Tuesday, June 8, 2021

 

মায়ের কোল
হাকিকুর রহমান
শিশু-
জন্মানোর পরই দু’পায়ে হাঁটতে পারেনা,
প্রথমে হামাগুড়ি দেয়, তারপর হাঁটতে শিখে;
শিশু-
জন্মিয়েই্ দেখতে পায়না,
কিছুদিন দৃষ্টিহীন থাকে, তারপর দেখতে পায়;
শিশু-
জন্মানোর পরেই কথা বলতে পারেনা,
আগে অস্ফুট কথা বলে, তারপর স্পষ্ট কথা বলে;
শিশু-
জন্মিয়েই কাঁদতে পারে,
জানান দেয় পৃথিবীকে, আমি এসেছি!
শিশু-
জন্মানোর পরই গন্ধ শুঁকতে পারে,
মায়ের কোলকে খুঁজে নেবার জন্যে।

 

সময়
হাকিকুর রহমান
ঘড়ি-ঘন্টা ধরে কি আর সময় নির্ণীত হয়?
এযে এই বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের অপর এক বিস্ময়!
তত্ববিজ্ঞানের ধারায় এটা একটা ভৌত রাশি,
যা পরিমাপযোগ্য-
আমি কহি, সেটা বড়ই আপেক্ষিক,
একেক গ্রহের বিবর্তনে, মানুষ সেটা মাপার অযোগ্য।
ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্রতম সময় ধরা হয়েছে- ইউক্টোসেকেন্ড-
আর তারপরে জেপ্টোসেকেন্ড, ইত্যাদি
সর্ববৃহত্তম সেথায় এক্সাসেকেন্ড, বা বিশ্বতত্বীয় দশক,
কিন্তু, সামগ্রীকভাবে সময় নির্ধারন করা যাবে কি-
এ বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের জন্ম থেকে অনন্তকাল অবধি।
কিছু ক্ষণ, কিছু কাল, কিছু দিন, কিছু বছর,
কিছু যুগ, কিছু শতাব্দী, কিছু সহস্রাব্দ-
এ সবই পরস্পরের উপর নির্ভরশীল,
সময়!
সেতো সীমাহীন,
কোন কিছুরই উপর করেনা নির্ভর-
বয়ে চলে অনাদিকাল ধরে,
প্রাঞ্জল, নির্মোঘ, সাবলীল।

 

বৃহৎ হৃদয়
হাকিকুর রহমান
চাঁদের কিরণ হেরিয়া, নিজে মৃদু হাসে
হয় সে অতিশয় প্রীত
কহে সূর্যকে, ওহে মহারথী
করিতে পারিবে কি, এই ধরাকে
এমনিতর মোহিত।
চাহিয়া দেখোহে, লহরীতে ভরা
সাগরের মোহনায়
রূপালী আভাতে, ভরায়ে দিয়াছি
অবারিত জোসনায়।
পারিবেকি তুমি, এমনি করিয়া
হইতে ওহে রমণীয়
তোমার কিরণে, তপ্ত হয় ধরা
নওহে তুমি নমনীয়।
সূর্য থামিয়া কয়, ওহে মোহময়ী-
ঐ যে আভা, সেতো উদ্বীপ্ত মনে
দিয়াছি তোমারে ধার,
লিখে যাক কবি কাব্যে
বয়ে যাক নদী নাব্যে
রয়েছিতো আমি সদা প্রীত হয়ে
তব আলোর আধার।

 

বিরহের সুর
হাকিকুর রহমান
কি হবে তাহা জানিয়া, কেন আসে জল নয়নে
তুমি সুখে রহো সখা, রহো তুমি পুষ্প শয়নে।।
এপারেতে আমি সখা, ভাসি বিষাদের বানে
ওপারেতে করো উচ্ছাস, কোন সে স্তব গানে।
হৃদয়ে তো দিয়েছো তালা,
বুঝিবে কি করে বিরহের জ্বালা।
হেথা ঘুরে ফিরি আজি, অধীর চপল চয়নে।।
কাননের ফুল গুলি, রাখি যতনে তুলি
দিতে চেয়েছিনু পরায়ে, চুল বাঁধা খোঁপাটি খুলি।
গেলোযে সবই তার ঝরি,
বুঝিনাতো কেমন করি।
আবার ভিজিলো আঁখি, অঝোর ঝরা কোন শাওনে।।

 

বেহিসাবি চাওয়া-পাওয়া
হাকিকুর রহমান
রচিতে চেয়েছি যে প্রেমের কবিতা
হয়েছে তা বিষাদে ভরা,
কালের খাতাতে গাঁথিয়া দিয়াছি
হৃদয়ে রহিলো ধরা।
সুরের আবেশে গাহিতে চেয়েছি
সুমধুর কতো গান,
কথাগুলি কবে হারায়ে গিয়াছে
অলিখিত অনুদান।
ভাবের খেয়াতে ভাসিতে চেয়েছি
লীলায়িত কোন ক্ষণে,
স্নেহের পরশে হাসিতে গিয়াছি
হরষিত তনু মনে।
সবইতো রহিলো হেথায় পড়িয়া
হলোনাতো আর গাওয়া,
শূন্য আঙনে রহিলো ছড়ায়ে
বেহিসাবি চাওয়া-পাওয়া।

 

তৃতীয় সহস্রাব্দ
হাকিকুর রহমান
যারা ১৯৯৯ বা তার আগে,
কিম্বা ২০০০ সালেও জন্মেছেন-
তারা কিন্তু এক দুর্লভ ইতিহাসের সাক্ষী!
হাজার বছরের অতিক্রান্ততার সাক্ষী।
এ এক পরম পাওয়া!
আবার কবে ৩০০০ সাল আসবে-
তখন পৃথিবীর হাল কেমন হবে,
কেমন হবে মনুষ্যকুলের জীবনযাত্রা
কি দশা হবে তথ্য-প্রযুক্তির
তা ভেবেই শিহরিত হচ্ছি!
কেমন হবে রাস্তা-ঘাট
কেমন হবে নদী-নালা
কেমন হবে মুদ্রানীতি
কেমন হবে ভ্রমণনীতি
কেমন হবে যানবহন ব্যবস্থা
কেমন হবে রাজনীতি
কেমন হবে পোষাক-আষাক
কেমন হবে খাবার-দাবার।
সব দেশ মিলে এক দেশ হয়ে যাবে?
নাকি, আরও সহস্র দেশ-এ বিভক্ত হবে!

 

মাধুকরী হাসি
হাকিকুর রহমান
কেগো বুনেছো সোনারং ধান
কে দাও অথৈ নদীতে পাড়ি,
কেবা বুনেছো মনের মাধুরীতে
রামধনু রঙ শাড়ি।
কেগো হেঁটে যাও মেঠো পথ ধরে
কি যে গেয়ে যাও সুরে,
কেবা গেঁথেছো খোঁপায় যুঁথিকা
ডেকে নাও কোন দূরে।
কেগো পরেছো লাল রঙ শাড়ি
যাবে কি নায়োরে আজি,
কেবা চেয়ে রও নীলিমার পানে
গোধূলির সাঁঝে সাজি।
কেগো খুঁজেছো স্মৃতিভরা দিন
রয়ে যায় ছেলে বেলা,
কেবা শুনেছো মাধুকরী হেসে
করে যায় কত খেলা।

 

রাগে অনুরাগে জাগিলো ইন্দ্রধনু
ভাবের বানেতে ভাসিলো যে মোর তনু।
উদাসী বেণুতে বাজিলো কি যে সুর
পিপাসিত মন হইলো বেদন বিধুর।
মত্ত ধরাতে চিত্ত হইলো ব্যাকুল
বরষার ঢলে ভরিলো যে নদীকুল।
এমনি দিনেতে গাহিতেছে কেবা গান
রিনিঝিনি তালে কাড়িলো যে মন-প্রাণ।
- হাকিকুর রহমান
(বিদ্রোহী কবির জন্মদিনে)

 

অবিনশ্বর নারী
হাকিকুর রহমান
রঙিন সুতো দিয়ে, সাদা জামাটাকে রিপু করে
সুনাগরিক হবার করুণ প্রচেষ্টা-
গেরুয়া বসনা ভিখিরি, কিইবা মনে করে পথে হাঁটে?
পথটাতো কোনদিনও তাকে আপন করেনি।
উদাসী বাউল, কোন সুর বাঁধে তার একতারায়
চন্দ্র-তারা-নক্ষত্র কি তার খবর রাখে?
তবুও সে ঘুঙুরের বোলে, পথের ধুলোগুলো মাতায়
আর কিছু না বুঝেই দু’পাঁচ জনে হাততালি দেয়।
নিশান্ত ঘিরে, রয়েছে জুড়ে সময়ের ধারাপাত
অবাক বিস্ময়ে চাইলো ভোরের আকাশ-
শিশিরে ভিজে, দূর্বাঘাস রোদের সাথে ছলনা করে
ঘাত-প্রতিঘাতে ম্রিয়মান হয় আকাঙ্খার নোলক।
চমকিত চরণে, বিরহিনী হাঁটে গোমতীর বিরান চরে
জেগে থাকা জোনাকিগুলো সাথী হয়-
একচিলতে চাঁদ, সাথে হাঁটে অভিন্ন চাহিদায়
এ যেন কোন এক অবিনশ্বর নারী।
(“বাসপ কাব্য সংকলন” থেকে)

 

পথিক,
পথের মাঝে হঠাৎ দাঁড়িয়ে
পথকে প্রশ্ন করে,
"ওহে পথ, তুমি কি আমার?"
চোতের প্রখর রোদে
পুড়ে খাক হওয়া
পথটা, তবুও স্মিত হেসে উত্তর দিলো,
"ওহে পথিক,
এই পথে যেই বা হাঁটে
আমি তো তার।"
- হাকিকুর রহমান

 

ভাঙ্গিয়োনা মোর ঘুম
হাকিকুর রহমান
ভাঙ্গিয়োনা, ভাঙ্গিয়োনা মোর ঘুম-
সবেতো আঁখিতে স্বপ্নেরা দিয়েছে চুম।।
কেহ জেগে কাঁদে, কেহ বা ঘুমায়
কেহ বা ভাবিছে হয়ে নিরুপায়,
কেহ বা আঁকিছে রং তুলি দিয়ে জোসনার কুমকুম।।
কারো চোখে নামে জলের ধারা
কেহ বা আহ্লাদে পাগলপারা,
কেহ বা অকাতরে বিলায় নিজেকে, নিশি ভর নিরঘুম।।
কেহ বা জাগিছে রাগে-অনুরাগে
কলঙ্কিনী চাঁদ কারো ভালো লাগে,
ফুলের সুবাসে জাগিছে কেহবা, ছায়াবীথি নিজঝুম।।

 

উন্মেষ
হাকিকুর রহমান
চেতনার দ্বারে, খুঁজি আমি কারে
বিকশিত বাতায়নে
করিয়া বিলাপ, শুধু অনুতাপ
হৃদয়ের সাথে অবগুন্ঠিত আলাপনে।
কোথা হতে হেরি, সহেনাকো দেরী
জ্বলে ক্ষীণ দীপশিখা
মায়াজাল ঘিরে, মম অন্তরে
যেনো ক্ষণিকের প্রহেলিকা।
স্তব্ধিয়া নিমেষ, ভাবি অনিশেষ
দৃশ্যিত হয়না তবু
ভাবনার ভিড়ে, স্তম্ভিতে ফিরে
ঘোলাজলে হাবুডুবু।

 

মিশে যাওয়া পথ
হাকিকুর রহমান
ভোরটাতো হয়েছিল অনেক আগেই,
সেইযে প্রার্থনার জল গড়িয়ে
নিজেকে পবিত্র করার পর।
বাগানের পাশে হেলে পড়া
জুঁই ফুলের ঝাঁড় থেকে, তখনও
ঝরে পড়েনি তারা। মালিনীর মেয়েটাও আজ
আসেনি। দুপুর হবার তো অনেক বাকি,
তাই তাকে প্রথম দেখার আবেগ
দমিত হয়নি তবুও।
গাঁয়ের এঁকেবেঁকে যাওয়া পথ ধরে,
গাঙ্গের ধার দিয়ে, হেঁটে গেছি কত
একটিবার দেখার তরে-
কারণ, সে এসেছিল একদিন
ঐ জুঁই তলায়। ক্ষণিকের দেখাতে
ভরে গিয়েছিল ক্ষণগুলো।
তার উপর আরও ভালো লেগেছিল,
হিজল গাছের ফাঁক দিয়ে ঝরে পড়েছিল
শিশির শুকানো রোদ্দুর, রূপালী আলোতে ভরে।
বকুলের শাখে দুলেছিল কপোত-কপোতী,
গোমতীর ধীরে বহা স্রোতে
ভেসেছিল, রঙিন পাল তোলা এক নাও।
সুর করে গেয়ে উঠেছিল, খয়েরি ডানার পাপিয়াটা
মন খুলে হেসেছিল নীলাকাশ,
তাইতো তৃষিত প্রাণে, ছুটে যাই তার কাছে।
আর কেন জানি মনে হয়, সব পথগুলো
মিশে গিয়ে একাকার হয়ে গেছে, ঐ পথে।
(“মিষ্টি প্রেমের কাব্য” থেকে)

 

প্রাত্যহিক
হাকিকুর রহমান
প্রাত্যহিক তাজা খবর!
ভেজালকারীগণ রয়েছেন সদা তৎপর,
সবজি, ফল, মাছ, পথ্য-
বাকি কি আছে
সব কিছুতেই করেছেন ভর।
আগ্রহী মজুতদারগণ,
কিভাবে কৃত্রিম সংকট তৈরী করে-
আরও বেশী করে হাতানো যায় অর্থ
সে চেষ্টা প্রাণপণ।
উঠতি ধনীগণের দাপটে-
করা যায়না বাজার,
দামাদামি, দর কষাকষি নেই-
যাকিছু আছে কিনে করছেন সাবাড়।
জীবন চালাতে নিম্ন-মধ্যবিত্তের
নাভিশ্বাস উঠে যায়,
কোনমতে সপ্তাতিনেক, তারপর
বিষন্ন মনে, পকেটের পানে চায়।

 

পথিকের পথ
হাকিকুর রহমান
ওহে পথিক,
ফেলিও চরণ সঠিক।
রহিতে পারে পথ কন্টকে ভরা
ঝরিতে পারে সেথা ফুল
রক্তাক্ত হতে পারে চরণ দু’খানি
হয় যদি কোনও ভুল।
দলিয়না ঝরা পাতাগুলিকে
বধিওনা সেথা ফুলকলিকে
প্রভাতফেরী শেষে
পূর্ব গগনে উঠিল সূর্যমনি স্ফটিক।
অধরা রহিয়া যায়
বারেক ফিরিয়া চায়
আছেতো পড়িয়া সারা দিনমান
পা বাড়িয়োনাকো আর বেঠিক।

 

ভবিতব্যকে কহিলাম,
ওহে ভবিতব্য- তুমি আমার সমুখে প্রকট হও।
সে গুরুগম্ভীর স্বরে উত্তরিল,
তাহা হইলে তোমাতে আর আমাতে কোন প্রভেদ রহিবেনা।
- হাকিকুর রহমান  

 

অপ্রতিভ তিথি
হাকিকুর রহমান
কি ভাবিয়া গাহিয়া উঠিলাম
নিকষে বাঁধা করুণ গীতি,
স্তব্ধিয়া চাহি নিলিমার পানে
দৃশ্যত হয় বরুণ স্মৃতি।।
উদাসী সুরে গাহে কোন বয়াতি
নিমগ্ন চোখে চাহে তার নিয়তি।
শাখা পল্লবে মৃদু বহে সমীরণ
তবুও নির্লিপ্ততায় রহে, অপ্রতিভ তিথি।।

 

চন্দ্রমল্লিকার কলি
হাকিকুর রহমান
পথের ধুলাতে লুটায়ে পড়ে আছে
চন্দ্রমল্লিকার কলি,
ব্যথীত মনেতে কুড়ায়ে তাহারে
হৃদয়ের কথা বলি।
বনের পাখিরে অনুনয় করি
ধীরেতে গাওহে গান
দখিন হাওয়া তুমি ধীরে বহো
নন্দিত হউক প্রাণ।
কোথাযে কাঁদিছে কোন বিরহী
শুকায়না আঁখিজল
আঁধারে ঢাঁকিছে অবয়বখানি
বারি ঝরে ছলোছল।
প্রভাতেরো রবি উঠেনিকো আজি
মেঘেরা ঢাঁকিছে গগন
আশা-নিরাশার দোলাতে দুলিয়া
কেমনে কাটিছে লগন।

 

হোক না আসেদ্ধ
তা হোকনা পোড়া
হোক না বাসি
থাক না তাতে ভেজাল মেশানো
একখানা রুটি চাই-
নইলে ওই গোল চাঁদটাকেই
গিলে খেয়ে নেব....
- হাকিকুর রহমান
(আমার লেখাগুলো জীবন থেকে নেয়া।
এখানে কোনও রাজনৈতিক বক্তব্য নেই।)
- সর্বসত্ব লেখক কর্তৃক সংরক্ষিত

 

অহমিকা
হাকিকুর রহমান
সমতল পর্বতকে কহে, উচ্চ স্বরে ডাকি-
তুমিতো রহো শৃঙ্গে, আমি যে হেথা সমতটে থাকি।
ফলাই চিত্ত ভরিয়া, কতনা ফসল-
লাঙ্গলের ফলাতে বিধি, খাই যে ধকল।
পর্বত হাসিয়া কহে, ওহে গুণধর-
চাহিয়া দেখো মোর ঝরনা রাশি, কত মনোহর।
যদি তুমি ইহা হ’তে, নাহি পেতে জল-
কিভাবে সিক্ত হতো, ওই ধরাতল।

 

দাওহে ভিক্ষা
হাকিকুর রহমান
দাওহে ভিক্ষা, দাও
প্রাণভিক্ষা, ওহে ধরিত্রী
রাখিওনা করে আর পরবাসী-
মরিতেছে দেখো চারিদিকে
সন্তান তব, হয়ে যেনো উপবাসী।
জাগাও ওহে, জাগাও
প্রাণেতে তোমার
মোদের তরে তব মায়া-
চাইযে পেতে পরিত্রাণ
এই বিভীষিকা থেকে
জীর্ণ হয়েছে যে মোদের কায়া।
(তবুও আসুন সবাই মিলে ভালো থাকি।
ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা। ঈদ মোবারক।)

 

সন্ধ্যা প্রদীপ
হাকিকুর রহমান
সন্ধ্যা প্রদীপ রেখেছি জ্বালিয়ে
আসুক না রজনী ঘিরে,
ঢেঁকে দিক তার মায়াবী আঁচলে
আঁধারের বুক চিরে।
কানন তলেতে পড়ুক না ঝরে
বকুল, পারুল, জুঁই
গগন ভরে উঠিলো যে চাঁদ
তাহারে যে কোথা থুই।
তোরণটি খুলে বসে আছে হোতা
কোন সে বিরহিনী,
উদাস নয়নে চেয়ে রয় দূরে
মনে হয় তারে চিনি।
ললাটের টিপ জ্বালায়ে জ্বলিছে
দূরের ঐ তারাগুলি,
মনে পড়ে যায় অতীতের কথা
কি করে যে তাহা ভুলি।