখাল ছেলে, বাজায় বাঁশি
গাছের ছায়ে,
আলসি ঝেড়ে, ঘাটের মাঝী
উঠলো নায়ে।
বনপাপিয়া, ডাকছে শাখে
"চোখ গেলো",
ভর দুপুরে, নীবিড় বায়ে
তন্দ্রা এলো।
নদীপাড়ের জীবন
হাকিকুর রহমান

একুল ভাঙ্গে ওকুল গড়ে
এইতো নদীর খেলা
ভাঙ্গা গড়ার এই খেলাযে
চলছে সারা বেলা।
নদীপাড়ের জীবন যাদের
অনেক ত্যাগের ভুবন তাদের।
তবুও তারা যুদ্ধ করে
এই জীবনের পরিসরে।
নদীর সাথে তাল মিলিয়ে
এই জীবনের খেলা
ভাঙ্গা গড়ার এই খেলাযে
চলছে সারা বেলা।
প্রয়োজন
হাকিকুর রহমান

রজনী ডাকিয়া কহে, ওহে দিবাকর-
রাঙাও ধরিত্রীকে, কিযে মনোহর।
আমিতো আড়াল করি, দিবসের আলো-
চাঁদ-তারা বিনে আমি, অতিশয় কালো।
দিবাকর হাসি কহে, মিত্র তুমি-
স্বস্তি ছড়াও তোহে, পূন্য ভূমি।
ধরণীতে উভয়েরই, আছে প্রয়োজন-
দিবস-রজনী মিলে, যত আয়োজন।
বিধান
হাকিকুর রহমান

নদীর এপার থেকে ওপার
সবসময় সুন্দর মনে হয়
মনে হয়, ওপারেই যতো সুখ
কিন্তু, পৃথিবী মায়াময়।
এপারেই থাকো আর ওপারেই যাও
যতই জীবনের চাঁকা ঘোরাও
বিধান যেখানে করা আছে
তার বাইরে যাবেনা কোথাও।
গুণ
হাকিকুর রহমান

প্রজাপতি কহিল ডাকি, ওহে ভোমরা,
কত ঘুরে ফিরি রঙিন পাখায়,
তবুও বাউলের কাছে এত প্রিয় তোমরা?
তোমারে লয়ে তুলে সে কতনা সুর,
আমিতো অদেখাই রহিলাম-
যতই উড্ডীয়মান রহি বহুদূর।
ভোমরা কহিল কানে কানে,
মম গুঞ্জন উচকিত করে প্রাণে প্রাণে।
উপর্যুপরি, করিয়া আরোহিত মধু ভক্ষণ,
সকলেই প্রীত রহে চিত্তে ও নিরাময়তায় বিলক্ষণ।
চন্দ্রমল্লিকা
হাকিকুর রহমান

চন্দ্রমল্লিকাকে দেখবো বলে,
বসেছিলাম কানন তলে-
কেমন করে কাটলো বেলা,
কোন কিছু নাহি বলে।।
জোসনা ভরা আকাশটাকে দেখবো বলে
বসেছিলাম হৃদয় খুলে-
মেঘেরা সব দিল ঢেকে,
হয়নি দেখা চোখের ভুলে।
জোয়ার-ভাঁটা দেখবো বলে,
বসেছিলাম সাগর বেলায়-
কান্না-হাসির মেলাটাযে মিশলো সেথা,
ভাবিনিকো কোন সে খেলায়।
পায়ের চিহ্ন দেখবো বলে,
বসেছিলাম পথের মাঝে-
পেলাম নাতো রেখা কিছুর,
দিন ফুরালো আঁধার সাঁঝে।
পরিত্রাণ
হাকিকুর রহমান

অরণ্য ফুকারি কহে, ওহে মনুষ্যকুল-
নীরবে, নিভৃতে রহি, ইহা কোন ভুল?
ছায়া দিয়ে, ফল দিয়ে, রাখি প্রীত তবে-
মায়াময় পরিবেশ, ভরা থাক ভবে।
যে কোন সুযোগেই, কর্তিত হই-
তোমাদের কর্মকান্ডে, সন্ত্রস্ত রই।
কবে হবে তোমাদের, পরিমিত জ্ঞান-
সেই দিন আমাদের, হবে পরিত্রাণ।
অনুধাবন
হাকিকুর রহমান

খাঁচার পাখিটার মনে বড়ই মান,
খাঁচাটাকে মনে করে সে এক পুস্পক উদ্যান।
মনের আকুলতায় সে, আকাশের পানে চায়-
অন্য কোন প্রাণীকে করেনা গন্য,
নিজমনে কিযে সুরে গেয়ে যায়।
একদা খাঁচার দ্বারটি বন্ধ করা হয়নি ভুলে-
বেরুলো খাঁচা থেকে সে অতি দম্ভে,
চাহিলো উড়িতে ভঙ্গুর পাখাদু'টি তুলে।
কৈ, উড়াতো হলোনা কোন স্বাচ্ছন্দে-
চিনিতে চাহিলোনা অন্যেরা তাহারে,
পড়িলো সে বিষম দ্বন্দ্বে।
অতঃপর, কোনক্রমে খাঁচাতে ফিরিয়া,
দুয়ারে দিলো সে খিল-
জীবনটা দূর হতে দেখা যত সহজ,
কাছে থেকে অনুভব করা তত মুস্কিল।